arabicacademybd
Updates

দু’আ (সকাল সন্ধ্যার আমল)

মে ১৭, ২০২৫ মাসনুন আমল

১. ঘর বাড়ি হেফাজতের দু’আ

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، عَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَأَنْتَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، ‌مَا ‌شَاءَ ‌اللهُ ‌كَانَ، ‌وَمَا ‌لَمْ ‌يَشَأْ ‌لَمْ ‌يَكُنْ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ، أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ دَابَّةٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا، إِنَّ رَبِّي عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা আ’লাইকা তাওয়াক্কালতু ও আনতা রাব্বুল আ’রশিল আজিম, মা-শা-আল্লাহু কা’না, ওয়ামা লাম ইয়াশা’ লাম ইয়াকুন ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুও’ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিঈল আজিম, আলামু আন্নাল্লাহা আলা কুল্লি শাই ইন ক্বাদির ও আন্নাল্লাহা ক্বাদ আহাতা বিকুল্লি শাই ইন ই’লমা, আল্লাহুম্মা ইন্নি আ‘উজুবিকা মিন শাররি নাফসি ওয়ামিন শাররি কুল্লি দাব্বাতিন;  আনতা আখিজুম বিনাসিয়াতিহা ইন্না রাব্বি’আলা সিরাতিম মুস্তাকিম।

অর্থঃ হে আল্লাহ্‌ ! আপনি আমার প্রভু, আপনি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ্‌ নাই, আপনার উপর ভরসা করলাম, আপনি সম্মানিত আরশের মালিক। আল্লাহ্‌ তাআ’লা যা ইচ্ছা করেন, তাই হয়; আর তিনি যা ইচ্ছা করেন না তা হয় না, আল্লাহ্‌ তা’আলার শক্তি ও সামর্থ্য ব্যতীত অন্য কোনো শক্তি বা সামর্থ নাই, জেনে রেখো যে আল্লাহ্‌ তাআ’লা সমস্ত জিনিসের উপর শক্তিশালী, ক্ষমতাবান এবং তার জ্ঞান সমস্ত জিনিসব্যাপ্ত। হে আল্লাহ্‌! আমার নফ্‌সের মন্দ হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাই এবং প্রত্যেক প্রাণীর মন্দ হতে যার ঝুঁটি আপনি ধরে রেখেছেন; নিশ্চয়ই আমার প্রভু সরল পথে অধিষ্ঠিত আছেন।

উৎসঃ আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ; ইবনুস্‌ সুন্নী হাঃ ৫৭,

তাবারানী শরীফ (মুজামে কাবীর),হাদিস নাম্বারঃ ৩৪৩     হাদিসটি আমলযোগ্য।

উপকারিতাঃ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، ثنا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، ثنا أَغْلَبُ بْنُ تَمِيمٍ الشَّعْوَذِيُّ، ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ فُرَافِصَةَ، عَنْ طَلْقٍ يَعْنِي ابْنَ حَبِيبٍ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى أَبِي الدَّرْدَاءِ فَقَالَ: يَا أَبَا الدَّرْدَاءِ احْتَرَقَ بَيْتُكَ، فَقَالَ: مَا احْتَرَقَ بَيْتِي، ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ: يَا أَبَا الدَّرْدَاءِ احْتَرَقَ بَيْتُكَ، فَقَالَ: مَا احْتَرَقَ بَيْتِي، ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ: يَا أَبَا الدَّرْدَاءِ، اتَّبَعْتُ النَّارَ فَلَمَّا انْتَهَتْ إِلَى بَيْتِكِ طُفِيَتْ، فَقَالَ: قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمْ يَكُنْ لِيَفْعَلَ، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا أَبَا الدَّرْدَاءِ مَا نَدْرِي أَيُّ كَلَامِكَ أَعْجَبُ؟ قَوْلُكَ مَا احْتَرَقَ، أَوْ قَوْلُكَ قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمْ يَكُنْ لِيَفْعَلَ، قَالَ: ذَاكَ لِكَلِمَاتٍ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ” مَنْ قَالَهُنَّ حِينَ يُصْبِحُ لَمْ تُصِبْهُ مُصِيبَةٌ حَتَّى يُمْسِيَ، وَمَنْ قَالَهُنَّ حِينَ يُمْسِي لَمْ تُصِبْهُ مُصِيبَةٌ حَتَّى يُصْبِحَ: اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ عَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَأَنْتَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ، ‌مَا ‌شَاءَ ‌اللَّهُ ‌كَانَ ‌وَمَا ‌لَمْ ‌يَشَأْ ‌لَمْ ‌يَكُنْ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ، أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي وَمِنْ شَرِّ كُلِّ دَابَّةٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا إِنَّ رَبِّي عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ “

একদিন এক ব্যক্তি এসে হযরত আবু দারদা (রাঃ) কে সংবাদ দিলেন যে, হে আবু দারদা (রাঃ)! আপনার ঘর পুঁড়ে গেছে। হযরত আবু দারদা (রাঃ) বলেন, আমার ঘর পুঁড়ে নি। একটু পরে আরেক ব্যক্তি এসে বললেন, হে আবু দারদা (রাঃ)! আগুণ ধরে ছিলো। কিন্তু আপনার ঘরের কাছে আসার সাথে সাথে আগুন নিভে গেছে। এ সংবাদ শুনে হযরত আবু দারদা (রাঃ) বললেন, আমি জানতাম যে আল্লাহ্ তায়ালা আমার সাথে এরূপ করবেন না। একথা শুনে সংবাদদাতা আশ্চর্যাম্বিত হয়ে বললেন, হে আবু দারদা! আপনি কি করে জানলেন যে, আপনার ঘর জ্বলে নি এবং আপনি কিভাবে বললেন যে, অবশ্যই আমি জানতাম যে, আল্লাহ তায়ালা আমার সাথে এরূপ করবেন না।

হযরত আবু দারদা (রাঃ) বললেন, এমন কিছু বাক্য আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছি তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি এ বাক্যগুলো সকালে পাঠ করবে, সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে কোন বিপদ আপদ গ্রেপ্তার করবে না। তদ্রুপ যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় পড়বে, সকাল পর্যন্ত তাকে কোন বিপদ আপদ গ্রেপ্তার করবে না। আর এ দোয়া পড়ে আজ আমি ঘর থেকে বের হয়েছি। সুতরাং আমার ঘর পুঁড়তে পারে না।

দোয়াটি এই,

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ عَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَأَنْتَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ، ‌مَا ‌شَاءَ ‌اللَّهُ ‌كَانَ ‌وَمَا ‌لَمْ ‌يَشَأْ ‌لَمْ ‌يَكُنْ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ، أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي وَمِنْ شَرِّ كُلِّ دَابَّةٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا إِنَّ رَبِّي عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

হে আল্লাহ্‌ ! আপনি আমার প্রভু, আপনি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ্‌ নাই, আপনার উপর ভরসা করলাম, আপনি সম্মানিত আরশের মালিক। আল্লাহ্‌ তা’আলার শক্তি ও সামর্থ্য ব্যতীত অন্য কোনো শক্তি বা সামর্থ নাই, আল্লাহ্‌ তাআ’লা যা ইচ্ছা করেন, তাই হয়; আর তিনি যা ইচ্ছা করেন না তা হয় না। জেনে রেখো যে আল্লাহ্‌ তাআ’লা সমস্ত জিনিসের উপর শক্তিশালী, ক্ষমতাবান এবং তার জ্ঞান সমস্ত জিনিসব্যাপ্ত। হে আল্লাহ্‌! আমার নফ্‌সের মন্দ হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাই এবং প্রত্যেক প্রাণীর মন্দ হতে যার ঝুঁটি আপনি ধরে রেখেছেন; নিশ্চয়ই আমার প্রভু সরল পথে অধিষ্ঠিত আছেন।

তাবারানী শরীফ (মুজামে কাবীর),হাদিস নাম্বারঃ ৩৪৩

২. শয়তান হইতে হেফাজতের দু’আ

لا الهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَهْ، لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَئ ٍ قَدِيْرٌ

উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ’আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।

অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা কেবল তাঁর জন্যই। তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান।

উৎসঃ ইবনে হিব্বান

উপকারিতাঃ হযরত আবু আইউব (রাযিঃ) হইতে বর্নিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি সকালবেলা দশবার

لا الهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَهْ، لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَئ ٍ قَدِيْرٌ

পড়িবে তাহার জন্য দশটি নেকি লিখিয়া দেওয়া হইবে, তাহার দশটি গোনাহ মাফ করিয়া দেওয়া হইবে, তাহার দশটি মর্তবা উন্নত করিয়া দেওয়া হইবে, চারজন গোলাম আজাদ করার সমান সওয়াব হইবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তান হইতে তাহাকে হেফাজত করা হইবে। আর যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজের পর এই কালিমাগুলি পড়িবে সে সকাল পর্যন্ত এইসমস্ত পুরস্কার লাভ করিবে। (ইবনে হিব্বান)

৩. নফসিয়্যাত থেকে বাচার দু’আ

يَاحَىُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثْ أَصْلِحْ لِىْ شَأْنِىْ كُلَّهُ وَلَا تَكِلْنِيْ إِلَى نَفْسِىْ طَرْفَةَ عَيْنِ

উচ্চারণঃ ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম বি রহমাতিকা আস্তাগিস, আসলিহলি শা’নি- কুল্লাহু ওলা তাকিলনি ইলা নাফসি ত্বর ফাতা আঈ-ন

অর্থঃ হে চিরঞ্জীব, হে জমিন আসমান ও সমস্ত মাখলুকের রক্ষাকারী, আমি আপনার রহমতের উসীলায় ফরিয়াদ করিতেছি যে, আমার সমস্ত কাজ দুরস্ত করিয়া দিন এবং আমাকে এক পলকের জন্যও আমার নফসের সোপর্দ করিবেন না ।

উৎসঃ মুসতাদরাকে হাকেম

উপকারিতাঃ হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) বর্ননা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত ফাতেমা (রাযিঃ) কে বলিলেন, আমার নসীহত মনোযোগ দিয়া শোন, তুমি সকালে ও সন্ধ্যায় (এই দু’আ) পড়িও–

يَاحَىُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثْ أَصْلِحْ لِىْ شَأْنِىْ كُلَّهُ وَلَا تَكِلْنِيْ إِلَى نَفْسِىْ طَرْفَةَ عَيْنِ

অর্থাৎ, হে চিরঞ্জীব, হে জমিন আসমান ও সমস্ত মাখলুকের রক্ষাকারী, আমি আপনার রহমতের ওসীলায় ফরিয়াদ করিতেছি যে, আমার সমস্ত কাজ দুরস্ত করিয়া দিন এবং আমাকে এক পলকের জন্যও আমার নফসের সোপর্দ করিবেন না। (মুসতাদরাকে হাকেম)

৪. চিন্তা থেকে হেফাজতের দু’আ

حَسْبِيَ اللهُ لا إله إلا هو عَليه تَوَكّلْتُ وهو رَبُّ الْعَرشِ العَظِيْمِ

উচ্চারণঃ হাসবিয়াল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হুওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুওয়া রাব্বুল আরশিল আযীম।

অর্থঃ আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই, তাঁর প্রতি ভরসা করেছি, তিনি মহান আরশের অধিপতি।

উৎসঃ আবু দাঊদ

উপকারিতাঃ হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল বিকাল সাতবারঃ

“حَسْبِيَ اللهُ لا إله إلا هو عَليه تَوَكّلْتُ وهو رَبُّ الْعَرشِ العَظِيْمِ”

সত্য দিলে (অর্থাৎ আখিরাতের প্রতি একিন রাখিয়া) বলিবে, অথবা ফজিলতের প্রতি একিন ছাড়া এমনিই বলিবে, আল্লাহ্‌ তায়ালা তাহাকে (দুনিয়া আখিরাতের) সমস্ত চিন্তা হইতে হেফাজত করিবেন।

অর্থঃ ’আমার জন্য আল্লাহ্‌ তায়ালাই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন মা’বুদ নাই, তাহারই উপর আমি ভরসা করিলাম, তিনিই আরশে আজীমের মালিক’ (আবু দাঊদ)

৫. কষ্টদায়ক জিনিস হইতে হেফাজতের দু’আ

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

(সুরা ইখলাস)

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ

(সুরা ফালাক্ব)

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ

(সুরা নাস)

উচ্চারণঃ ক্বুলহু আল্লাহু আহাদ। ক্বুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক। ক্বুল আউযু বিরাব্বিন নাস।

উৎসঃ সুনান আবি দাউদ, হাদীস নং: ৪৯৯৬, আন্তর্জাতিক নং: ৫০৮২

সুনান তিরমিজি, হাদীস নং: ৩৫৭৫, আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৭৫

উপকারিতাঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে খুবাইব (রাযিঃ) হইতে বর্নিত আছে যে, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, বল ! আমি চুপ রহিলাম। পুনরায় বলিলেন, বল ! আমি চুপ রহিলাম। আবার বলিলেন, বল ! আমি আরজ করিলাম, কি বলিব ! এরশাদ করিলেন, সকাল বিকাল তিনবার

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ, قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ, قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ পড়িয়া লইও। এই সুরাগুলি প্রত্যেক কষ্টদায়ক জিনিস হইতে তোমার হেফাজত করিবে।

(আবু দাউদ, তিরমিজি )

ফায়দাঃ কোন কোন ওলামায়ে কেরামের মতে হাদীস শরীফের উদ্দেশ্য এই যে, যাহারা বেশি পড়িতে না পারে তাহারা যদি কমসেকম সকাল বিকাল এই তিনটি সূরা পড়িয়া লয় তবে ইনশাআল্লাহ যথেষ্ট হইবে।

(শরহুত তীবী)

৬. সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার

أللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণঃ উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আহ্‌দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ’উযুবিকা মিন শার্‌রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগ্‌ফির্‌লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্‌যুনূবা ইল্লা আনতা

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার রব। তুমি ছাড়া আর কোনো সত্য মাবুদ নাই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার বান্দা। আমি তোমার ওয়াদা ও অঙ্গীকারের উপর সাধ্যানুযায়ী প্রতিষ্ঠিত। আমি অনিষ্টকর যা কিছু করেছি তা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমার উপর তোমার যে নিয়ামত আছে তার স্বীকৃতি দিচ্ছি। তোমার নিকট আমার গুনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও; কেননা তুমি ছাড়া আর কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।

উৎসঃ (সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৮৬৭)

উপকারিতাঃ (১) হযরত সাদ্দাদ ইবনে আওস (রাযিঃ) হইতে বর্নিত আছে যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, সাইয়্যেদুল এস্তেগফার (অর্থাৎ মাগফিরাত চাওয়ার সর্বোত্তম তরীকা) এই যে, এইভাবে বলিবে–

“اللهم أنت ربي لا إله إلا أنت خلقتني وأنا عبدك وأنا على عهدك ووعدك ما استطعت، أعوذ بك من شر ما صنعت، أبوء لك بنعمتك عليَّ وأبوء لك بذنبي فاغفر لي فإنه لا يغفر الذنوب إلا أنت”

’অর্থঃ আয় আল্লাহ, আপনিই আমার রব, আপনি ব্যতীত কোন মা’বুদ নাই, আপনিই আমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন। আমি আপনার বান্দা, আমি সামার্থ্যানুযায়ী আপনার সহিত কৃত অঙ্গীকার ও ওয়াদার উপর কায়েম আছি, আমি আমার কৃত খারাপ আমল হইতে আপনার আশ্রয় গ্রহন করিতেছি । আমার উপর আপনার যে সমস্ত নেয়ামত রহিয়াছে উহা স্বীকার করিতেছি এবং আপন গুনাহেরও স্বীকারোক্তি করিতেছে। অতএব আমাকে মাফ করিয়া দিন। কেননা আপনি ব্যাতীত কেহ গুনাহসমূহ মাফ করিতে পারে না।’

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন যে, যে ব্যাক্তি দিলের একিনের সহিত দিনের যে কোন অংশে এই কালিমাগুলি পড়িয়াছে এবং সেইদিন সন্ধ্যার পূর্বে তাহার মৃত্যু হইয়া গিয়াছে সে জান্নাতীদের মধ্য হইতে হইবে। এমনিভাবে যদি কেহ দিলের একিনের সহিত রাত্রের কোন অংশে এই কালিমাগুলো পড়িয়াছে এবং সকাল হওয়ার পূর্বে তাহার মৃত্যু হইয়া গিয়াছে সে জান্নাতীদের মধ্য হইতে হইবে। (বোখারী)

(২) আবু মামার (র)……শাদ্দাদ ইবন উস (রাঃ) থেকে বর্ণিত । নবী (সা) বলেছেনঃ সাইয়্যেদুন ইস্তিগফার হলো বান্দার এ দু’আ পড়া–

اللهم أنت ربي لا إله إلا أنت خلقتني وأنا عبدك وأنا على عهدك ووعدك ما استطعت، أعوذ بك من شر ما صنعت، أبوء لك بنعمتك عليَّ وأبوء لك بذنبي فاغفر لي فإنه لا يغفر الذنوب إلا أنت

অর্থঃ হে আল্লাহ তুমিই আমার প্রতিপালক । তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই । তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ । আমি তোমারই গোলাম । আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি । আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি । তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়াঁমত দিয়েছ তা স্বীকার করছি । আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি । তুমি আমাকে মাফ করে দাও । কারন তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না । যে ব্যক্তি দিনের (সকাল) বেলায় দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এ ইস্তিগফার পড়বে আর সন্ধা হওয়ার আগেই সে মারা যাবে, সে জান্নাতী হবে । আর যে ব্যাক্তি রাতের (প্রথম) বেলায় দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এ দু’আ পড়ে নেবে আর সে ভোর হওয়ার আগেই মারা যাবে সে জান্নাতী হবে । সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৮৬৭

৭.  ৭০ হাজার ফেরেশতার দু’আ –

৩ বার “আউযুবিল্লাহিস্সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতোয়ানির রাজিম” পাঠ করার পর হাশরের শেষ তিন আয়াত

هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ ۚ عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَالشَّهَادَةِ‌ ۚ هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ‏ ﴿۲۲﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ۚ اَلۡمَلِكُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُهَيۡمِنُ الۡعَزِيۡزُ الۡجَـبَّارُ الۡمُتَكَبِّرُ‌ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يُشۡرِكُوۡنَ‏ ﴿۲۳﴾ هُوَ اللّٰهُ الۡخَـالِـقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُ‌ لَـهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰى‌ؕ يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ‌ۚ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ

উচ্চারণঃ হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি হুওয়াররাহমা-নুর রাহীম।

হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আলমালিকুল কুদ্দূছুছ ছালা-মুল ম’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আঝীঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বিরু ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন।

হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাওবিরু লাহুল আছমাউল হুছনা-; ইউছাব্বিহুলাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াহুওয়াল ‘ আঝীঝুল হাকীম।

অর্থঃ তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই; দৃশ্য- অদৃশ্যের জ্ঞাতা; তিনিই পরম করুণাময়, দয়ালু।

তিনিই আল্লাহ; যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ, মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে পবিত্র মহান।

তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী; তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ; আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশারী, প্রজ্ঞাময়।

উৎসঃ সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত,

তিরমিজি হাদীস নং: ২৯২২,আন্তর্জাতিক নং: ২৯২২

উপকারিতাঃ হযরত মা’কাল ইবনে ইয়াসার (রাঃ) এর বর্ণিত রেওয়ায়েত । রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : যে ব্যক্তি সকালে ৩ বার “আউযুবিল্লাহিস্সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতোয়ানির রাজিম” পাঠ করার পর

هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ

هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ

هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

সুরা হাশরের সর্বশেষ তিন আয়াত পাঠ করিবে । আল্লাহ তায়ালা তাহার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন,তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঠকারীর জন্য রহমতের দোয়া করবে। যেদিন এই আয়াত তিনটি পাঠ করিবে সেদিন পাঠকারী মারাগেলে শহীদের মউত হাসিল করিবে। যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এভাবে পাঠ করিবে সেও একই মর্তবা লাভ করিবে।

৮. জাহান্নাম থেকে বাঁচা

দোয়াটি হলো : (সাত বার): اللَّهُمَّ أَجِرْنِى مِنَ النَّارِ

উচ্চারণঃ বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার।

অর্থঃ বাংলা অর্থ : “হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও

উৎসঃ [আবু দাউদ-৫০৮১ নাসায়ি সুনানে কুবরা-৯৯৩৯ সহি ইবনে হিব্বান-২০২২]

উপকারিতাঃ ফজিলত : হজরত মুসলিম ইবনে হারেস তামিমি [রা.] বলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কানে কানে বললেন, যখন মাগরিবের নামাজের সালাম ফেরাবে, তখন কারো সঙ্গে কথা বলার আগে এই দোয়াটি সাত বার পড়বে। যদি তুমি পড় আর ওই রাতেই তুমি মারা যাও তাহলে তোমার জাহান্নাম থেকে মুক্তির ফায়সালা লিখে দেয়া হবে। ফজরের নামাজের পরও এ দোয়াটি একই নিয়মে সাতবার পড়বে। যদি তুমি পড়ে থাক আর ওই দিনেই তুমি মারা যাও তাহলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির ফায়সালা লিখে দেয়া হবে।

দ্র: দো‘আটি নিজের জন্য হলে ‘‘আজিরনী’’ হবে। সকলের জন্য হলে ‘‘আজিরনা’’ হবে।

৯. আমলকারীকে আল্লাহ সন্তুষ্ট করবেন

সকালে ও সন্ধ্যায় এ দু‘আ ৩ বার পাঠ করবে-

رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ [صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] نَبِيًّا

উচ্চারণঃ র দ্বী-তু বিল্লাহি রব্বান অবিল ইসলামি দ্বীনান ও বি মুহাম্মাদীন নাবিয়্যা

অর্থঃ অর্থঃ আমি সন্তুষ্ট আল্লাহ তা‘আলাকে রব হিসেবে, ইসলামকে দীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী হিসেবে মেনে নিয়ে।

উৎসঃ (আবু দাউদ হাদীস নং-৫০৩৩/তিরমিযী হাদীস নং-৩৩৮৯/মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৯৬৭)

উপকারিতাঃ ফযীলত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যা এ দু‘আটি পাঠ করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে অবশ্যই সন্তুষ্ট করবেন।

مسند أحمد ط الرسالة (31/ 302)

حديث خادم النبي صلى الله عليه وسلم

18967 – حدثنا أسود بن عامر، حدثنا شعبة، عن أبي عقيل، قاضي واسط، عن سابق بن ناجية، عن أبي سلام، قال: مر رجل في مسجد حمص، فقالوا: هذا خادم النبي، صلى الله عليه وسلم، قال: فقمت إليه، فقلت: (1) حدثني حديثا سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم، لا يتداوله بينك وبينه الرجال، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” ما من عبد مسلم يقول حين يصبح وحين يمسي ثلاث مرات: رضيت بالله ربا، وبالإسلام دينا، وبمحمد صلى الله عليه وسلم نبيا، إلا كان حقا على الله أن يرضيه يوم القيامة ” (2)

__________

(1) في (ق) : فقلت له.

(2) حديث صحيح لغيره، وهذا إسناد ضعيف لجهالة سابق بن ناجية، فلم يذكروا في الرواة عنه سوى أبي عقيل: وهو هاشم بن بلال الدمشقي، ولم يؤثر توثيقه عن غير ابن حبان.

وقد اختلف فيه على أبي عقيل، فرواه شعبة عنه، عن سابق، عن أبي سلام: وهو ممطور الحبشي، عن خادم النبي صلى الله عليه وسلم.

ورواه مسعر عنه- واختلف عليه فيه- كما سيأتي في تخريج الرواية (18968) – فقال: عن سابق بن ناجية، عن أبي سلام خادم النبي صلى الله عليه وسلم. قال الحافظ في “الإصابة” 4/93: وحديث شعبة هو المحفوظ قلنا: وهو ما أشار إليه كذلك المزي في “تهذيب الكمال” (في ترجمة سابق بن ناجية) .

وقد وقع عند الحاكم 1/518 من طريق شعبة إلا أن فيه: سمعت أبا عقيل هاشم بن بلال يحدث عن أبي سلام سابق بن ناجية، فقلب الإسناد،=

১০. হঠাৎ মুসীবত থেকে হেফাজত

এই কালেমাগুলি সকালে ও সন্ধ্যায় ৩ বার পাঠ করবে

باسْمِ اللَّهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِيْ الأرْضِ وَلا فِيْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ العَلِيْمُ

উচ্চারণঃ বিসম্মিল্লাহ হিল্লাযী লা ইয়া দুররু মা আসমিহী সাইয়ুন ফিল আরদি ওলা ফিস সামায়ি ও হুয়াস সামিউল আলিম

অর্থঃ সেই আল্লাহর নামে ( আমি সকাল অথবা সন্ধ্যা করিলাম) যাহার নামের সহিত জমিন আসমানের জিনিস ক্ষতি করেনা এবং তিনি (সব কিছু) শুনেন ও জানেন।

উৎসঃ (আবু দাউদ হাদীস নং-৫০৪৭، তিরমিযী হাদীস নং-৩৩৮৮)

উপকারিতাঃ হযরত ওসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই এরশাদ করিতে শুনিয়াছি যে, কেহ এই কালেমাগুলিঃ

باسْمِ اللَّهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِيْ الأرْضِ وَلا فِيْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ العَلِيْمُ

সন্ধ্যায় তিনবার পাঠ করিলে সকাল পর্যন্ত এবং সকালে তিনবার পাঠ করিলে সন্ধ্যা পর্যন্ত হঠাৎ কোন মুসীবত তাহার উপর আসিব না।

১১. শয়তান থেকে হেফাজতকারী

সকালে ও সন্ধ্যায় এ দু‘আ (১০ বার) পড়বে-

لا إلهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ على كُلّ شَيْءٍ قَدِيرٌ.

উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।

অর্থঃ অর্থঃ আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সর্বময় রাজত্ব একমাত্র তাঁরই জন্য। তাঁরই জন্য সকল প্রশংসা। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।

উৎসঃ (আবু দাউদ হাদীস নং-৫০৩৮, ৫০৭৯)

উপকারিতাঃ ফযীলত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সকাল বেলা এ দু‘আটি পাঠ করবে তার একটি গোলাম আযাদ করার সওয়াব হবে, দশটি নেকী লেখা হবে, দশটি গুনাহ মাফ হবে এবং দশটি মর্যাদা বুলন্দ হবে। আর এটি তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তান থেকে রক্ষামূলক ব্যবস্থা হবে। যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলায় দু‘আটি পাঠ করবে সকাল পর্যন্ত সে অনুরূপ সওয়াব পাবে।

১২. চিন্তা থেকে হেফাজতের দু’আ

চিন্তা থেকে হেফাজতের দু’আ (৭বার)

حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ

উচ্চারণঃ হাসবিয়্যাল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হুওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুওয়া রাব্বুল আরশিল আযীম।

অর্থঃ আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই, তাঁর প্রতি ভরসা করেছি, তিনি মহান আরশের অধিপতি।

উৎসঃ আবু দাঊদ হাদীস নং: ৪৯৯৫আন্তর্জাতিক নং: ৫০৮০ – ৫০৮১

উপকারিতাঃ হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল বিকাল সাতবারঃ

“حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ”

সত্য দিলে (অর্থাৎ আখিরাতের প্রতি একিন রাখিয়া) বলিবে, অথবা ফজিলতের প্রতি একিন ছাড়া এমনিই বলিবে, আল্লাহ্‌ তায়ালা তাহাকে (দুনিয়া আখিরাতের) সমস্ত চিন্তা হইতে হেফাজত করিবেন।

অর্থঃ ’আমার জন্য আল্লাহ্‌ তায়ালাই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন মা’বুদ নাই, তাহারই উপর আমি ভরসা করিলাম, তিনিই আরশে আজীমের মালিক’

(আবু দাঊদ)

১৩. ৭০ হাজার ফেরেশতার দু’আ

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত (২২-২৪)

هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ ۚ عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَالشَّهَادَةِ‌ ۚ هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ‏ ﴿۲۲﴾ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ‌ۚ اَلۡمَلِكُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُهَيۡمِنُ الۡعَزِيۡزُ الۡجَـبَّارُ الۡمُتَكَبِّرُ‌ؕ سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يُشۡرِكُوۡنَ‏ ﴿۲۳﴾ هُوَ اللّٰهُ الۡخَـالِـقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُ‌ لَـهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰى‌ؕ يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ‌ۚ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ

উচ্চারণঃ হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি হুওয়াররাহমা-নুর রাহীম।

হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আলমালিকুল কুদ্দূছুছ ছালা-মুল ম’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আঝীঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বিরু ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন।

হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাওবিরু লাহুল আছমাউল হুছনা-; ইউছাব্বিহুলাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াহুওয়াল ‘ আঝীঝুল হাকীম।

অর্থঃ তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই; দৃশ্য- অদৃশ্যের জ্ঞাতা; তিনিই পরম করুণাময়, দয়ালু।

তিনিই আল্লাহ; যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ, মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে পবিত্র মহান।

তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী; তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ; আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশারী, প্রজ্ঞাময়।

উৎসঃ সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত

উপকারিতাঃ তিরমিযি শরীফে হযরত মা’কাল ইবনে ইয়াসার (রাঃ) এর বর্ণিত রেওয়ায়েত । রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : যে ব্যক্তি সকালে ৩ বার “আউযুবিল্লাহিস্সামিউল আলিমি মিনাশ শাইতোয়ানির রাজিম” পাঠ করার পর

هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ

هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ

هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

সুরা হাশরের সর্বশেষ তিন আয়াত পাঠ করিবে । আল্লাহ তায়ালা তাহার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন,তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঠকারীর জন্য রহমতের দোয়া করবে। যেদিন এই আয়াত তিনটি পাঠ করিবে সেদিন পাঠকারী মারাগেলে শহীদের মউত হাসিল করিবে। যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এভাবে পাঠ করিবে সেও একই মর্তবা লাভ করিবে।

১৪. ফজর থেকে চাশত পর্যন্ত অজিফার থেকে ভারী

سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ

উচ্চারণঃ উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি ওয়া-রিজা নাফসিহি ওয়া জিনাতা আরশিহি ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।

অর্থঃ অর্থ: আমি আল্লাহতায়ালার প্রশংসাসমেত পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তার সৃষ্টিকুলের সংখ্যার পরিমাণ, তিনি সন্তুষ্ট হওয়া পরিমাণ, তার আরশের ওজন সমপরিমাণ, তার কথা লিপিবদ্ধ করার কালি পরিমাণ।

উৎসঃ সহিহ মুসলিম শরিফ : ৭০৮৮

উপকারিতাঃ উম্মুল মুমিনীন হজরত জুওয়াইরিয়া (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সময় আমার ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আমি জায়নামাজে ছিলাম। তিনি চাশতের সময় আমার ঘরে ফিরে এলেন। তখনও আমি জায়নামাজে ছিলাম।

উম্মত জননী হজরত জুওয়াইরিয়া (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সময় আমার ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আমি জায়নামাজে ছিলাম। তিনি চাশতের সময় আমার ঘরে ফিরে এলেন। তখনও আমি জায়নামাজে ছিলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘জুওয়াইরিয়া! আমি যাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এভাবেই ওজিফা আদায়ে মশগুল ছিলে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি আমাকে বললেন, আমি তোমার পরে চারটি বাক্য তিনবার বলেছি। যদি এগুলোকে ওজন করা হয় তবে তোমার কৃত সমস্ত ওজিফার চেয়ে এগুলোই বেশি ভারি হবে। আর তা হলো-

سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ

উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি ওয়া-রিজা নাফসিহি ওয়া জিনাতা আরশিহি ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।

১৫. নিয়মিত আমলের বদলা

فَسُبْحَانَ اللَّهِ حِينَ تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ

وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ

يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَيُحْيِي الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ۚ وَكَذَٰلِكَ تُخْرَجُونَ

উচ্চারণঃ ফাসুব হা-না ল্লা-হি হীনা তুম সু-না অহী-না তুছ্ব বিহূ-ন্

অলাহুল হামদু ফিস্ সামা-ওয়া-তি অল আরদ্বি অ‘আশিয়্যান ওহীনা তুজ-হিরুন।

ইয়ুখরিজুল হাইয়্যা মিনাল্ মাইয়্যিতি অ ইয়ুখরিজুল মাইয়্যিতা মিনাল হাইয়্যি অইয়ুহইল  আরদ্বা বায়’দা মাওতিহা-অকাযা-লিকা তুখ রজুন

অর্থঃ তোমরা যখন সন্ধ্যা কর এবং যখন সকাল কর তখন আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতা বর্ননা কর এবং সমস্ত আসমান ও জমিনে তাহারই প্রশংসা হয় এবং তোমরা দিনের তৃতীয় প্রহরে এবং সময়ে তিনি জীবিতকে মৃত হইতে বাহির করেন।

উৎসঃ সূরা রোম, আয়াতঃ ১৭-১৯; আবু দাঊদ হাদীস নং: ৪৯৯২ আন্তর্জাতিক নং: ৫০৭৬

উপকারিতাঃ হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হইতে বর্নিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি সকালে (একুশ পারায় সূরা রোমের) এই তিনটি আয়াত

فَسُبْحَانَ اللَّهِ حِينَ تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ

وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ

يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَيُحْيِي الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ۚ وَكَذَٰلِكَ تُخْرَجُونَ

 

পড়িয়া লইবে তাহার সেই দিনের (নিয়মিত আমল ইত্যাদি) যাহা ছুটিয়া যাইবে উহার সওয়াব সে পাইয়া যাইবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এই আয়াতগুলি পড়িয়া লইবে তাহার সেই রাত্রের (নিয়মিত আমল) যাহা ছুটিয়া যাইবে সে উহার সওয়াব পাইয়া যাইবে।

অর্থঃ তোমরা যখন সন্ধ্যা কর এবং যখন সকাল কর তখন আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতা বর্ননা কর, এবং সমস্ত আসমান ও জমিনে তাহারই প্রশংসা হয় এবং তোমরা দিনের তৃতীয় প্রহরে ও জোহরের সময়ে (ও আল্লাহ্‌ তায়ালার পবিত্রতা বর্ননা কর) তিনি জীবিতকে মৃত হইতে বাহির করেন, এবং মৃতকে জীবিত হইতে বাহির করেন, এবং জমিনকে উহার মৃত অর্থাৎ শুষ্ক হওয়ার পর জীবিত অর্থাৎ সজীব করিয়া তোলেন। এবং এইভাবে তোমাদিগকে (কিয়ামতের দিন কবর হইতে) বাহির করা হইবে। (আবু দাঊদ)

১৬. চিন্তা, পেরেশানি, ঋণ, অলসতা ও কাপুরুষতার দূরীকরন

اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَ الْكَسَلِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَ الْبُخْلِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَ قَهْرِ الرِّجَالِ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি ওয়া আউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়া আউযুবিকা মিন গালাবাতিত দাইনি ওয়া কাহরির রিজালি।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই চিন্তা পেরেশানি থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অপারগতা ও অলসতা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কাপুরুষতার ও কৃপণতা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই ঋণের বোঝা ও মানুষের ক্ষোভ থেকে।

উৎসঃ সুনানু আবী দাঊদ ১৫৫৫

উপকারিতাঃ আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রাসুল তাকে বললেন, আবু উমামা! ব্যাপার কী, নামাজের সময় ছাড়াও তোমাকে মসজিদে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে? আবু উমামা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অনেক ঋণ এবং দুনিয়ার চিন্তা আমাকে গ্রাস করে রেখেছে। তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু কালেমা শিখিয়ে দেব, যেগুলো বললে আল্লাহ তোমার চিন্তাকে দূর করে দেবেন এবং তোমার ঋণগুলো আদায় করে দেবেন। তিনি বলেন, জি হ্যাঁ ইয়া রাসুলাল্লাহ! অবশ্যই বলুন, তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উপর্যুক্ত দোয়াটি শিখিয়ে দেন এবং তা সকাল-সন্ধ্যায় পড়তে বলেন। আবু উমামা বলেন, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এ দোয়াটি পড়তে লাগলাম। ফলে আল্লাহ আমার চিন্তা দূর করে দিলেন এবং আমার ঋণগুলোও আদায় করে দিলেন।

( সুনানু আবী দাঊদ ১৫৫৫)

১৭. শিশুদের হেফাজতের দু‘আ

أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ

উচ্চারণঃ আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিওঁ ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়ামিন কুল্লি আইনিল্লা-ম্মাহ্‌।

অর্থঃ আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ কথাসমূহের, সকল শয়তান থেকে, সকল ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও প্রাণী থেকে এবং সকল ক্ষতিকারক দৃষ্টি থেকে।

উৎসঃ বুখারী হাদীস নং-৩৩৭১ সুনান তিরমিযী  হাঃ ২০৬০

উপকারিতাঃ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِيْ شَيْبَةَ حَدَّثَنَا جَرِيْرٌ عَنْ مَنْصُوْرٍ عَنْ الْمِنْهَالِ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُعَوِّذُ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ وَيَقُوْلُ إِنَّ أَبَاكُمَا كَانَ يُعَوِّذُ بِهَا إِسْمَاعِيْلَ وَإِسْحَاقَ أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান এবং হুসাইন (রাঃ)-এর জন্য নিম্নোক্ত দু‘আ পড়ে পানাহ চাইতেন আর বলতেন, তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আঃ) ইসমাঈল ও ইসহাক (আঃ)-এর জন্য দু‘আ পড়ে পানাহ চাইতেন। আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমার দ্বারা প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টির অনিষ্ট হতে পানাহ চাচ্ছি।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বাক্যগুলি দ্বারা হাসান ও হুসাইনকে (রাঃ) হেফাজত করাতেন। তিনি বলতেন, ইবরাহীম (আ.) এই বাক্যদ্বারা তার দুই সন্তান ইসমাঈল ও ইসহাককে (আ) হেফাজত করাতেন। সকল মুমিন পিতা ও মাতার উচিত সকাল ও সন্ধ্যায় এই বাক্যগুলি পাঠ করে সন্তানদের ফুঁক দেওয়া ও দু‘আ করা।

১৮. দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তির দোয়া # ৩

اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو، فَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রহ্‌মাতাকা আরজু ফালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বারফাতা ‘আইন, ওয়া আসলিহ্ লী শা’নি কুল্লাহু, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতেরই আশা করি। তাই আপনি এক নিমেষের জন্যও আমাকে আমার নিজের কাছে সোপর্দ করবেন না। আপনি আমার সার্বিক বিষয়াদি সংশোধন করে দিন। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই

উৎসঃ আবূ দাউদ, ৪/৩২৪, নং ৫০৯০; আহমাদ ৫/৪২, নং ২০৪৩০

উপকারিতাঃ حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْجَلِيلِ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ لِأَبِيهِ: يَا أَبَتِ إِنِّي أَسْمَعُكَ تَدْعُو كُلَّ غَدَاةٍ اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي، اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي، اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، تُعِيدُهَا ثَلَاثًا، حِينَ تُصْبِحُ، وَثَلَاثًا حِينَ تُمْسِي، فَقَالَ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو بِهِنَّ فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَسْتَنَّ بِسُنَّتِهِ، قَالَ عَبَّاسٌ فِيهِ: وَتَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ، وَالْفَقْرِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ تُعِيدُهَا ثَلَاثًا حِينَ تُصْبِحُ، وَثَلَاثًا حِينَ تُمْسِي، فَتَدْعُو بِهِنَّ فَأُحِبُّ أَنْ أَسْتَنَّ بِسُنَّتِهِ قَالَ: وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: دَعَوَاتُ الْمَكْرُوبِ اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو، فَلَا تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، وَبَعْضُهُمْ يَزِيدُ عَلَى صَاحِبِهِ

আব্দুর রাহমান ইবনু আবূ বাকর বলেন, আমি আমার পিতাকে বললাম, হে আব্বাজান! আমি আপনাকে প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় তিনবার বলতে শুনিঃ ‘‘হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।’’

তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ বাক্যগুলো দ্বারা দু‘আ করতে শুনেছি। সেজন্য আমিও তার নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি। আব্বাস (রাঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে তিনি বললেনঃ ‘‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কুফরী ও দরিদ্রতা থেকে আশ্রয় চাইছি। হে আল্লাহ! আমি কবরের আযাব থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাইছি, আপনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই।’’

তিনি এ দু‘আ সকালে তিনবার ও সন্ধ্যায় তিনবার করে বলতেন। তাই আমিও তাঁর নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির দু‘আ হলোঃ ‘‘হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমত প্রার্থী। কাজেই আমাকে এক পলকের জন্যও আমার নিজের নিকট সোপর্দ করবেন না এবং আমার সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে দিন। আর আপনিই একমাত্র ইলাহ।

(আবূ দাউদ,৫০৯০)

১৯. প্রতি রাতে সুরা ইয়াসিন পড়ার ফযীলত

সুরা ইয়াসিন

উৎসঃ (সহীহ ইবনে হিব্বান হাঃ২৫৭৪ ) (ইবনুস সুন্নী – ৬৭৪)

হাদিসটি আমলযোগ্য।

উপকারিতাঃ প্রতি রাতে সুরা ইয়াসিন পড়ার ফযীলত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।যে ব্যক্তি প্রতি রাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন।

কিছু হাদীস উল্লেখ করা হলোঃ

১- أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، مَوْلَى ثَقِيفٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعِ بْنِ الْوَلِيدِ السَّكُونِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ خَيْثَمَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ جُنْدُبٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ ‌قَرَأَ ‌يس فِي لَيْلَةٍ ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ غُفِرَ لَهُ»

অর্থঃ নবীজী সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

যে ব্যক্তি প্রতি রাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে  সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে, তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।

(সহীহ ইবনে হিব্বান হাঃ২৫৭৪ )

২- أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحَرِيشِ، ثنا الْأَغْلَبُ بْنُ تَمِيمٍ، عَنْ أَيُّوبَ، وَيُونُسَ، وَهِشَامٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” مَنْ ‌قَرَأَ: ‌يس فِي يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ ”

অর্থঃ নবীজী সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

যে ব্যক্তি দৈনিক আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। (ইবনুস সুন্নী – ৬৭৪)

২০. সকাল সন্ধ্যার কালেমা

اللَّهُمَّ عَالِمَ الغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ، رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطانِ وَشِرْكِهِ، وَأَنْ أَقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِي سُوءاً، أَوْ أَجُرَّهُ إِلَى مُسْلِمٍ

 

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ‘আ-লিমাল গাইবি ওয়াশ শাহা-দাতি, ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, রাব্বা কুল্লি শাই’ইন ওয়া মালীকাহু, আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, আ‘উযু বিকা মিন শাররি নাফসী, ওয়ামিন শাররিশ শাইত্বা-নী ওয়াশিরকিহী, ওয়া আন আক্বতারিফা ‘আলা নাফসী সূ’আন আউ আজুররাহু ইলা মুসলিম

অর্থঃ হে আল্লাহ! হে গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানী, হে আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, হে সব কিছুর রব্ব ও মালিক! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আমার আত্মার অনিষ্ট থেকে, শয়তানের অনিষ্টতা থেকে ও তার শির্ক বা তার ফাঁদ থেকে, আমার নিজের উপর কোনো অনিষ্ট করা, অথবা কোনো মুসলিমের দিকে তা টেনে নেওয়া থেকে।

উৎসঃ আবূ দাউদ, ৪/৩১৭, নং ৫০৬৭; তিরমিযী, নং ৩৬২৯।

উপকারিতাঃ حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مُرْنِي بِكَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ إِذَا أَصْبَحْتُ، وَإِذَا أَمْسَيْتُ، قَالَ: قُلْ: اللَّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ، عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَشَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ قَالَ قُلْهَا إِذَا أَصْبَحْتَ، وَإِذَا أَمْسَيْتَ، وَإِذَا أَخَذْتَ مَضْجَعَكَ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন কিছু কালেমা শিখিয়ে দিন যা আমি সকাল-সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলবো। তিনি বলেনঃ তুমি বলো, ‘‘হে আল্লাহ! আপনি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞাতা, প্রত্যেক বস্তুর রব ও মালিক! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। আমার মনের কু-প্রবৃত্তি, শয়তানের খারাবী ও তার শিরকী থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি।’’ তিনি বলেনঃ হে আবূ বাকর! তুমি এ কথাগুলো ভোরে, সন্ধ্যায় ও শোয়ার সময় বলবে। (আবূ দাউদ,  ৫০৬৭)

 

WhatsApp Chat