
আসমান ও জমীনের খাজানা সমূহ
( মাকালীদুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ)
সংকলক
বিশ্ব বিখ্যাত দাওয়াত ও তাবলীগের তরজুমান (মুখপাত্র) হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ উমর পালনপুরী ছাহেব ( রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এর সুযোগ্য ছাহেবঝাদা জনাব মাওঃ মুহাম্মাদ ইউনুস পালনপুরী(দাঃ বাঃ)
অনুবাদক
মুফতী মুহিব্বুল হক সাহেব দাঃ বাঃ
খলীফা সাতকানীয়া হুজুর রহঃ
সম্পাদনায়
জনাব মুস্তাফিজুর রহমান(মুস্তাক)
প্রকাশনায়
ইশাআ’তে হক প্রকাশনী
বর্ণবিন্যাসঃ মাওঃ হাবীবুল্লাহ
প্রকাশকালঃ মুহাররম ১৪৩৬ হিঃ নভেম্বর ২০১৪ ইং
বিঃ দ্রঃ স্বত্ব উন্মুক্ত,কোন ধরনের পরিবর্তন ব্যতিরিকে
যাদের জন্য উৎসর্গ
শ্রেষ্ঠ উম্মতের শ্রেষ্ঠ কাজে
ধন্য জাতী,
যাদের ত্যাগ ও কুরবানীর উছিলায়
ঐ সকল মুবাল্লিগে দ্বীন
বিশেষত বড়
হযরতজী মাওলানা ইলিয়াছ ( রহঃ)
হতে শুরু করে সমস্ত
মুরব্বিয়ানে
কেরাম এর মাগফিরাত ও আত্মার
প্রশান্তির জন্য উৎসর্গ
করলাম
হে আল্লাহ তুমি কবুল কর।
মুহিব্বুল হক
সুচিপত্র
অভিমত ও দুয়া
ভুমিকা
১ সকাল বেলার জিকির ও দুয়া সমূহ
২ সর্র্ব ব্যপারে যথেষ্ট হওয়ার আমল
৩ দুনিয়া ও আখেরাতের সব ব্যপারে যথেষ্ট হওয়ার আমল
৪ জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তির আমল
৫ আল্লাহর নেয়ামত পরিপূর্ন করে দেওয়ার আমল
৬ রাত দিন আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় হওয়ার আমল
৭ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হবার আমল
৮ দুনিয়া ও আখেরাতের সব কল্যাণ অর্জনের আমল
৯ আকস্মিক বিপদ হতে মুক্তির আমল
১০ কোন সংবাদের অপেক্ষায় থাকা কালিনের আমল
১১ আল্লাহর তাসবীহ তাহমীদ সম্বলীত আমল
১২ শরীর সুস্থ থাকার আমল
১৩ শয়তানের প্রলম্বনা হতে বাঁচার আমল
১৪ জান্নাতে যাওয়ার আমল
১৫ সার্বিক শান্তির আমল
১৬ পেরেশানী দুর হওয়া ও ঋন পরিশোধের আমল
১৭ ইলমে নাফে‘য় ও হালাল অর্জনের আমল
১৮ দোযখের আগুন হতে বাঁচার আমল
১৯ আল্লাহর শান মোতাবেক প্রতিদান পাওয়ার আমল
২০ বিভিন্ন বিপদ আপদ হতে মুক্তি পাওয়ার আমল
২১ উত্তম রিযিক পাওয়ার আমল
২২ নবীর হাত ধরে বেহেস্তে যাওয়ার আমল
২৩ দৈনিক আমলেম মধ্যে ত্রুটি বিচ্যুতর ক্ষতি পুরনের আমল
২৪ সব ধরনের বালা মসিবত দুর হওয়ার আমল
২৫ শহীদের মর্যাদায় ভূষিত হওয়ার জন্য ফেরেস্তাদের দুয়া পাওয়ার আমল
২৬ সকল প্রয়োজন মিটাবার আমল
২৭ জিন্নাতের ক্ষতি হতে রক্ষার আমল
২৮ যাদু ও শয়তানের দুষ্টামী হতে বাঁচার আমল
২৯ বিশেষ ভাবে যাদু হতে বাঁচার আমল গুনাহ মাফ ও নেকী পাবার আমল
৩০ ৩টি বিকলঙ্গ রোগ হতে রক্ষা পাওয়ার আমল
৩১ জ্বিনের ক্ষতি হতে বাঁচার আমল
৩২ বিশেষ কিছু কালিমা পড়ার গুরুত্ব
৩৩ আল্লাহর ৯৯ নাম ও উহা পড়ার ফজিলত
৩৪ অভিজ্ঞতার আলোকে কতিপয় আয়াতের আমল
৩৫ সন্ধ্যা বেলার জিকির ও দুয়া সমূহ
৩৬ আয়াতে হেফাজত ও উহার ফজিলত
৩৭ রাত্রি বেলার অজিফা সমূহ
৩৮ সুরায়ে মুল্কের ফজিলত
৩৯ সুরায়ে ওয়াকিয়ার ফজিলত
৪০ সুরায়ে আর-রাহমান, ওয়াকিয়াহ ও হাদীদ পড়ার ফজিলত
৪১ অসুস্থতা ও ভুকা হতে শান্তিতে থাকার আমল
৪২ সারাদিন গুনাহ থেকে বেচে থাকার আমল
৪৩ আত্মার প্রশান্তি ফিরিয়ে পাবার আমল
৪৪ সব ধরনের রোগ শোক ইত্যাদি হতে বাঁচার আমল
৪৫ দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী হতে বাচবার আমল ও দুয়ায়ে ইউনুসের ফাজায়েল
৪৬ আয়াতে শিফা
৪৭ নিজ সন্তানদের শুদ্ধীর দুয়া
৪৮ শারীরীক সুুস্থতা ও অঙ্গাদী ভাল থাকার আমল
৪৯ নর হত্যা ও বালা মুসিবত হতে বাঁচার আমল
৫০ দারিদ্রতা হতে নাজাত পাওয়ার আমল
৫১ ফরজ নামাযান্তে পড়ার দুয়া সমূহ
৫২ আদইয়্যাতুল ইস্তিয়া‘জাহ
৫৩ প্রত্যেক দিনের ভিন্ন অজিফা
৫৪ শুক্রবার পড়ার অজিফা
৫৫ শনিবার পড়ার অজিফা
৫৬ রবিবার পড়ার অজিফা
৫৭ সোমবার পড়ার অজিফা
৫৮ মঙ্গলবার পড়ার অজিফা
৫৯ বুধবার পড়ার অজিফা
৬০ বৃহস্পতিবার পড়ার অজিফা
আন্তর্জাতিক হাফেজে কুরআন ও ক্বারী, সাবেক ইমাম ও খতীব কাত্বার দোহা খ্যাতি স্ম¥পন্ন মুফাস্সিরে কুরআন, বর্তমান খত্বীব ঢাকা ফকিরাপুল টি, এন্ড, টি কলোনী জামে মসজিদ এবং সুযোগ্য মুহতামিম ইসলামপুর (ভবানীপুর) মাদরাসা। জনাব আলহাজ হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ ইসমাঈল ইবরাহীম ছাহেব (দামাতবারাকাতুহুম) এর
অভিমত ও দু‘য়া
সমস্ত প্রশংসা ও শুকরিয়া মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিনের জন্য যিনি দয়া করে আমাদের কে ঈমানের দৌলত দানে ধন্য করেছেন অসংখ্য দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর। আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের ইবাদতের মধ্যে অন্যতম একটি ঈবাদত হল দু‘য়া। হাদিসের মধ্যে আছে যে, দু‘য়া দু‘য়া ইবাদতের মগজ বা মূল। আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন বান্দাকে দু‘য়া করার জন্য বিশেষ ভাবে আদেশ করেছেন, তবে সেই দু‘য়া অবশ্যই নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম এর তরিকায় হওয়া অবশ্যকীয়। যেহেতু বান্দার কোন কাজ কখনই আল্লাহ তায়ালার নিকট গ্রহন যোগ্য হবে না যে যাবত তা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরীকা অনুযায়ী না হবে । তাই দু‘য়ার ব্যপারে আল্লাহর নবী উম্মত কে অত্যান্ত উত্তম পন্থা বাতায়ে দিয়েছেন। আর সে ব্যপারে বিশ্ব বিখ্যাত মুবাল্লীগে দ্বীন দাওয়াত ও তাবলীগের তরজুমান (মুখ পাত্র) হযরত মাওলানা উমর পালন পুরী ছাহেব (রহঃ) এর সুযোগ্য ছাহেবঝাদাহ হযরত মাওলানা ইউনুছ পালন পুরী (দাঃ বাঃ) “মাকালীদুস সমাওয়াতি ওয়াল র্আদ” পুস্তিকা খানা সংকলন করে ইয়াতীম উম্মাতে মুহাম্মাদিয়ার ইহকালীন ও পরকালীন সার্বিক সফলতার পথ উম্মুক্ত করে দিয়েছেন যা আমার নিকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বলে অবহিত। যেহেতু মূল কিতাব আরবী যাহা আমাদের বাংলা ভাষী সর্ব সাধারনের জন্য বুঝা দুষ্কর ও বটে। বিধায় আমাদের মাদরাসার উস্তাদ মুহিব¦ুল হক সাহেব কে বললাম যেন উম্মাতের ফায়দা কে সামনে রেখে বইটির বাংলা করেন। তাই তিনি কষ্ট করে উহার অনুবাদ করে উম্মাতের সামনে পেশ করেছেন। দু‘য়া করি আল্লাহ তায়ালা তার প্রচেষ্টা টুকু কবুল করেন এবং এর সাথে সংশ্লীষ্ট সকল কে আল্লাহর শান অনুযায়ী দুনিয়া ও আখেরাতের উত্তম প্রতিদানে ধন্য করেন এবং লিখক ও তরজুমান কে আরো বেশি করে দ¦ীনের সব ধরনের খেদমত করার তৌফিক দান করেন। আমীন
মুহাম্মাদ ইসমাঈল
১৬/১১/২০১৪ ইং
সকাল ও সন্ধ্যার আ’মাল
খুৎবা
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রব্বুল আলামীন এর জন্য এবং সালাত ও সালাম নাজিল হোক আমাদের নবী সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবাদের উপর এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাঁদের সকল সুন্দর পথের অনুসারীদের উপর।
অত:পর এই পুস্তিকাখানা বাছাইকৃত কিছু জিকির-দু‘য়া ও ঝাড়-ফুক্ এর আমল সম্পর্কে লিখিত। যা সংকলণ করেছেন শায়েখ ইউনুস পালনপুরী। যিনি হলেন বিশ্ব মুবাল্লিগে দ্বীন, আন্তর্জাতিক দা’য়ী হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ উমর পালনপুরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এর সুযোগ্য সন্তান,সম্মানিত সংকলোক এই পুস্তিকাখানা নাম করণ করেছেনÑমাকালিদুস সামাওয়াতি ওয়াল র্আদ (অর্থাৎ আসমান ও জমীনের খাজানা সমূহ) এবং এ বিষয়ের উপর পুস্তিকাখানা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই উম্মাতে মরহুমাহ আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত দ্বীনে হানীফের বাহক ও দায়িত্বশীল। ও কিয়ামত পর্যন্ত সকলের কাছে এই দ্বীন পৌছে দেওয়ার জিম্মাদারী এই উম্মতের উপর ন্যস্ত। বিধায় অনেকাংশে উম্মত তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক শক্তি সামর্থর মুখাপেক্ষী হবে। অনেক সময় বিভিন্ন বাধা-বিপত্তিও সমস্যার সম্মুখিন হবে। আর ঐ সব সমস্যা সমাধানের বিকল্প কোন ব্যবস্থাও উম্মতের থাকবে না। একমাত্র আল্লাহর সাহায্য ও মদদ্ ব্যতীত।
তখন আল্লাহ তায়ালার নিকট সাহায্য চাওয়া ও আল্লাহ তায়ালার থেকে শক্তি সামর্থ চেয়ে নেয়া অপরিহার্য। যেন আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সেই তাবলীগের দায়িত্ব পালনের তৌফিক দান করেন। যে তাবলীগের দায়িত্ব নবীয়ে আরবী, কুরাইশী, মহা বিশ্বাসী, রহমাতুল্লিল আলামীন সমস্ত সালাত ও সালামের অধিকারি তার পক্ষ হতে উত্তরাধিকার সূত্রে দায়িত্ব প্রাপ্ত। তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সেই মহা তাবলীগের দায়িত্ব পালনের পথের হাতিয়ার যোগান দিয়ে দেন। সেই পথের হাতিয়ার আর সামান হল দু‘য়া ও জিকির সমূহ যা পালনের মধ্যে আমাদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা বিদ্ধমান। যখন আমরা আল্লাহ তায়ালার দেয়া ফরজ সমূহ আদায় করব ও তাঁরই নিষেধাবলী হতে বিরত থাকব।
সম্মানিত সংকলক এই পুস্তিকাখানা সংকলন করতে ধারাবাহিকভাবে হাদীসের কিতাবগুলি উল্লেখ করেছেন। যার মধ্যে প্রথমে বুখারী, মুসলিম, মুয়াত্বায়ে ইমামে মালেক, তিরমিজী, আবু দাউদ, নাসায়ী, মুসনাদে আহমদ, ইবনে মাজাহ, সহীহ ইবনে হিব্বান, মুস্তাদরাক হাকেম, মুসনাদে ইমাম শাফেয়ী, বাইহাকী মুসান্নাফে ইবনে আব্দুর রাজ্জাক, মুসান্নাফে আবি বকর ইবনে আবি শায়বা,ত্ববরানী, সুনানে দারমী, মুসান্নাফে আবি নাঈম ও ইবনে আ’সাকির।
উল্লেখিত কিতাব সমূহকে হাদীসের সনদ ও মতনের দিক হতে বিভক্ত করা হয়েছে। অন্যথায় সমস্ত হাদীসই (মওজু’য় গুলো ব্যতীত) শ্রেণীভাগ হিসেবে গ্রহন যোগ্যতা রাখে।
সুতরাং এই পুস্তিকাখানার মধ্যে ঐ সমস্ত জিকির ও দু‘য়া লিখা হয়েছে যার উপর আমল করার দ্বারা আমরা সহজেই আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভে ধন্য হতে পারব। বিধায় আমরা ঐ ভাবেই লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করছি যেভাবে হাদীসে বর্ণিত। যেমন বুখারী শরীফের মধ্যে একটা হাদীস বর্ণিত “রাত্রে অযুসহ ঘুমানোর ফজিলতের অধ্যায়ের মধ্যে রাবী বলেন, আমি দুয়াটি মুখস্ত করে আল্লাহর নবীকে শুনাইতে গেলাম সেখানে “نبيك” শব্দের স্থানে আমি “رسول” শব্দ উচ্চারণ করলাম তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার এই শব্দের পরিবর্তনকে অস্বীকার করলেন।
ফতহুল মুঈন এর ব্যখ্যাকারী আল্লামা ইবনে হজর (রহ.) এর “فتاوي معين الحديث” নামক কিতাবের বরাত দিয়ে বলেন, হাদীসগুলি যেভাবে উল্লেখ হয়েছে সেভাবেই বর্ণনা করে দেয়া উচিত। তবে কোন কোন হাদীসের মধ্যে কোন ধরনের কিছুটা দুর্বলতা পরিলক্ষিত হলে তা মারাত্বক ক্ষতিকারক নয়। কেননা হাদীস ضعيف হওয়া বা منقطع বা معضل বা مرسل হওয়াটা ফাজায়েলে আমালের ব্যাপারে গ্রহন করতে কোন অসুবিধা নাই এবং এ কথার উপর সকলেই একমত। এতে কারও কোন মতবিরোধ নাই।
এই পুস্তিকার মধ্যে কিছু ঝাড়-ফুক মূলক আমাল আছে। যা শরীয়ত সমর্থিত। কেননা বুখারী, মুসলিমের মধ্যে বর্ণিত: যে সমস্ত “رقيه” ঝাড়-ফুক মূলক দু‘য়া। যার মধ্যে শিরকের মিশ্রন নাই সেগুলো ব্যবহার করতে কোন বাধা নাই।
হযরত জাবের (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম “রুক্ইয়া” করার থেকে নিষেধ করেছেন। তখন হযরত আমর ইবনে হাঝম (রা.) এর পরিবারের লোকজন এসে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাদের কাছে একটা “رقيه” (মন্তর) আছে যা দিয়ে আমরা ঝাড়-ফুঁক করে থাকি। অথচ আপনি তো মন্তর ও ঝাড়-ফুঁক করা হতে নিষেধ করে দিয়েছেন। অতপর: তারা তাদের “رقيه” (মন্তরটা) আল্লাহর নবীর সামনে পেশ করলেন। তখন আল্লাহর নবী বললেন; আমি এই “رقيه” (মন্তরের) মধ্যে সমস্যা দেখছি না। বিধায় যদি তোমরা কেউ তোমাদের ভাইকে এই “رقيه” (মন্তর) দ্বারা উপকৃত করতে চাও তাহলে সেই উপকার করতে পার। (মুসলিম)
হযরত আওফ বিন মালেক আশজায়ী (রা.) হতে বর্ণিত: তিনি বলেন; আমরা জাহিলিয়্যাতের যুগে “رقيه” করতাম। তখন আমরা জিজ্ঞাসা করলাম। ইয়া রাসূলুল্লাহ! এ ব্যাপারে আপনি কি বলেন? তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন; আমাকে তোমাদের রুকইয়া দেখাও। অতপর: বললেন যে, যে সব রুকইয়ার মধ্যে র্শিক অর্ন্ত নিহিত নাই। তাতে কোন বাধা নিষেধ নাই। (মুসলিম)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্নিত: তিনি বলেন, আমরা একদা এক সফরে ছিলাম। এক জায়াগায় অবতরণ করি। ইত্যবসরে জনৈকা মহিলা এসে আরজ করল যে, আমাদের গোত্রের সরদার অসুস্থ। আমাদের পরুষ লোক অনুপস্থিত, তাই আপনাদের মধ্যে এমন কোন লোক কি আছেন, যিনি ঝাড়-ফুক্ করতে যানেন ? তখন একজন লোক উঠে তার সহিত গেলেন। ঐ সমস্ত রুকইয়া নিয়ে যা দ্বারা আমরা রুকইয়া করতাম এবং ঝাড়-ফুঁক্ করলেন (আল্লাহ চাহে) সেই রুগী সুস্থ হয়ে গেল। তখন তারা তাকে ত্রিশটি ছাগল দিল ও পান করার জন্য দুধ দিল। লোকটি ফিরে আসলেন আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, তুমি কি ভাল ঝাড়-ফুক্ করতে যান ? তুমি কি ঝাড়-ফুকের কাজ করতা ? লোকটি উত্তর করলেন যে, আমি তো উম্মুল কিতাব (সূরায়ে ফাতেহা) দ্বারা ঝাড়-ফুক্ করেছি। তখন আমরা তাকে বললাম যে, আপাতত তুমি কিছুই বলিওনা। আগে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করে নেই। তারপর: যখন আমরা মদীনা শরীফে ফিরে আসলাম তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ঘটনার বিবরণ শুনাইলাম তখন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন; সে কিভাবে জানলো যে, উহা (ফাতেহা শরীফ) রুকয়া ? যাই হোক তোমরা উহা বন্টন করে নাও এবং আমাকেও এক অংশ দাও। (বুখারী)
হযরত শিফা বিনতে আব্দুল্লাহ (রা.) হতে বর্নিত: আমি হযরত হাফছাহ (রা.) এর কাছে উপস্থিত ইত্যবছরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুভাগমন হল। অত:পর বললেন যে, তুমি এই পিপড়ার রুক্য়া কি শিখাইবা না যেমন উহার লিখা শিখাইয়াছ ? (আবু দাউদ)
الاتقان لليسوطى رح আল্লামাহ ইবনুত্তীন (রহ.) বলেন, معوذات বা অন্নান্য আছমায়ে হুসনা দ্বারা রুকইয়া করা ছিল আত্মার চিকিৎসার জন্য যখন তা হবে নেককার লোকদের মুখে। আল্লাহ চাহেতো তখন রুগী সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু যখন উহা ক্রমন্বয়ে বিলুপ্ত হতে শুরু করল তখন লোকজন উহা দ্বারা দৈহিক চিকিৎসার প্রতি ধাবিত হতে লাগল الاتقان গ্রন্থকার বলেন; এদিকেই ইঙ্গিত করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি কালিমা সম্পর্কে ইরশাদ করেন لَوْاَنَّ رَجُلًا مُوْقِنًا قَرَأَبِهَاعَلىٰ جَبَلٍ لَزَالَ কেহ যদি অন্তরের একীনের সাথে উক্ত কালিমা পড়ে তাহলে পাহাড় পর্যন্ত স্বস্থান হতে সরে যাবে। আল্লামা কুরত্বুবী (রহ.) বলেন, আল্লাহর কালাম কুরআন শরীফ ও আল্লাহর নাম দ্বারা রুকইয়া (ঝাড়-ফুক্) করা জায়েয আছে। আর যদি তা (কুরআন-হাদীস) থেকে বর্নিত হয় তাহলে তা মুস্তাহাব।
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, যখন মানুষের কোন কোন কথার মধ্যে উপকারিতার বৈশিষ্টতা বিদ্যমান তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কালামের মধ্যে ঐ সব বৈশিষ্টতা কেনই হবে না?
আল্লামা নববী (রহ.) شَرح المهذب কিতাবে উল্লেখ করেন, যদি কেউ কুরআন শরীফ কোন পাত্রে লিখে পরে ধুয়ে রুগীকে পান করায় তাহলে তাতে কোন অসুবিধা নাই। যেমন ভাবে বলেছেন. হযরত হাসান বছরী (রহ:) ইমাম মুজাহিদ, ইমাম আবু কিলাবাহ, ইমাম আওঝাঈ (রহ.) এখানে আমি হাদীসের আলোকে রুকয়ার প্রকারভেদ ও তার শরয়ী বিধি-নিষেধ প্রকাশ করে দিয়েছি তৎসংগে মুহাক্কিক উলামায়ে কেরামের মতামতও প্রকাশ করে দিয়েছি। অতপর: অযথা ঝগড়া করা, তর্ক করা, বাড়া-বাড়ি করা, বা কারোর উপর চাপ সৃষ্টি করার সুযোগ থাকে না। বিধায় যার মনে চায় জায়েযটাকে পরিহার করে অতি উত্তমের উপর আমল করবে তার সুযোগ ও আছে। তবে হাদীসে পাকে বর্ণিত: ঝাড়-ফুক ও দু‘য়া সমূহ তা যে উত্তম, এ ব্যাপারে কোন সংসয়ের অবকাশ নাই। কিন্তু কেউ যদি ঈমানী বলে বলিষ্ঠ হয়ে এ সব পরিহার করে (মুতাওক্কিল আ’লাল্লাহ) আল্লাহর উপর আস্থাশীলদের অন্তর্ভূক্ত হতে সক্ষম হন এবং নি¤েœর হাদীসের সু-সংবাদে ভূষিত হতে পারেন তাহলে তিনি হবেন অত্যন্ত সুনাম ও প্রশংসার অধিকারী। যেমন হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) مرفوعا রেওয়াত করেন: সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবেন আর তাঁরা হলেন ঐ সমস্ত লোক যারা বদ্ ফালি নিতেন না (অর্থাৎ কোন বস্তু হতে কু-ধারণা গ্রহন করা) রুকইয়া করতেন না। শরীরকে আগুন দ্বারা পুড়িয়ে দাগ দিতেন না বরং আল্লাহর উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতেন। (বুখারী)
এই পুস্তিকার মধ্যে দাওয়াত ও তাবলীগের সুপরিচিত সেই মহান ব্যাক্তি যাকে বিশ্ব তাবলীগের মুখপাত্র বলা হয় যার শানে হযরত আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.) বলেছেন; ইসলামের মধ্যে এত বড় মাপের দায়ী মুবাল্লীগ, যার দ্বারা বিশাল জনগোষ্ঠি ফায়দা লুটে নিয়েছে। তিনি শায়েখ ওমর পালনপুরী (রহ.) তার মত অপর কাউকে দেখা যায় না। বাস্তব ও তাই প্রমান করে। তারই পদানুস্বরণ করেছেন। হযরত এর ঔরশজাত সুযোগ্য সন্তান মাওলানা মুহাম্মাদ ইউনুস পালনপুরী (দা:বা:) বর্নণা করেন: তাবলীগের মুখপাত্র হযরত ওমর পালনপুরী (রহ.) বলেন: দু‘য়া এবং চেষ্টার মাঝে সমঞ্জস্যতা বজায় রাখা অত্যাবষ্যকীয়। কেননা ১০০ গ্রাম ওজনের জিহ্বা তো নবীর বাতানো দু‘য়ায় আত্ম তৃপ্ত, বলে (اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ) ‘কিন্তু ওদিকে ১০০ কেজি ওজনের দেহটা তো বাজারী পরিবেশে مغضوب عليهم (ইয়াহুদী) আর ضالين (খৃষ্টবাদি) কালচারে মুখরিত। এমতাবস্থায় মুখের দু‘য়া আর দেহের কর্মের মাঝে অনেক ফাকও দুরত্ব থেকে যায়। যা মোটেই সুখকর নয়। সুতরাং মসজিদের মধ্যে দু‘য়া আর মসজিদের বাহিরের মেহনত চেষ্টা ও শ্রমের মাঝে সমঞ্জস্যতা অবশ্যই আনতে হবে। তখনই ঐ দুয়ের সমন্বয়ে বয়ে আনবে অনতিবিলম্বে নগদ সুফল ইন্শাআল্লাহ।
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمِنْ الرَّحِيْمِ
اَلْحَمْدُ لِوَلِيِّه وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلىٰ اَهْلِهَا- أَمَّا بَعْدُ. وَقَالَ رَبَّكُمْ اُدْعُوْنى اَسْتَجِبْ لَكُمْ.
وَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَليهِ وَسَلَّمَ: اَلدُّعَاءُ مُخُّ الْعِبَادَةِ
الحمد لله অদ্য ২১ জিলক্বদ ১৪৩৪ হি. পবিত্র হজ্বের সফরে শুক্রবার ফজরের আযানের পর মসজিদে নববী শরীফের মধ্যে গুম্বুজে খজরার সামনে বসে আল্লাহ তায়ালার উপর পূর্ণ ভরসা করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম এর মুহাব্বত অন্তরে রেখে “মাকালীদুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ”পুস্তিকা বঙ্গানুবাদ শুরু করেছি। আল্লাহ তুমি কবুল কর আমার আখেরাতে নাজাতের উসিলা কর ও সমস্ত উম্মাতে মুহাম্মাদিয়া এর জন্য আমালের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কুদরতী খাজানা থেকে ফায়দা হাসিলের তৌফিক দান কর।
মুলত: এই পুস্তিকা খানা বাংলা করার প্রতি আমাকে উৎসাহিত করেছেন শ্রদ্ধেয় মেঝ ভাই (নেছবতী) ইসলামপুর মাদরাসার স্বনামধন্য মুহতামিম সাবেক ইমাম, খতীব কাতার, আল্লাহ তায়ালা হযরতের ফিকিরকে আলীশ্বাল করেন ও কবুল করেন। যদিও বাস্তব কথা হল: আমি মুলত লেখা-লেখির জগতে একেবারেই অনবিজ্ঞ তারপরেও যেহেতু একজন লোক যে পায়ে চলতে খোড়া, চোখে দেখতে অন্ধ, আবার রাহ্বার ছাড়া লোকটি ধীরে-ধীরে চলতে চলতে ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে হলেও গন্তব্যস্থানে পৌছতে পারে। তাই যদি আল্লাহ তায়ালার খাস রহমত শামেলে হাল হয় তাহলে কঠিন টাও কঠিন থাকে না বরং সহজতর হয়ে যায়, হে আল্লাহ! তুমি সহজ করে দাও, কবুল করে নাও, আখেরাতে নাজাতের উসিলা কর।
বি:দ্র: যেহেতু মুল পুস্তিকার মধ্যে আরবী দু‘য়া গুলির অর্থ করা হয় নাই, বিধায় সেই অনুসারে ইহার বাংলা অনুবাদ করা হয় নাই। যদিও অনেকের চাহিদা থাকবে যে দু‘য়া গুলির অর্থ করলে ভাল হত।
দুয়ার ভিক্ষারী
মুহিবুবল হক
সকাল বেলার জিকির সমূহ ঃ
সকাল বেলার জিকির সমূহ আদায়ের জন্য সর্বত্তম সময় হল সুব
্হে সাদেক হতে সূর্য উদয় পর্যন্ত।
সতর্ক : যদি কখন বিশেষ কারনে সকাল বেলার জিকির (আমাল) সমূহ ছুটে যায় তাহলে তা দুপুরের আগ পর্যন্ত আদায় করে নিলে তাতেও আদায় হয়ে যাবে।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنْ الرَّحِيْمِ
(১) সর্ব ব্যাপারে যথেষ্ট হবার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপদেশ, তাহল সুরায়ে ইখলাস, সুরায়ে ফালাক ও সুরায়ে নাস (প্রতিটি সুরা তিনবার করে) পড়বে
সুরায়ে ইখলাস ঃ
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ ◌ اَلله ُالصَّمَدٌ ◌ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ ◌ وَلَمْ يَكُنْ لَّهُ كُفُوًا اَحَدٌ ◌
সুরায়ে ফালাক ঃ
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ◌ مِنْ شَرِّ مَاخَلَقَ ◌ وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ◌ وَمِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِىْ الْعُقَدِ ◌ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ◌
সুরায়ে নাস ঃ
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ◌ مَلِكِ النَّاسِ ◌ اِلٰهِ النَّاسِ ◌ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ◌ اَلذِّى يُوَسْوِسُ فِىْ صُدُوْرِ النَّاسِ ◌ مِنْ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ◌
ফজিলত ঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন; তুমি
সকাল-সন্ধ্যা তিনবার করে পড় সুরায়ে ইখলাস, সুরায়ে ফালাক, ও সুরায়ে নাছ তাহলে তোমার সর্ব ব্যাপারে যথেষ্ট হয়ে যাবে।
(আবু দাউদ শরীফ-৪র্থ খন্ড ৫০৮ পৃষ্ঠা, তিরমিজি ৩য় খন্ড ১৮৪ পৃষ্ঠা)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপদেশ:
২। দুনিয়া ও আখেরাতের সব কিছুর ব্যাপারে যথেষ্ট হওয়ার জন্য (৭ বার পড়তে হবে)
حَسْبِى اللهُ لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَ هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ
ফজিলত ঃ যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা (উক্ত দু‘য়া) ৭বার পড়বে, আল্লাহ পাক তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবেন।
(আমালুল্লাইল ওয়ান্নাহার নং ৭৪, ৩৭, আবু দাউদ ও রুহুল মায়ানী)
৩। জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তির জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বয়ান: (৪ বার পড়তে হবে)
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَصْبَحْتُ اُشْهِدُكَ وَاُشْهِدُ حَمْلَةَعَرْشِكَ وَمَلٰئِكَتَكَ وَجَمِيْعَ خَلْقِكَ اَنَّكَ اَنْتَ اللهُ لَآ اِلٰهَ إِلَّا اَنْتَ وَحْدَكَ لَاشَرِ يْكَ لَكَ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُوْلُكَ
ফজিলত ঃ যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা (উক্ত দু‘য়া) পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার চতুর্থাংশ জাহান্নামের অগ্নি হতে মুক্ত করে দিবেন। যে ব্যক্তি দুইবার পড়বে আল্লাহ পাক তাকে জাহান্নামের অগ্নি হতে তার অর্ধাংশ মুক্ত করে দিবেন। যে ব্যক্তি তিনবার পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার তিন অংশ দোযখের অগ্নি হতে মুক্ত করে দিবেন। আর যে, ব্যক্তি উক্ত দুআ ৪ বার পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার সম্পূর্ণ শরীর দোযখের অগ্নি হতে মুক্ত করে দিবেন।
(আদাবুল মুফরাদ নং ১২০১, আবু দাউদ ২,৬৯১ কিতাবুল আদব)
৪। আল্লাহ তায়ালা তার বান্দার উপর নেয়ামত সমূহ পরিপূর্ণ করে দেয়ার ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপদেশ: (তিনবার পড়তে হবে)
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَصْبَحْتُ مِنْكَ فِىْ نِعْمَةٍ وَعَافِيَةٍ وَسِتْرٍ فَاَتْمِمْ عَلىَّ نِعْمَتَكَ وَعَافِيَتِكَ وَسِتْرَكَ فِىْ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ
ফজিলত: যে ব্যক্তি সকাল বেলা এই দুআ ৩বার পড়বে-আল্লাহ তায়ালা তার উপর সমস্ত নেয়ামত পূর্ণ করিয়া দিবেন (ইবনুস্ সিন্নী পৃ:নং৫৫)
৫। রাত-দিন আল্লাহ তায়া’লার নিয়া’মত সমূহের শুকরিয়া আদায় হবার ব্যাপারে নবীয়ে কারীম এর পবিত্র ইরশাদ:
اَللّٰهُمَّ مَا اَصْبَحَ بِىْ مِنْ نِعْمَةٍ اَوْ بِاَحَدٍ مِّنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ
ফজিলত: যে ব্যক্তি সকাল বেলা (উক্ত দু‘য়া) পড়বে তাহলে সেই দিনের শুকরিয়া তার আদায় করা হবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলা (উক্ত দু‘য়া) পড়বে তাহলে তার ঐ রাত্রের শুকরিয়া আদায় করা হবে।
(আবু দাউদ শরীফ: ২,৬৯৬ কিতাবুল আদাব)
৬। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন হবার ব্যাপারে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপদেশ:
رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَّباِلِاسْلَامِ دِيْنًا وَّبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيًّا
ফজিলত: যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা (উক্ত দুয়া) তিনবার পড়বে আল্লাহ তায়ালার উপর হক হয়ে যায় ঐ বান্দার উপর রাজি হয়ে যাওয়া।
(আহমদ, তিরমিজী)
৭। দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত কল্যাণ অর্জন করার ব্যাপারে নবীয়ে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপদেশ: (১বার পড়বে)
يَاحَىُّ يَاقَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ اَسْتَغِيْثُ اَصْلِحْ لِى شَاْنِىْ كُلَّه وَلَا تَكِلْنِىْ إِلىٰ نَفْسِىْ طَرْفَةَ عَيْنٍ
ফজিলত: যে ব্যক্তি সকাল বেলা উক্ত দু‘য়া ১বার পড়বে তাহলে সে ইহকাল ও পরকালের সকল প্রকারের কল্যাণ পেয়ে যাবে।
লক্ষণীয়: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় কন্যা হযরত ফাত্বেমা (রা.) কে সকাল-সন্ধ্যা উক্ত দু‘য়া পড়ার জন্য অছিয়্যত করে ছিলেন।
(বাইহাকী হযরত আনাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত)
৮। আকস্মিক বিপদ হতে মুক্তি পাওয়ার ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ; (৩বার পড়বে)
بِسْمِ اللهِ اَلذِّى لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِه شَيْئٌ فِىْ الْاَرْضِ وَلَا فِى السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَليمُ
ফজিলত: যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল বেলা ৩ বার ও সন্ধ্যা বেলা ৩ বার (উক্ত দু‘য়া) পড়বে তাহলে কোন ক্ষতিকর জিনিস তাকে ক্ষতি করতে পারবে না। (আবু দাউদ, তিরমিজী ইবনে মাজাহ)
৯। যখন কোন সংবাদের অপেক্ষায় থাকবে তখন এই দু‘য়া পড়বে (১বার)
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ مِنْ فُجَاءَةِ الْخَيْرِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ فُجَاءَةِ الشَرِّ
ফজিলত: যখন কোন সংবাদের অপেক্ষায় থাকবে অথবা যে কোন বিপদের সম্মুখীন হবে তখন এই দু‘য়া পড়বে রসূল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকাল বেলা এই দু‘য়া পড়তেন।
(কিতাবুল আজকার-১০৪)
১০। আল্লাহ তায়ালার তাসবীহ-তাহমীদ সম্বলিত নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ (সকালে ৩বার পড়বে) (মুসলিম.)
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه عَدَدَ خَلْقِه وَرِضَا نَفْسِه وَزِنَةَ عَرْشِه وَمِدَادَ كَلِمَاتِه
১১। শারিরীক সুস্থতার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ; (৩বার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ بَدَنِىْ, اَللّٰهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ سَمْعِىْ, اَللّٰهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ بَصَرِىْ لَآ اِلٰهَ إِلَّا اَنْتَ, اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ الكُفْرِ وَالْفَقْرِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ لَآ اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ
ফজিলত: যে ব্যক্তি উক্ত দু‘য়া পড়বে আল্লাহর রহমতের প্রতি পূর্ণ আসা যে, আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তাকে পরিূপর্ণ সুস্থ রাখবেন।
(আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)
১২। শয়তানের প্রলম্বনা হতে বাঁচবার জন্য রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
اَللّٰهُمّ فَاطِرَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ رَبَّ كُلِّ شَيْئٍ وَمَلِيْكَه اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلٰه َاِلَّا اَنْتَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِىْ وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِه وَاَنْ اَقْتَرِفَ عَلىٰ نَفْسِىْ سُوْءً اَوْ اَجُرَّه إِلىٰ مُسْلِمٍ
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) রেওয়াত করেন: হযরত আবু বকর (রা.) বললেন; ইয়া রসূলাল্লাহ! আমাকে সকাল-সন্ধ্যা পড়ার জন্য একটা আমল শিখায়ে দিন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন তুমি (উক্ত দু‘য়া) পড়।
ফজিলত: যে ব্যক্তি সকাল বেলা উক্ত দু‘য়াটি পড়বে সে শয়তানের প্রলম্বনা হতে রক্ষা পাবে।
(আবু দাউদ, তিরমিজী)
১৩। জান্নাতে প্রবেশের জন্য আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ: (একবার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ اَنْتَ رَبِّىْ لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَاَنَا عَبْدُكَ وَاَنَا عَلىٰ عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَااسْتَطَعْتُ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ اَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلىَّ وَاَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ فَاِنَّه لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اَنْتَ
ফজিলত: শাদ্দাদ বিন আওছ (রা.) রেওয়াত করেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন উক্ত সায়্যিদুল ইস্তেগফার যে ব্যক্তি দিনের বেলা উহার উপর একীন রেখে পড়বে আর ঐ দিন সন্ধ্যার পূর্বে মারা যায় তাহলে সে জান্নাত বাসী হবে। আর যে ব্যক্তি রাত্রি বেলা উক্ত দু‘য়া পড়বে উহার প্রতি একীন রেখে অত:পর সকাল হবার পূর্বে সে মারা যায় তাহলে সে জান্নাত বাসি হবে। (বুখারী)
১৪। সর্ব প্রকারের শান্তির জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ العَفْوَ وَالَعَافِيَةَ فِىْ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ, اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ العَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِىْ دِيْنِىْ وَدُنْيَاىَ وَاَهْلِىْ وَمَالِىْ, اَللّٰهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِىْ وَ اٰمِنْ رَوْعَاتِىْ, اَللّٰهُمَّ احْفَظْنِىْ مِنْ بَيْنِ يَدَىَّ وَمِنْ خَلْفِىْ وَعَنْ يَّمِيْنِىْ وَعَنْ شِمَالِىْ وَمِنْ فَوْقِىْ وَاَعُوْذُ بِعَظْمَتِكَ اَنْ اُغْتَالَ مِنْ تَحْتِىْ
ফজিলত: হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর (রা.) হতে বর্ণিত রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকাল-সন্ধ্যা উক্ত দু‘য়া পড়া কখনও ছাড়তেন না। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)
১৫। পেরেশানী দুর হওয়া ও ঋণ পরিশোধের জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ:
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ, وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ, واَعُوْذُبِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ
ফজিলত: হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) রেওয়াত করেন; রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন তোমাকে কি এমন একটি কালেমা শিখাব না? যখন তুমি ঐ কালিমা গুলি (দু‘য়া) পড়বে তখন আল্লাহ তায়ালা তোমার পেরেশানী দুর করে দিবেন এবং তোমার ঋণ পরিশোধ করে দিবেন তুমি সকাল-সন্ধ্যা উক্ত দু‘য়া পড়।
১৬। ইলমে নাফে’য় হাছেল হবার ব্যাপারে এবং হালাল রিজিক অর্জন হবার ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইরশাদ: (ফজরের নামাজের সালাম ফিরাবার পর একবার এই দু‘য়া পড়বে)
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا
১৭। দোযখের আগুন হতে নাজাত পাওয়ার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইরশাদ:
(সাতবার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ اَجِرْنِىْ مِنَ النَّارِ
ফজিলত: হারিস বিন মুসলিম তামীমী (রহ:) নিজ পিতা হতে রেওয়াত করেন; রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে অত্যন্ত গোপনে বললেন, যখন তুমি মাগরিবের নামাজ শেষ করবে। কাহার সাথে কথা বলার পূর্বেই উক্ত দু‘য়া পড়বে তাহলে তোমাকে দোযখের আগুন হতে মুক্তির পরওয়ানা দেয়া হবে। আর যখন তুমি ফজরের নামাজ পড় তখন উক্ত দু‘য়া ঐ ভাবে পড়। কেননা যখন তুমি ঐ দিন মারা যাও । তাহলে তোমার জন্য দোযখের অগ্নি হতে মুক্তির পরওয়ানা লিখে দেওয়া হবে।
(আবু দাউদ, নাছায়ী, ইবনে হিব্বান)
১৮। আল্লাহ তায়ালার শান অনুযায়ী (বিশাল) অনুদান প্রাপ্তির ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
يَارَبِّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا يَنْبَغِىْ لِجَلَالِ وَجْهِكَ وَعَظِيْمِ سُلْطَانِكَ
ফজিলত: বান্দা যখন এই দু‘য়া পড়ে তখন আল্লাহ তায়ালা তার শান অনুযায়ী তাকে প্রতিদান দিতে থাকেন। (আহমদ, ইবনে মাজাহ)
১৯। বিভিন্ন বিপদ-আপদ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ اَنْتَ رَبِّىْ لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ, عَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَاَنْتَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ, مَاشَاءَ اللهُ كَانَ وَمَا لَمْ يَشَأْ لَمْ يَكُنْ وَلَاحَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ, اَعْلَمُ اَنَّ اللهَ عَلىٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ, وَاَنَّ اللهَ قَدْ اَحَاطَ بِكُلِّ شَيْئٍ عِلْمًا اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِىْ وَمِنْ شَرِّ كُلِّ دَابّةٍ اَنْتَ آخِذٌ بِنَا صِيَتِهَا اِنَّ رَبِّىْ عَلىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ
ফজিলত: যে ব্যক্তি দিনের শুরুর ভাগে উক্ত দু‘য়া পড়বে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন বিপদ তার কাছে পৌছবে না। (ইবনে ছিন্নী, হায়াতুস সাহাবা ও আবু দাউদ)
২০। উত্তম রিযিক পাওয়ার জন্য এবং যাবতীয় ধোকা হতে হেফাজতের ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার)
مَاشَاءَ اللهُ لَاحَوْلَ وَلَاقُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ اَشْهَدُ اَنَّ اللهَ عَلىٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ
ফজিলত: যে ব্যক্তি সকাল বেলা এই দু‘য়া পড়বে ঐ দিনে সে উত্তম রিজিক প্রাপ্ত হইব এবং যাবতীয় ধোকা হতে হেফাজত থাকবে। (ইবনুদ ছিন্নী, কাঞ্জুল উম্মাল১০৬/২)
২১। যে ব্যক্তি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাত ধরে জান্নাতে যাইতে ইচ্ছুক তার ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
رَضِيْتُ بِاللهِ رَبَّا وَّبِالْاِسْلَامِ دِيْنًا وَّبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيًّا
ফজিলত: রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন; যে ব্যক্তি সকাল বেলা উক্ত দু‘য়া পড়বে আমি তার হাত ধরে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দায়িত্ব গ্রহন করব।
(আল মাতজারুর রাবিহ ৩১৩)
২২।প্রতিদিন (নফল অজিফাহ আদায় করার) আমলের মধ্যে ক্রুটি বিচ্যুতি হয়ে গেলে তার ক্ষতি পুরনের ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ:
فَسُبْحٰنَ اللهِ حِيْنَ تُمْسُوْنَ وَحِيْنَ تُصْبِحُوْنَ◌ ◌ وَلَهُ الْحَمْدُ فِىْ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَعَشِيًّا وَّحِيْنَ تُظْهِرُوْنَ ◌◌ يُخْرِجُ الْحَىَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَىِّ وَيُحْىِ الْاَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا، وَكَذٰ لِكَ تُخْرَجُوْنَ◌ ◌ (سورة الروم ১৭تا১৯)
ফজিলত: হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি সকাল বেলা উক্ত আয়াত পড়বে ঐ দিনের যাবতীয় ফউত হওয়া আমালের ক্ষতিপূরণ হয়ে যাবে। তেমনিভাবে যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলায় উক্ত আয়াত পড়বে তাহলে ঐ রাত্রের যাবতীয় ফউত হওয়া আমালের ক্ষতিপূরণ হয়ে যাবে। (আবু দাউদ, ত¦াবরানী)
মাসনাদে আহমাদ কিতাবে বর্ণিত: রসূল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: তোমাদেরকে কি আমি বলে দিব? আল্লাহ তায়ালা নবী হযরত ইবরাহীম (আ.) কে কেন খলীল ও ওফিয়্যা উপাধিতে সম্মধোন করলেন? অতপর: বলেন, তিনি সকাল-সন্ধ্যা উক্ত আয়াত *********** পর্যন্ত পড়তেন। (তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪,১১৬)
২৩। সর্ব প্রকারের বালা-মুসিবত হতে বাচবার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ:
(১বার পড়বে)(আয়াতুল কুরসী ও সুরায়ে গাফের এর শুরুর তিন আয়াত)
اَللهُ لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ لَا تَأْخُذُه سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَه مَا فِىْ السَّمٰوٰتِ وَمَا فِىْ الْاَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَه اِلَّا بِاِذْنِه يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ, وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِه اِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَلَا يَئُوْدُه حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِىُّ الْعَظِيْمُ◌
সুরায়ে গাফের এর শুরুর তিন আয়াত: (১বার পড়বে)
حٰم◌ تَنْزِيْلُ الْكِتٰبِ مِنَ اللهِ الْعَزِيْزِ الْعَلِيمِ◌ غَافِرِ الذَّنْبِ وَقَابِلِ التَّوْبِ شَدِيْدِ الْعِقَابِ ذِىْ الطَّوْلِ. لَآ اِلٰهَ اِلَا هُوَ اِلَيْهِ الْمَصِيْرُ◌
ফজিলত: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত: রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: যে, ব্যক্তি উক্ত আয়াত সকাল বেলা পড়বে সন্ধ্যা পর্যন্ত সে সংরক্ষিত হয়ে যাবে। তেমনিভাবে যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলা উক্ত আয়াতগুলি ও আয়াতুল কুরসী পড়বে সে সকাল পর্যন্ত সংরক্ষিত হয়ে যাবে।
(দারেমী, তিরমিজী, মাসনাদে বাঝঝার)
২৪। শহীদের মর্যাদায় ভূষিত হওয়ার ও ফেরেস্তাদের দু‘য়া পাওয়ার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (যদি ঐ ব্যক্তি পড়ার দিন মারা যায়) (৩বার পড়বে)
اَعُوْذُ بِاللهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيمِ مِنْ الشَّيْطٰنِ الرَّجِيْمِ ◌
هُوَ اللهُ الذِّىْ لَآ اِلٰهَ اِلَّاهُوَ. عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ. هُوَ الرَّحمٰنُ الرَّحِيْمُ ◌ هُوَ اللهُ اَلَّذِّىْ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ. الْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلٰمُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ. سُبْحَانَ اللهِ عَمَّا يُشْرِ كُوْنَ ◌ هُوَ اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوْرُ لَه الْاَسْمَاءُ الْحُسْنىٰ. يُسَبِّحُ لَه مَافِىْ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ. وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ ◌ (سورة الحَشْرِ ) ১বার পড়বে
ফজিলত: হযরত মা’কল বিন ইয়াসার (রা.) হতে বর্ণিত নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন; যে ব্যক্তি সকাল বেলা اَعُوْذُ بِاللهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطٰنِ الرَّجِيْمِ
তিনবার পড়ার পর সুরায়ে হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য (৭০,০০০) সত্তর হাজার ফেরেস্তা নিয়োগ করে দিবেন যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য দু‘য়া করতে থাকবে। আর যদি ঐ দিন মারা যায় তাহলে সে শহীদ হয়ে মারা যাবে (অর্থাৎ তাকে আল্লাহ তায়ালা শাহাদাতের মর্যাদায় ভূষিত করবেন) তেমনিভাবে যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলা ঐ ভাবে পড়বে তাকে ঐ রকম মর্যাদা দান করা হবে।
(তিরমিজী, দারমী শরীফ)
বি:দ্র: তবে লক্ষ রাখতে হবে আমাদের দেশে কোন কোন মসজিদে ফজরের নামাযের পর ইমাম ছাহেব মুক্তাদীদের কে পড়ায়ে দেন এটা সুন্নাত নয়। বরং একাকি পড়াটাই সুন্নাত । যারা না যানে তারা কয়েকদিন পড়ে মুখস্থ শিখে নিবেন, অতপর একাকি পড়বেন তখনই উক্ত ফজিলত পেতে সক্ষম হবেন।
২৫। সমস্ত হাজাত ও জরুরাত পুরা হবার জন্য এবং সকল প্রকারের মর্যাদার সহিত সম্মানিত হবার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ اَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَاَنْتَ تَهْدِيْنِىْ واَنْتَ تُطْعِمُنِىْ واَنْتَ تَسْقِيْنِىْ وَاَنْتَ تُمِيْتُنِىْ واَنْتَ تُحْيِيْنِىْ
ফজিলত: হযরত হাসান (রহ.) হতে বর্ণিত: হযরত সামুরা বিন জুনদুব (রা.) বলেন; আমি কি তোমাকে একটা হাদীস বলব না? যা আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বারংবার বলতে শুনেছি এবং আবু বকর (রা.) কে বারংবার বলতে শুনেছি এবং হযরত উমর (রা.) কে বারংবার বলতে শুনেছি। আমি বললাম জি হ্যা বলুন। তিনি বললেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা উক্ত দু‘য়া পড়বে অতপর: সে যে কোন জিনিস আল্লাহর কাছে চাইবে আল্লাহ পাক তাকে সেই জিনিষ অবশ্যই দান করবেন। (ত্বাবরানী মাজমাউঝ ঝাওয়ায়েদ১৬০/১০)
২৬। জিন্নাতের ক্ষতি হতে বাঁচবার ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
اَعُوْذُ بِوَجْهِ اللهِ الْكَرِيْمِ وَبِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ الَّتِىْ لَا يُجَاوِهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ مِنْ شَرِّ مَايَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيْهَا وَشَرِّ مَا ذَرَأَ فِىْ الْاَرْضِِ وَشَرِّ مَايَخْرُجُ مِنْهَا وَمِنْ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مِنْ طَوَارِقِ اللَّيْلِ وَ النَّهَارِ اِلّاطاَرِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ ياَرَحْمٰنَ
ফজিলত: যখন জিনেরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বা কষ্ট দেওয়ার উদ্দেশ্যে অগ্রসর হল। অত:পর নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত দু‘য়া পড়লেন তখন ঐ সকল দুষ্ট জিনেরা উপুর হয়ে পড়ে গেল। (মুয়াত্বা ইমাম মালেক)
২৭। যাদু ও যাবতীয় শয়তান হতে বাঁচবার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (৩বার পড়বে)
اَصْبَحْنَا وَاَصْبَحَ الْمُلْكُ للهِ وَالْحَمْدُ كُلُّه للهِ اَعُوْذُ بِاللهِ الَّذِىْ يُمْسِكُ السَّمَاءَ اَنْ تَقَعَ عَلىٰ الْارْضِ اِلَّا بِاِذْنِه مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَ ذَرَأ وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِه
ফজিলত: হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর (রা.) হতে বর্ণিত রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন; সকাল বেলা যদি তোমরা এই দু‘য়া ৩বার পড় তাহলে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বপ্রকার শয়তানের ক্ষতি যাদু, বান, টোনা ইত্যাদি হতে আল্লাহ হেফাজত করবেন।
(দুয়া-৯৫৪, ইবুনছ্ ছিন্নী-৬৬,, ও মাজমা-১১৯/১)
২৮। যাদু হতে বিশেষভাবে হেফাজতের ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
اَعُوْذُ بِوَجْهِ اللهِ الْعَظِيْمِ الَّذِىْ لَيْسَ شَيْئٌ اَعْظَمَ مِنْه وَبِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ الَّتِىْ لَا يُجَاوَزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ وَبِاَسْمَاءِ اللهِ الْحُسْنىٰ كُلِّهَا مَا عَلِمْتُ مِنْهَا وَمَالَمْ اَعْلَمْ مِنْ شَرِّ مَاخَلَقَ وَ بَرَأَ وَ ذَرَأَ
ফজিলত: হযরত কা’কা (রা.) হতে বর্ণিত যে, হযরত কা’বে আহবার (রা.) বলেনঃ যদি আমি ঐ কালেমাগুলি না পড়তাম তাহলে ইয়াহুদীরা আমাকে গাধা বানিয়ে দিত। উনাকে জিজ্ঞাসা করা হল সেই কালেমাগুলি কি? তখন তিনি উপরুক্ত দু‘য়া পড়ে শুনিয়ে দিলেন। (মুয়াত্বা ইমাম মালেক)
সুতরাং যে ব্যক্তি প্রত্যহ সকাল বেলা এই দু‘য়া ১বার পড়বে আল্লাহ চাহেত সে যাদু হতে সংরক্ষিত থাকবে।
২৯। গুনাহ মাফের ও নেকী পাওয়ার ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
ইরশাদ: سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه
ফজিলত: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন; যে ব্যক্তি উক্ত দু‘য়া দিনে একশত বার পড়বে তার গুনাহ সমূহ সমুদ্রের ফেনা পরিমান হলেও আল্লাহ তায়ালা সব মাফ করে দিবেন।
(বুখারী, মুসলিম)
এবং তাকে ১ লক্ষ চব্বিশ হাজার নেকী লিখে দেওয়া হবে। (তিরমিজী)
৩০। তিনটি বিকলঙ্গ করে দেওয়া রোগ হতে সহজেই মুক্তি পাবার ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ: (ফজরের নামায বাদ পড়বে (৩বার)
سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيْمِ وَبِحَمْدِه
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ مِمَّا عِنْدَكَ وَاَفَضُّ عَلىٰ مِنْ فَضْلِكَ وَاَنْشَرَ عَلىٰ مِنْ رَحْمَتِكَ
وَاَنْزِلْ عَلىَّ مِنْ
(১বার) بَرَكَاتِكَ
ফজিলত: হযরত কবীছাহ (রা.) হতে বর্ণিত: আমি নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হলাম। আমাকে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন; কোন্ জিনিস তোমাকে নিয়ে আসল (অর্থাৎ কি প্রয়োজনে এসেছ?) আমি বললাম ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার বয়স হয়ে গেছে। শরীর নরম হয়ে গেছে। বিধায় আপনার কাছে আসলাম যে, আপনি আমাকে এমন কিছু শিখায়ে দিবেন যার দ্বারা আল্লাহ তায়ালা আমাকে ফায়দা দেন। অতপর: হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আামাকে বললেন, হে কবীছাহ! তুমি যে কোন পাথর বা গাছ-পালা মাটির কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে তারা সকলেই তোমার গুনাহ মাফের জন্য দু‘য়া করবে। তুমি যখন ফজরের নামায শেষ কর তখন তুমি ৩বার পড় سُبْحَانَ اللهِ العظيم وبحمده তাহলে তুমি অন্ধত্ব, কুষ্ঠ ও অর্ধাঙ্গ হওয়া থেকে হেফাজতে থাকতে পারবে। হে কবীছাহ! তুমি আরো পড়Ñ (জামিউল ফাওয়ায়েদ ১-ম খন্ড)
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ مِمِّا عِنْدَكَ وَأَفْضِ عَلىَّ مِنْ فَضْلِكَ وَاَنْشُرْ عَلىَّ مِنْ رَحْمَتِكَ وَأَنْزِلْ مِنْ بَرَكَاتِكَ
বি;দ্র:এখান থেকে خانه كعبه এর সামনে مطاف বসে লেখা শুরু করেছি। আল্লাহ তুমি কবুল কর। ২৬ জিলক্বদ ‘৩৪ হি: রোজ: বুধবার সূর্যদয়ের আগ মুহুর্তে।
৩১। জিনের ক্ষতি হতে বাঁচবার ব্যাপারে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
اَفَحَسِبْتُمْ اِنَّمَا خَلَقْنكُمْ عَبَثًا وَّاَنَّكُمْ اِلَيْنَا لَا تُرْجَعُوْنَ ◌ فَتَعٰلَى اللهُ الْمُلْكُ الْحَقُّ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيْمِ ◌ وَمَنْ يَدْعُ مَعَ اللهِ اِلٰهًا آخَرَ, لَا بُرْهَانَ لَه بِه, فَاِنَّمَا حِسَابُه عِنْدَ رَبِّه, اِنَّه لَا يُفْلِحُ الْكٰفِرُوْنَ ◌ وَقُلْ رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ واَنْتَ خَيْرُ الرَّحِمِيْنَ ◌
ফজিলত: এক ব্যক্তি (অসুস্থ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) এর নিকট আসল। তখন তিনি ঐ অসুস্থ লোকটির কানে উক্ত আয়াতগুলি পড়লেন (ফুক দিলেন) লোকটি ততক্ষনাৎ সুস্থ হয়ে গেল। অত:পর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এই সংবাদ পৌছলে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, (হে ইবনে মাসউদ!) তুমি তো তাকে (জিনকে) জালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছ। উক্ত আয়াতগুলি পড়ে তার কানে (ফুক দেওয়ার দ্বারা) তারপর নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন, আল্লাহর কসম যদি কোন ব্যক্তি একীনের সহীত (আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে) উক্ত আয়াতগুলি কোন পাহাড়ের উপর পড়ে (অর্থাৎ পাহাড়ের উপর ফুক দেয়) তাহলে পাহাড় পর্যন্ত আপন স্থান হতে হটে যাবে।
(আবু নাঈম হুলয়া ১,৭,৭১, আবু ইয়ালা ৮/৪৫৮নং ৫,৪৫, তাফসীরে রুহুল মায়ানী ৯,৩৬২)
হযরত ইবরাহীম বিন হারেস (রা.) তামীমী বলেন, নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে কোন যুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন। অতপর: আমাদেরকে হুকুম করলেন: যেন আমরা সকাল-সন্ধ্যা (افحسبتم…) উক্ত আয়াতগুলি পড়ি। তারপর আমরা ঐ আয়াতগুলি পড়তে থাকলাম। এতে আমরা অত্যন্ত সুন্দরও সাছ্দন্দের সাথে ও নিরাপদে কাটালাম। (তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/৪৭৪, রুহুল মায়ানী ৯/৩৬২)
৩২। নিম্নের দু‘য়া ১বার পড়বে।
اَللّٰهُمَّ بِكَ اَصْبَحْنَا وَبِكَ اَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوْتُ وَاِلَيْكَ النُّشُوْرُ
(তিরমিজী)
৩৩।নিম্নের দু‘য়া ১বার পড়বে।
اَصْبَحْنَا وَاَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ خَيْرَ هَذَا الْيَوْمِ فَتْحَه وَنَصْرَه وَنُوْرَه وَبَرْكَتَه وَهُدَاه واَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَافِيْهِ وَشَرِّ مَا بَعْدَه ‘
(হিসনে হাসীন)
৩৪। নিম্নের দু‘য়া ১বার পড়বে।
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ اَوَّلَ هذَا النَّهَارِ صَلَاحًا وَاَوْسَطَه‘ فَلَاحًا وَآخِرَه نَجاَحًا, اَسْئَلُكَ خَيْرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ يٰاَ رْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
(হিসনে হাসীন ৭৫)
৩৫। নিম্নের দু‘য়া ১বার পড়বে।
اَصْبَحْنَا عَلىٰ فِطْرَةِ الْاِسْلَامِ وَكَلِمَةِ الْاِخْلَاصِ وَعَلىٰ دِيْنِ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلىٰ مِلَّةِ اَبِيْنَآ اِبْرَاهِيْمَ حَنِيْفًا مُسْلِمًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِ كِيْنَ
(হিসনে হাসীন ৭০)
৩৬। নিম্নের দু‘য়া (১ বার পড়বে) পাঁচটি কালিমা দুনিয়ার জন্য
১/ حَسْبِيَ اللهُ لِدِيْنِىْ
২/ حَسْبِيَ اللهُ لِمَا اَهَمَّنِىْ
৩/ حَسْبِيَ اللهُ لِمَنْ بَغِى عَلىٰ
৪/ حَسْبِيَ اللهُ لِمَنْ حَسَدَنَىْ
(হিসনে হাসীন ৭৫) ৫/ حَسْبِيَ اللهُ لِمَنْ كَادَنِىْ بِسُوْءٍ
পাঁচটি কালেমা আখেরাতের জন্য (১ বার পড়বে)
১/ حَسْبِيَ اللهُ عِنْدَ الْمَوْتِ
২/ حَسْبِيَ اللهُ عِنْدَ الْمَسْئَلَةِ فِىْ الْقَبْرِ
৩/ حَسْبِيَ اللهُ عِنْدَ الْمِيْزَانِ
৪/ حَسْبِيَ اللهُ عِنْدَ الْصِرَاطِ
৫/ حَسْبِيَ اللهُ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَاِ لَيْهِ اُنِيْبُ
ফজিলত: হাদীসে মারফু’ হযরত বুরাইদাহ (রা.) হতে বর্ণিত: যে ব্যক্তি সকাল বেলা উক্ত কালেমা ১০বার পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবেন এবং তার উপর সে অনেক ছওয়াব প্রাপ্ত হবে। (তাফসীরে দুররে মানসুর ২/১০৩)
৩৭। নিম্নের কালিমাগুলি ১০০ বার পড়বে।
سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَلَآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ
৩৮। ইস্তিগফার ১০০ বার পড়বে।
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الذِّىْ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ وَاَتُوْبُ اِلَيْهِ
অথবা পড়বে اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِىْ ।
৩৯। নবীয়ে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দুরুদ পড়বে (১০০বার) তবে দুরুদের মধ্যে উত্তম হল দুরুদে ইবরাহীম (যা নামাযের মধ্যে পড়া হয় সাধারনত) তবে সংক্ষেপে নি¤েœর দুরুদ ও পড়তে পারে। (বা অন্য দুরুদ ও পড়তে পারে)
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ مُحَمَّدِ ن النَبِىِّ الْأُمِّىِّ بِعَدَدِ كُلِّ مَعْلُوْمٍ لَكَ
৪০। তিন বার পড়বে فَاللهُ خَيْرٌ حَافِظًا وَّهُوَ اَرْحَمُ الرّٰحِمِيْنَ ৫০০ বার, না হয় ১০০বার পড়বেÑيَاحَىُّ يَاقَيُّوْمُ তাহলে অনেক ফায়দা হাসিল করতে পারবে ইনশা আল্লাহ।
৪১। يَا اللهُ!يُا حَفِيْظُ ১০০ বার করে পড়বে।
৪২। সূরায়ে ইয়াসীন ১বার।
৪৩। সূরায়ে মুজ্জাম্মিল ১বার।
৪৪। ১বার পড়বে আল্লাহ তায়ালার ৯৯ নাম।
“هُوَ اللهُ اَلَّذِىْ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ, اَلرَّحْمَنُ, اَلرَّحِيْمُ, اَلْمَلِكُ, اَلْقُدُّوْسُ, اَلسَّلَامُ, اَلْمُؤْمِنُ, اَلْمُهَيْمِنُ, اَلْعَزِيْزُ, اَلْجَبَّارُ, اَلْمُتَكَبِّرُ, اَلخَالِقُ, اَلْبَارِئُ, اُلْمُصَوِّرُ, اَلْغَفَّارُ, اَلْقَهَّارُ, اَلْوَهَّابُ, اَلرَّزَّاقُ, اَلْفَتَّاحُ, اَلْعَلِيْمُ, اَلْقَابِضُ, اَلْبَاسِطُ, اَلْخَافِضُ, اَلْرَافِعُ, اَلْمُعِزُّ, اَلْمُذِلُّ, اَلْسَمِيْعُ, اَلْبَصِيْرُ, اَلْحَكِيْمُ, اَلْعَدْلُ, اَلَّطِيْفُ, اَلْخَبِيْرُ, اَلْحَلِيْمُ, اَلْعَظِيْمُ, اَلْغَفُوْرُ, اَلشَّكُوْرُ, العَلِىُّ , اَلْكَبِيْرُ, اَلْحَفِيْظُ, اَلْمُقِيْتُ, اَلْحَسِيْبُ, اَلْجَلِيْلُ, اَلْكَرِيْمُ, اَلرَّقِيْبُ, اَلْمُجِيْبُ, اَلْوَاسِعُ, اَلْحَكِيْمُ, اَلْوَدُوْدُ, اَلْمَجِيْدُ, اَلْبَاعِثُ, اَلشَّهِيْدُ, اَلْحَقُّ, اَلْوَكِيْلُ, اَلْقَوِىُّ, اَلْمَتِيْنُ, اَلْوَلِىُّ, اَلْحَمِيْدُ, اَلْمُحْصِىْ, اَلْمَبْدِئُ, اَلْمُعِيْدُ, اَلْمُحَيىُّ, اَلْمُمِيْتُ, اَلحَىُّ, اَلْقَيُّوْمُ, اَلْوَاجِدُ, اَلْمَاجِدُ, اَلْوَاحِدُ, اَلْأَحَدُ, اَلصَّمَدُ, اَلْقَادِرُ, اَلْمُقْتَدِرُ, اَلْمُقَدَِّمُ, اَلْمُؤَخِّرُ, اَلْاَوَّلُ, اَلْآَخِرُ, اَلظَّاهِرُ, اَلْبَاطِنُ, اَلْوَالِىُّ, اَلْمُتَعَالِىْ, اَلْبَرُّ اَلتَّوَّابُ, اَلْمُنْتَقِمُ, العَفُوُّ, اَلرَّءُوْفُ, مَالِكُ الْمُلْكِ, ذُوْ الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ, اَلْمُقْسِطُ, اَلْجَامِعُ, اَلْغَنِىُّ, اَلْمُغْنِىُّ, اَلْمَانِعُ, اَلْضَارُّ, اَلنَّافِعُ, اَلنُّوْرُ, اَلْهَادِىْ, اَلْبَدِيْعُ, اَلْبَاقِىُّ, اَلْوَارِثُ, اَلرَّشِيْدُ, اَلْصَّبُّوْرُ”
ফজিলত: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন; আল্লাহ তায়ালার ৯৯টি নাম আছে যে ব্যক্তি উক্ত নামগুলি পড়বে, অবশ্যই সে জান্নাতে যাবে (মুসলিম ২/৩৪২, বুখারী)
সতর্ক: হযরাতে উলামায়ে কেরাম উক্ত হাদীস খানার বিভিন্ন ব্যখ্যা পেশ করেছেন। তন্মধ্যে
(ক) উক্ত হাদীস দ্বারা প্রত্যহ আল্লাহর নাম পড়ার ফজিলত বয়ান করা উদ্দেশ্য
(খ) আল্লাহর নাম মুখস্ত করা এবং উহার প্রতি ইয়াকীন বিশ্বাস অন্তরস্থল করা। কেননা তৌহীদ ও একাত্ববাদের মূল হল অন্তরের ইয়াকীন ও বিশ্বাস যা ঈমানের পরিপূর্ণতা।
৪৫। সর্ব যুগের যাবতীয় ফেতনাও আগত দাজ্জালের ফেতনা হতে বাঁচবার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
হযরত আবুদ দারদা (রা.) হতে বর্ণিত: রসূল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন; যে ব্যক্তি সূরায়ে কাহাফের শুরুর ১০টি আয়াত ইয়াদ করবে (ও পড়বে) সে দাজ্জালের ফেতনা হতে হেফাজত থাকবে। (মুসলিম)
মুসলিম শরীফের অন্য রেওয়াতে আছে: তোমাদের মধ্যে যে, কেউ দাজ্জালের ফেতনার জামানা পাবে সে যেন সূরায়ে কাহাফের শুরুর ১০টি আয়াত পড়ে। (মুসলিম ২/৪০১)
১/ اَلْحَمْدُللهِ ا لَّذِىْ اَنْزَلَ عَلىٰ عَبْدِهِ الْكِتَابَ وَلَمْ يَجْعَلْ لَّه عِوَجًا ◌ ◌
২/ قَيِّمًا لِيُنْذِرَ بَاْسًا شَدِيْدًا مِنْ لَّدُنْهُ وَيُبَشِّرَ الْمُؤْمِنِيْنَ الَّذِيْنَ يَعْمَلُوْنَ الصّٰلِحٰتِ اَنَّ لَهُمْ اَجْرًا حَسَنًا ◌ ◌
৩/ مَاكِثِيْنَ فِيْهِ اَبَدًا ◌◌
৪/ وَيُنْذِرَ الَّذِيْنَ قَالُوْا اتَّخَذَا اللهُ وَلَدًا ◌◌
৫/ مَالَهُمْ بِه مِنْ عِلْمٍ وَلَا لِآَبَائِهِمْ, كَبُرَتْ كَلِمَةً تَخْرُجُ مِنْ اَفْوَاهِهِمْ, اِنْ يَّقُوْلُوْنَ اِلَّا كَذِبًا ◌◌
৬/ فَلَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَفْسَكَ عَلىٰ اٰثَارِهِمْ اِنْ لَمْ يُؤْمِنُوْا بِهٰذَا الْحَدِيْثِ اَسَفًا ◌◌
৭/ اِنَّا جَعَلْنَا مَا عَلَى الْاَرْضِ زِيْنَةً لَّهَا لِنَبْلُوَهُمْ اَيُّهُمْ اَحْسَنُ عَمَلًا ◌◌
৮/ وَاِنَّا لَجٰعِلُوْنَ مَا عَلَيْهَا صَعِيْدًا جُرُزًا ◌◌
৯/ اَمْ حَسِبْتَ اَنَّ اَصْحبَ الْكَهْفِ وَالرَّقِيْمِ كَانُوْا مِنْ اٰيَاتِنَا عَجَبًا ◌◌
১০/ اِذْ اَوَى الْفِتْيَةُ إِلىٰ الْكَهْفِ فَقَالُوْا رَبَّنَآ اٰتِنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً وَّهَيِّئْ لَنَا مِنْ اَمْرِنَا رَشَدًا ◌◌
সূরায়ে কাহাফের শেষ ১০ আয়াত
১/اَلَّذِيْنَ كَانَتْ اَعْيُنُهُمْ فِىْ غِطَاءٍ عَنْ ذِكْرِىْ وَكَانُوْ لَا يَسْتَطِيْعُوْنَ سَمْعًا ◌
২/ اَفَحَسِبَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا اَنْ يَّتَّخِذُوْا عِبَادِىْ مِنْ دُوْنِىْ اَوْلِيَاءَ، اِنَّا اَعْتَدْنَا جَهَنَّمَ لِلْكفِرِيْنَ نُزُلًا◌ ◌
৩/ قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْاَخْسَرِيْنَ اَعْمَالًا ◌ ◌
৪/ اَلّذِيْنَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِىْ الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُوْنَ اَنَّهُمْ يُحْسِنُوْنَ صُنْعًا ◌◌
৫/ اُلٰئِكَ الّذِيْنَ كَفَرُوْا بِاٰيَاتِ رَبِّهِمْ وَلِقَائِه فَحَبِطَتْ اَعْمَالُهُمْ فَلَا نُقِيْمُ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيمَةِ وَزْنًا ◌◌
৬/ ذٰلِكَ جَزَاءُهُمْ جَهَنَّمُ بِمَا كَفَرُوْا وَاتَّخَذُوْا اٰيتِىْ وَرُسُلِىْ هُزُوًا ◌◌
৭/ اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوْا الصّٰلِحٰتِ كَانَتْ لَهُمْ جَنّٰتُ الْفِرْدَوْسِ نُزُلًا ◌
৮/ خٰلِدِيْنَ فِيْهَا لَايَبْغُوْنَ عَنْهَا حِوَلًا ◌◌
৮৯৯৯৯৯/ قُلْ لَوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِكَلِمٰتِ رَبِّىْ لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ اَنْ تَنْفَدَ كَلِمٰتُ رَبِّىْ وَلَوْ جِئْنَا بِمِثْلِه مَدَدًا ◌
১০/ قُلْ اِنَّمَا اَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوْحٰى اِلَىَّ اَنَّمَآ اِلَهُكُمْ اِلَهٌ وَّاحِدٌ، فَمَنْ كَانَ يَرْجُوْا لِقَاءَ رَبِّه فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَايُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّه اَحَدًا ◌◌
অন্য হাদীসে সূরায়ে কাহাফের শেষের ১০ আয়াত পড়ার কথা আসছে।
লক্ষণীয়: আল্লামা নববী (রহ. মুসলিম শরীফের শরাহ এর মধ্যে লিখেছেন শেষের ১০ আয়াত শুরু হবে
(اَفَحَسِبَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا اِنْ يَّتَّخِذُوْا) হতে।
ব্যখ্যা: হাদীস ব্যখ্যা কারীগণ লিখেছেন সূরায়ে কাহাফ পড়া আর দাজ্জালের ফেতনা হতে নিরাপত্তার ব্যাপারটার মধ্যে সমঞ্জস্যতা এই যে, আছহাবে কাহাফের বুজুর্গদের ঘটনার মধ্যে ধোকা ও প্রতারণা ছিল। সুতরাং যে ব্যক্তি এ বিষয়ের উপর বিশ্বাস করে। বাস্তবকে একীন করবে তখন তার অন্তর কোন ধরনের দাজ্জালিয়াতের প্রভাবে প্রভাবিন্নতা হবে না। তখন যে ব্যক্তি ইহার প্রতি একীন ও বিশ্বাস রেখে তেলাওয়াত করবে আল্লাহ তায়ালা এর বরকতে ও এর বৈশিষ্টতা হিসাবে তাকে যাবতীয় ফেতনা ও প্রতারণা যা দাজ্জালের ফেতনার সাদৃশ্য সব কিছু হতে হেফাজতে রাখবেন। (মুসলিম শরীফ ১/২৭১, আনোয়রুল বয়ান ৫/৪৫৪, মায়া’রিফুল হাদীস ৫/৭৪৫)
অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু আয়াতের আমাল যা বিভিন্ন প্রকারের বিপদ-আপদ হতে রক্ষার ব্যাপারে অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
হযরত আল্লামা মুহাম্মাদ বিন সীরীন (র.) হতে বর্ণিত নি¤েœ বর্ণিত ৭টি আয়াত পড়ার পর (আল্লাহ চাহেন তো) সব ধরনের বিপদ, বালা-মুছিবত দূর হয়ে যাবে। হযরত কা’ব আহবার (র.) বলেন: কুরআন শরীফের মধ্যে ৭টি আয়াত আছে যা পড়ার পর আমি আর মোটেই পরওয়া করিনা যে, আর কিছুর প্রয়োজন আছে, যদিও আমার উপর আসমান ভেঙ্গে পড়ে, তথাপিও আল্লাহর হুকুেম আমি অবশ্য রক্ষা পেয়ে যাব।
১/ قُلْ لَّنْ يُّصِيْبَنَآ اِلَّا مَا كَتَبَ اللهُ لَنَا هُوَ مَوْلٰنَا وَعَلَى اللهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُوْنَ ◌
২/ وَاِنْ يَّمْسَسْكَ اللهُ بِضُرٍّ فَلَا كاَشِفَ لَه اِلَّا هُوَ وَاِنْ يُّرِدْكَ بِخَيْرٍ فَلَا رَادَّ لِفَضِلِه يُصِيْبُ بِه مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِه وَهُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ ◌
৩/ وَمَا مِنْ دَابَّةٍ فِىْ الَاْرْضِ اِلَّا عَلىٰ اللهِ رِزْقُهَا وَيَعْلَمُ مُسْتَقَرَّهَا وَمُسْتَوْدَعَهَا كُلٌّ فِىْ كِتٰبٍ مُبِيْنٍ ◌
৪/ اِنِّىْ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ رَبِّىْ وَرَبِّكُمْ مَا مِنْ دَابَّةٍ اِلَّا هُوَ اٰخِذٌبِنَاصِيَتِهَا اِنَّ رَبِّىْ عَلىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ ◌
৫/ وَكّاَيِّنْ مِّنْ دَابَّةٍ لَّا تَحْمِلُ رِزْقَهَا اللهُ يَرْزُقُهَا وَاِيَّاكُمْ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
৬/ مَا يَفْتَحِ اللهُ لِلنَّاسِ مِنْ رَّحْمَةٍ فَلَا مُمْسِكَ لَهَا, وَمَا يُمْسِكْ فَلَا مُرْسِلَ لَه مِنْ بَعْدِه وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ ◌
৭/ وَلَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَنْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ لَيَقُوْلُنَّ اللهُ قُلْ اَفَرَءَيْتُمْ مَا تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ اِنْ اَرَادَنِىَ اللهُ بِضُرٍّ هَلْ هُنَّ كٰشِفٰتُ ضُرِّه اَوْاَرَادَنِىْ بِرَحْمَةٍ هَلْ هُنَّ مُمْسِكٰتُ رَحْمَتِه قُلْ حَسْبِىَ اللهُ عَلَيْهِ يَتَوَكَّلُ الْمُتَوَكِّلُوْنَ ◌
হযরত আলী মুর্তজা (রা.) বলেন: যে ব্যক্তি প্রত্যহ সকাল-সন্ধ্যা উক্ত আয়াতগুলি পড়বে সে দুনিয়ার যাবতীয় ফেতনা ও বিপদ মুসিবত হতে রক্ষা পাবে। এবং আল্লাহ তায়ালা তাকে দুশমনদের সমস্ত চালবাজী হতে রক্ষা করবেন।
লক্ষণীয়:উক্ত আয়াত গুলি সন্ধ্যায়ও ১বার পড়া উচিৎ।
সন্ধ্যা বেলার জিকির সমূহঃ
সন্ধ্যা বেলার বর্ণিত জিকির ও আমাল সমূহের ব্যপারে উত্তম হল আছর হতে ঈশা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আদায় করে নেয়া তবে আছরের পর হতে সুবহে সাদেক পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যেও আদায় করার সুযোগ আছে।
১। আল্লাহ পাকের নিরাপত্তা পাবার জন্য ও শয়তানকে ভাগাবার ব্যাপারে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ: আয়াতুল কুরসী ১বার পড়বে।
اَللهُ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ لَا تَاْخُذُه سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ لَه مَافِى السَّمٰوٰتِ وَمَافِى الْاَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَه اِلَّا بِاِذْنِه يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِه اِلَّا بِمَاشَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَلَا يُئُوْدُه حِفْظُهُمَا وَهُوَ العَلِىُّ الْعَظِيْمُ ◌ (سورة البقرة)
ফজিলত: যে ব্যক্তি রাত্রি বেলা আয়াতুল কুরসী পড়বে এর বরকতে সে সকাল পর্যন্ত সংরক্ষিত হয়ে যাবে। এবং শয়তান তার নিকটে আসতে পারবে না।
(বুখারী)
২।ব্যক্তিগত ভাবে সার্বিক বালা-মুসিবত হতে বাঁচবার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ: (সূরায়ে বাক্বারার শেষ দুই আয়াত)
اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَا اُنْزِلَ اِلَيْهِ مِنْ رَبِّه وَالْمُؤْمِنُوْنَ, كُلٌّ اٰمَنَ بِاللهِ وَمَلٰئِكَتِه وَكُتُبِه وَرُسُلِه لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِه وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَاَطَعْنَا, غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَاِلَيْكَ الْمَصِيْرُ ◌ لَا يُكَلِّفُ اللهُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا, لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ, رَبَّنَا لَا تُؤَا خِذْنَا اِنْ نَسِيْنَا اَوْ اَخْطَاْنَا, رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَآ اِصْرًا كَمَا حَمَلْتَه عَلىَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِنَا, رَبَّنَا وَلَاتُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِه, وَاعْفُ عَنَّاوقفة وَاغْفِرْلَنَاوقفة وَارْحَمْنَاوقفة اَنْتَ مَوْلنَا فَانْصُرْنَا عَلىَ الْقَوْمِ الْكٰفِرِيْنَ ◌
ফজিলত: হযরত আবু মাসউদ (রা.) হতে মারফ’ু রেওয়াত যে, ব্যক্তি রাত্রি বেলা সূরায়ে বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়বে তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।
(বুখারী মুসলিম)
৩। সমস্ত কষ্ট দায়ক জিনিসের কষ্ট হতে সংরক্ষণের জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ:
(সূরায়ে ইখলাস, সূরায়ে ফালাক ও সূরায়ে নাস ৩বার করে পড়বে)
সূরায়ে ইখলাস ঃ
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ◌ قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ ◌ اللهُ الصَّمَدُ ◌ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ ◌ وَلَمْ يَكُنْ لَّه كُفُوًا اَحَدٌ ◌
সূরায়ে ফালাক ঃ
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ◌ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ◌ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ◌ ومِنْ شَرِّغَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ◌ وَمِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِى الْعُقَدِ ◌ وَمِنْ شَرِّحَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ◌
সূরায়ে নাস ঃ
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ◌ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ◌ مَلِكِ النَّاسِ ◌ اِلٰهِ النَّاسِ ◌ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ◌ اَلّذِىْ يُوَسْوِسُ فِىْ صُدُوْرِ النَّاسِ ◌ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ◌
ফজিলত: যে ব্যক্তি সূরায়ে ইখলাস, সূরায়ে ফালাক ও সূরায়ে নাস সন্ধ্যা বেলায় ৩বার করে পড়বে সে সর্বপ্রকারের কষ্ট দায়ক বস্তুর কষ্ট হতে হেফাজতে থাকবে। (আবু দাউদ, তিরমিজী)
৪। দুনিয়া ও আখেরাতের সর্ব ব্যাপারে যথেষ্ট হবার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ:
(৭ বার পড়বে) حَسْبِىَ اللهُ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ
ফজিলত: যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলা এই দু‘য়া ৭বার পড়বে। তার যাবতীয় পেরেশানী হতে আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং যথেষ্ট হয়ে যাবেন।
(আবু দুউদ, আমানুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ, রুহুল মায়ানী)
৫। দোযখের অগ্নি হতে বাঁচবার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ:(৪বার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَمْسَيْتُ اُشْهِدُكَ وَاُشْهِدُ حَمْلَةَ عَرْشِكَ وَمَلَائِكَتَكَ وَجَمِيْعَ خَلْقِكَ اِنَّكَ اَنْتَ اللهُ لَآ اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ وَحْدَكَ لَا شَرِ يْكَ لَكَ وَاَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُوْلُكَ
ফজিলত: যে ব্যক্তি উক্ত দু‘য়া সন্ধ্যায় ৭বার পড়বে। আল্লাহ তায়ালা তাকে দোযখের আগুন হতে মুক্তি দিবেন। (আদাবুল মুফরাদ ১/১২০, আবু দাউদ)
৬। বান্দার উপর আল্লাহর নিয়ামত পরিপূর্ণ করার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (৩বার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَمْسَيْتُ مِنْكَ فِىْ نِعْمَةٍ وَعَافِيَةٍ وَسِتْرٍ فَاَتْمِمْ عَلىَّ نِعْمَتَكَ وَعَافِيَتَكَ وَسِتْرَكَ فِىْ الدُّنْيَا وَالْآَخِرَةِ
ফজিলত: যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলায় এই দু‘য়া ৩বার পড়বে। আল্লাহ তায়ালা তার উপর নিয়ামত সমূহকে পরিপূর্ণ করে দিবেন। (আ’মালু ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ ৫৫)
৭। আল্লাহ তায়ালার নিয়মত সমূহের শুকরিয়া আদায় হবার ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ:
اَللّٰهُمَّ مَا اَمْسىٰ بِىْ مِنْ نِعْمَةٍ اَوْ بِاَحِدٍ مِّنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لَا شَرِ ْيكَ لَكَ فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ
ফজিলত: তেমনিভাবে যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলা উক্ত দু‘য়া পড়ল সে যেন ঐ রাত্রের নিয়ামত সমূহের শুকরিয়া আদায় করল। (আবু দাউদ, কিতাবুল আদাব ২/৬৯২)
৮। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার বান্দার উপর রাজি ও সন্তুষ্ট হবার ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (৩বার পড়বে)
رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَّبِالْاِسْلَامِ دِيْنًا وَبِمُحَمَّدٍ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيًّا
(আবু দাউদ, আহমদ ৪/৩৩৭, তিরমিজী)
৯। দুনিয়া ও আখেরাতের মঙ্গল অর্জনের জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
يَاحَيُّ يَاقَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ اَسْتَغِيْثُ اَصْلِحْ لِىْ شَاْنِىْ كُلَّه وَلَا تَكِلْنِىْ اِلىٰ نَفْسِىْ طَرْفَةَ عَيْنٍ
ফজিলত: যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলা এই দু‘য়া ১বার পড়বে। সে যেমন আল্লাহ তায়ালার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত মঙ্গল ও কল্যাণ চাইল। (আল হাকীম, তারগীব ১/২৮৩)
লক্ষনীয় :হযরত আনাস (রা:)হতে বর্ণিত নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় কন্যা হযরত ফাত্বেমা (রা:) কে উক্ত দু‘য়া প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা পড়ার জন্য অছিয়্যাত করেছিলেন. (বাইহাকী)
১০। হঠাৎ কোন বালা-মুসিবত হতে বাঁচবার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ: (৩বার পড়বে)
بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِه شَيْئٌ فِىْ الْاَرْضِ وَلَا فِىْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
ফজিলত: যে কোন বান্দা-বান্দী প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা উক্ত দু‘য়া ৩বার পড়বে। অতপর তার কোন ক্ষতি হবে এমনটা হতেই পারে না।
(তিরমিজী, ইবনে মাজাহ)
আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত: সকাল পর্যন্ত তার কাছে কোন মুসিবত পৌছতে পারবে না। তেমনিভাবে যে ব্যক্তি সকাল বেলা উক্ত দু‘য়া পড়বে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন মুসিবত তার কাছে পৌছতে পারবে না।
১১। দৈহিক সাছ্ছন্দ পাবার জন্য হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (৩বার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ بَدَنِىْ, اَللّٰهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ سَمْعِىْ, اَللّٰهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ بَصَرِىْ لَآ اِلهِ اِلَّا اَنْتَ, اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ لَآ اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ
ফজিলত:যে ব্যক্তি এই দু‘য়া সন্ধ্যা বেলায় ৩বার পড়বে। আল্লাহ তায়ালার রহমতের প্রতি পূর্ন আসা যে, আল্লাহ তায়ালা তাকে পূর্ণ সাছ্ছন্দ দান করবেন।
(আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ৩/১৪২)
১২। শয়তানের প্রলম্বনা হতে বাঁচবার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ فَاطِرَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ رَبُّ كُلِّ شَيْئٍ وَمَلِيْكِهِ اَشْهَدُ اَنْ لَآ اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِىْ وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِه وَاَنْ اَقْتَرِفَ عَلىٰ نَفْسِىْ سُوْءًا اَوْ اَجُرُّه اِلىٰ مُسْلِمٍ
ফজিলত: যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলা এই দু‘য়া ১বার পড়বে আল্লাহ তায়ালা তাকে শয়তানের যাবতীয় প্রলম্বনা হতে হেফাজত করবেন। (আবু দাউদ, তিরমিজী)
১৩। জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ اَنْتَ رَبِّىْ لَا اِلٰهَ اِلَّآ اَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَاَنَا عَبْدُكَ وَاَنَا عَلىٰ عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ اَبُؤْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلىَّ وَاَبُؤْءُ لَكَ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ فَاِنَّه لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اَنْتَ
ফজিলত: যে ব্যক্তি একীনের সাথে রাত্রি বেলা উক্ত দু‘য়া পড়বে। অতপর: সকাল হবার পূর্বে সে মারা যায়। তাহলে সে জান্নাতের বাসিন্দাদের মধ্য হতে হবে। (বুখারী)
১৪। সব ধরণের নিরাপত্তার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِىْ الْدُنْيَا وَالْاٰخِرَةِ, اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ الْعَفْوَ
وَالْعَافِيَةَ فِىْ دِيْنِىْ وَدُنْيَاىَ وَاَهْلِىْ وَمَالِىْ, اَللّٰهُمَّ اسْتُرُ عَوْرَاتِىْ وَ اٰمِنْ رَوْعَاتِىْ اَللّٰهُمَّ احْفِظْنِىْ مِنْ بَيْنَ يَدَىَّ وَمِنْ خَلْفِىْ وَعَنْ يَمِيْنِىْ وَعَنْ شِمَالِىْ وَ مِنْ فَوْقِىْ وَ اَعُوْذُ بِعَظْمَتِكَ اَنْ اُغْتَالَ مِنْ تَحْتِىْ
ফজিলত: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকাল-সন্ধ্যা উক্ত কালিমাগুলি পড়া কখনও ছাড়তেন না। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)
১৫। পেরেশানী দুর হওয়া ও কর্জ আদায় হওয়ার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ:
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ, وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدِّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ
ফজিলত: রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: তোমাকে কি এমন কালিমা শিখাইব না? তুমি তা পড়লে আল্লাহ তায়ালা তোমার পেরেশানী দুর করে দিবেন এবং তোমার কর্জ পরিশোধ করে দিবেন তুমি সকাল-সন্ধ্যা উক্ত দু‘য়া পড়তে থাক। (আবু দাউদ, ২/৩৭০)
১৬। দোযখের আগুন হতে বাঁচবার জন্য রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ:
اَللّٰهُمَّ اَجِرْنِىْ مِنَ النَّارِ
ফজিলত: হাদীসে আছে যখন তুমি মাগরিবের নামায পড়ে শেষ কর তখন কাহার সাথে কথা-বার্তা বলার আগে উক্ত দু‘য়া ৭বার পড়। কেননা যখন তুমি উক্ত দু‘য়া পড়বে আর ঐ রাত্রে তুমি মারা যাবে তাহলে তুমি দোযখের আগুন হতে মুক্তি পেয়ে যাবে।
১৭। আল্লাহ তায়ালার শান অনুযায়ী আল্লাহর কাছ থেকে ছওয়াব পাবার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ:
يَارَبِّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا يَنْبَغِىْ لِجَلَالِ وَجْهِكَ وَعَظِيْمِ سُلْطَانِكَ
ফজিলত: যখন বান্দা এই দু‘য়া পড়বে আল্লাহ তায়ালা তাকে তাঁর শান অনুযায়ী ছওয়াব দান করবেন। (ইবনে মাজাহ, আহমদ)
১৮। কষ্ট দায়ক জন্তুর কষ্ট হতে রেহাই পাবার জন্য রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ:
اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
ফজিলত: সন্ধ্যা বেলা যে ব্যক্তি ঐ দু‘য়া ৩বার পড়বে সে সমস্ত জিব-জন্তুর ক্ষতি হতে নিরাপদে থাকবে যদিও তাকে দংশন করে তথাপিও তার কোন ক্ষতি হবে না।
(আবু দাউদ, তিরমিজী, ইবনে মাজাহ)
১৯। সর্ব প্রকারের বিপদ,বালা-মুসিবত হতে রক্ষা পাবার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ اَنْتَ رَبِّىْ لَآ اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ عَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَاَنْتَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ مَاشَاءَ اللهُ كَانَ ومَا لَمْ يَشَا لَمْ يَكُنْ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ اَعْلَمُ اَنَّ اللهَ عَلىٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ وَاَنَّ اللهَ قَدْ اَحَاطَ بِكُلِّ شَيْئٍ عِلْمًا اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِىْ وَمِنْ شَرِّ كُلِّ دَابَّةٍ اَنْتَ اٰخَذٌ بِنَاصِيَتِهَا اِنَّ رَبِّىْ عَلىٰ صَرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ
ফজিলত: যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলা এই দু‘য়া ১বার পড়বে সকাল পর্যন্ত তার কাছে কোন মুসিবত পৌছবে না। (আবু দাউদ ও ইবনেস সিন্নী)
২০। আল্লাহর দান ত্বলব করার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (মাগরিবের আযানের পর ১ বার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ هَذَا اِقْبَالُ لَيْلِكَ وَاِدْبَارُ نَهَارِكَ وَاَصْوَاتِ دُعَاتِكَ فَاغْفِرْلِىْ
(আবু দাউদ, মুস্তাদরাক ১/১১৯)
২১। সম্মানিত ভাই ও বোনেরা! নিম্নের দুয়া গুলি নিজে পড়ুন ও আপনার প্রিয়জন সকলকে পড়তে বলুন।
سُبْحَانَ اللهِ عَدَدَ مَا خَلَقَ, سُبْحَانَ اللهِ مِلْأَ مَاخَلَقَ سُبْحَانَ اللهِ عَدَدَ مَا فِىْ الْاَرْضِ وَالسَّمَاءِ, سُبْحَانَ اللهِ مِلْأَ مَا فِىْ الْاَرْضِ وَالسَّمَاءِ سُبْحَانَ اللهِ عَدَدَ مَا اَحْصىٰ كِتَابُه سُبْحَانَ اللهِ مِلْأَ مَا اَحْصىٰ كِتَابُه, سُبْحَانَ اللهِ عَدَدَ كُلِّ شَيْئٍ سُبْحَانَ اللهِ مِلْأَ كُلِّ شَيْئٍ اَلْحَمْدُ للهِ عَدَدَ مَاخَلَقَ اَلْحَمْدُ للهِ مِلْأَ مَاخَلَقَ وَالْحَمْدُ للهِ عَدَدَ مَافِىْ الْاَرْضِ وَالسَّمَاءِ وَالْحَمْدُلِلَّهُ مِلْأَ مَافِىْ الْاَرْضِ وَالسَّمَاءِ وَالْحَمْدُ لِلَّهُ عَدَدَ مَا اَحْصىٰ كِتَابُه وَالْحَمْدُلله مِلْأَ مَا اَحْصىٰ كِتَابُه, وَالْحَمْدُ للهِ عَدَدَ كُلِّ شَيْئٍ , وَالْحَمْدُلِلّٰهُ مِلْأَ كُلِّ شَيْئٍ
ফজিলত: হযরত উমামাহ (রা.) বলেন; আমি আমার ঠোট নড়া চড়া করা অবস্থায় আমাকে রসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন। তখন আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, কি জন্য তুমি তোমার ঠোট নড়াইতেছ? হে আবু উমামাহ! আমি বললাম ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি আল্লাহর জিকির করিতেছি। তখন আমাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাকে কি আমি রাত্র দিনের সব চাইতে উত্তম ও বেশী পরিমানের জিকিরের কথা বলব না? তখন আমি বললাম বলুন ইয়া রসূলুল্লাহ! তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন যে, তুমি উক্ত কালিমাগুলি পড়তে থাক। ত¦াবরানী শরীফের রেওয়ায়েতে এসেছে যে, উক্ত কালিমাগুলি তুমি নিজে শিখ এবং তোমার সন্তানাদীদেরকেও শিখায়ে দাও।
(আহমদ, নাসায়ী ও ইবনে খুঝাইমাহ)
২২। দৈনন্দিন জিকির,আমলের ক্ষতি পূরণের ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
فَسُبْحٰنَ اللهِ حِيْنَ تُمْسُوْنَ وَحِيْنَ تُصْبِحُوْنَ ◌ وَلَهُ الْحَمْدُ فِيْ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَعَشَيًا وَحِيْنَ تُظْهِرُوْنَ ◌ يُخْرِجُ الْحَيَّ مِن الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الَحَيِّ وَيُحْيِ الْاَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَكَذَالِكَ تُخْرَجُوْنَ ◌
ফজিলত: রাত্রে বেলার নফল আমল ফউত হওয়া ব্যক্তি উক্ত আয়াতগুলি পড়লে তার ঐ রাত্রের ফউত হওয়া আমালের ক্ষতি পূরণ হয়ে যাবে। (আবু দাউদ)
২৩। সর্ব প্রকারের বালা-মুসিবত হতে বাচবার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
(আয়াতুল কুরসী ও সুরায়ে গাফের এর শুরুর তিন আয়াত)
اَللهُ لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ لًا تَأْخُذُه سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَه مَا فِىْ السَّمٰوٰتِ وَمَا فِىْ الْاَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَه اِلَّا بِاِذْنِه يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ, وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءً مِنْ عِلْمِه اِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَلَا يَئُوْدُه حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِىُّ الْعَظِيْمُ◌
সুরায়ে গাফের এর শুরুর তিন আয়াত: (১বার পড়বে)
حٰم◌ تَنْزِيْلُ الْكِتٰبِ مِنَ اللهِ الْعَزِيْزِ الْعَلِيمِ◌ غَافِرِ الذَّنْبِ وَقَابِلِ التَّوْبِ شَدِيْدِ الْعِقَابِ, ذِىْ الطَّوْلِ, لَآ اِلٰهَ اِلَا هُوَ اِلَيْهِ الْمَصِيْرُ◌
ফজিলত: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত: রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: যে, ব্যক্তি উক্ত আয়াত সকাল বেলা পড়বে সন্ধ্যা পর্যন্ত সে সংরক্ষিত হয়ে যাবে। তেমনিভাবে যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলা উক্ত আয়াতগুলি ও আয়াতুল কুরসী পড়বে সে সকাল পর্যন্ত সংরক্ষিত হয়ে যাবে।
(দারমী, তিরমিজী, মাসনাদে বাঝঝার)
২৪। শহীদের মর্যাদায় ভূষিত হওয়ার ও ফেরেস্তাদের দু‘য়া পাওয়ার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (যদি ঐ ব্যক্তি পড়ার দিন মারা যায়) (৩বার পড়বে)
اَعُوْذُ بِاللهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيمِ مِنْ الشَّيْطٰنِ الرَّجِيْمِ
هُوَ اللهُ الذِّىْ لَآ اِلٰهَ اِلَّاهُوَ, عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ, هُوَ الرَّحمٰنُ الرَّحِيْمُ ◌ هُوَ اللهُ اَلَّذِّىْ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ, الْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلٰمُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ, سُبْحَانَ اللهِ عَمَّا يُشْرِ كُوْنَ ◌ هُوَ اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوْرُ لَه الْاَسْمَاءُ الْحُسْنىٰ, يُسَبِّحُ لَه مَافِىْ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ, وَهُوَ
১বার পড়বে الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ ◌ (سورة الحَشْرِ )
ফজিলত: হযরত মা’কল বিন ইয়াসার (রা.) হতে বর্ণিত নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন; যে ব্যক্তি সকাল বেলা اَعُوْذُ بِاللهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطٰنِ الرَّجِيْمِ
তিনবার পড়ার পর সুরায়ে হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য (৭০.০০০) সত্তর হাজার ফেরেস্তা নিয়োগ করে দিবেন যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য দু‘য়া করতে থাকবে। আর যদি ঐ দিন মারা যায় তাহলে সে শহীদ হয়ে মারা যাবে (অর্থাৎ তাকে আল্লাহ তায়ালা শাহাদাতের মর্যাদায় ভূষিত করবেন) তেমনিভাবে যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলা ঐ ভাবে পড়বে তাকে ঐ রকম মর্যাদা দান করা হবে।
(তিরমিজী, দারমী শরীফ)
বি:দ্র:তবে লক্ষ রাখতে হবে আমাদের দেশে কোন কোন মসজিদে ফজরের নামাযের পর ইমাম ছাহেব মুক্তাদীদের কে পড়ায়ে দেন এটা সুন্নাত নয়। বরং একাকি পড়াটাই সুন্নাত । যারা না যানে তারা কয়েকদিন পড়ে মুখস্থ শিখে নিবেন , অতপর একাকি পড়বেন তখনই উক্ত ফজিলত পেতে সক্ষম হবেন।
২৫। সমস্ত হাজাত ও জরুরাত পুরা হবার জন্য এবং সকল প্রকারের মর্যাদার সহিত সম্মানিত হবার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ اَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَاَنْتَ تَهْدِيْنِىْ واَنْتَ تُطْعِمُنِىْ واَنْتَ تَسْقِيْنِىْ وَاَنْتَ تُمِيْتُنِىْ واَنْتَ تُحْيِيْنِىْ
ফজিলত: হযরত হাসান (রহ.) হতে বর্ণিত: হযরত সামুরা বিন জুনদুব (রা.) বলেন; আমি কি তোমাকে একটা হাদীস বলব না? যা আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বারংবার বলতে শুনেছি এবং আবু বকর (রা.) থেকে বারংবার বলতে শুনেছি এবং হযরত উমর (রা.) থেকে বারংবার বলতে শুনেছি। আমি বললাম জি হ্যা বলুন। তিনি বললেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা উক্ত দু‘য়া পড়বে অতপর: সে যে কোন জিনিস আল্লাহর কাছে চাইবে আল্লাহ পাক তাকে সেই জিনিষ অবশ্যই দান করবেন। (ত্বাবরানী মাজমাউঝ ঝাওয়ায়েদ১৬০/১০)
২৬। জিন্নাতের ক্ষতি হতে বাঁচবার ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
اَعُوْذُ بِوَجْهِ اللهِ الْكَرِيْمِ وَبِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ اللَّتِىْ لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ مِنْ شَرِّ مَايَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيْهَا وَشَرِّ مَا ذَرَأَ فِىْ الْاَرْضِِ وَشَرِّ مَايَخْرُجُ مِنْهَا وَمِنْ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مِنْ طَوَارِقِ اللَّيْلِ وَ النَّهَارِ اِلّاطاَرِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ ياَرَحْمٰنَ
ফজিলত: যখন জিনেরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বা কষ্ট দেওয়ার উদ্দেশ্যে অগ্রসর হল। অত:পর নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত দু‘য়া পড়লেন তখন ঐ সকল দুষ্ট জিনেরা উপুর হয়ে পড়ে গেল। (মুয়াত্বা ইমাম মালেক)
২৭। যাদু ও যাবতীয় শয়তান হতে বাঁচবার জন্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (৩বার পড়বে)
اَصْبَحْنَا وَاَصْبَحَ الْمُلْكُ للهِ وَالْحَمْدُ كُلُّه للهِ اَعُوْذُ بِاللهِ الَّذِىْ يُمْسِكُ السَّمَاءَ اَنْ تَقَعَ عَلىٰ الْارْضِ اِلَّا بِاِذْنِه مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَ ذَرَأ وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِه
ফজিলত: হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর (রা.) হতে বর্ণিত রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন; সকাল বেলা যদি তোমরা এই দু‘য়া ৩বার পড় তাহলে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বপ্রকার শয়তানের ক্ষতি যাদু, বান, টোনা ইত্যাদি হতে আল্লাহ হেফাজত করবেন।
(দুয়া-৯৫৪, ইবুনছ্ ছিন্নী-৬৬,, ও মাজমা-১১৯/১)
২৮। যাদু হতে বিশেষভাবে হেফাজতের ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
اَعُوْذُ بِوَجْهِ اللهِ الْعَظِيْمِ الَّذِىْ لَيْسَ شَيْئَ اَعْظَمُ مِنْه وَبِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ الَّتِىْ لَا يُجَاوَزُهُنَّ بِرٌّ وَلَا فَاجِرٌ وَبِاَسْمَاءِ اللهِ الْحُسْنىٰ كُلُّهَا مَا عَلِمْتَ مِنْهَا وَمَالَمْ اَعْلَمْ مِنْ شَرِّ مَاخَلَقَ وَ بَرَأَ وَ ذَرَأَ
ফজিলত: হযরত কা’কা (রা.) হতে বর্ণিত যে, হযরত কা’বে আহবার (রা.) বলেনঃ যদি আমি ঐ কালেমাগুলি না পড়তাম তাহলে ইয়াহুদীরা আমাকে গাধা বানিয়ে দিত। উনাকে জিজ্ঞাসা করা হল সেই কালেমাগুলি কি? তখন তিনি উপরুক্ত দু‘য়া পড়ে শুনিয়ে দিলেন। (মুয়াত্বা ইমাম মালেক)
সুতরাং যে ব্যক্তি প্রত্যহ সকাল বেলা এই দু‘য়া ১বার পড়বে আল্লাহ চাহেত সে যাদু হতে সংরক্ষিত থাকবে।
২৯। গুনাহ মাফের ও নেকী পাওয়ার ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه
ফজিলত: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন; যে ব্যক্তি উক্ত দু‘য়া দিনে একশত বার পড়বে তার গুনাহ সমূহ সমুদ্রের ফেনা পরিমান হলেও আল্লাহ তায়ালা সব মাফ করে দিবেন।
(বুখারী, মুসলিম)
এবং তাকে ১ লক্ষ চব্বিশ হাজার নেকী লিখে দেওয়া হবে। (তিরমিজী)
৩০। তিনটি বিকলঙ্গ করে দেওয়া রোগ হতে সহজেই মুক্তি পাবার ব্যাপারে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইরশাদ: (ফজরের নামায বাদ পড়বে (৩বার)
سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيْمِ وَبِحَمْدِه
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ مِمَّا عِنْدَكَ وَاَفَضُّ عَلىٰ مِنْ فَضْلِكَ وَاَنْشَرَ عَلىٰ مِنْ رَحْمَتِكَ
وَاَنْزِلْ عَلىَّ مِنْ
(১বার) بَرَكَاتِكَ
ফজিলত: হযরত কবীছাহ (রা.) হতে বর্ণিত: আমি নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হলাম। আমাকে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন; কোন্ জিনিস তোমাকে নিয়ে আসল (অর্থাৎ কি প্রয়োজনে এসেছ?) আমি বললাম ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার বয়স হয়ে গেছে। শরীর নরম হয়ে গেছে। বিধায় আপনার কাছে আসলাম যে, আপনি আমাকে এমন কিছু শিখায়ে দিবেন যার দ্বারা আল্লাহ তায়ালা আমাকে ফায়দা দেন। অতপর: হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আামাকে বললেন, হে কবীছাহ! তুমি যে কোন পাথর বা গাছ-পালা মাটির কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে তারা সকলেই তোমার গুনাহ মাফের জন্য দু‘য়া করবে। তুমি যখন ফজরের নামায শেষ কর তখন তুমি ৩বার পড় سُبْحَانَ اللهِ العظيم وبحمده তাহলে তুমি অন্ধত্ব, কুষ্ঠ ও অর্ধাঙ্গ হওয়া থেকে হেফাজতে থাকতে পারবে। হে কবীছাহ! তুমি আরো পড়Ñ (জামিউল ফাওয়ায়েদ ১-ম খন্ড)
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ مِمِّا عِنْدَكَ وَأَفْضِ عَلىَّ مِنْ فَضْلِكَ وَاَنْشُرْ عَلىَّ مِنْ رَحْمَتِكَ وَأَنْزِلْ مِنْ بَرَكَاتِكَ
বি;দ্র:এখান থেকে خانه كعبه এর সামনে مطاف বসে লেখা শুরু করেছি। আল্লাহ তুমি কবুল কর। ২৬ জিলক্বদ‘৩৪ হি: রোজ: বুধবার সূর্যদয়ের আগ মুহুর্তে।
৩১। জিনের ক্ষতি হতে বাঁচবার ব্যাপারে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইরশাদ: (১বার পড়বে)
اَفَحَسِبْتُمْ اِنَّمَا خَلَقْنكُمْ عَبَثًا وَّاَنَّكُمْ اِلَيْنَا لَا تُرْجَعُوْنَ ◌ فَتَعٰلَى اللهُ الْمُلْكُ الْحَقُّ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيْمِ ◌ وَمَنْ يَدْعُ مَعَ اللهِ اِلٰهًا آخَرَ, لَا بُرْهَانَ لَه بِه, فَاِنَّمَا حِسَابُه عِنْدَ رَبِّه, اِنَّه لَا يُفْلِحُ الْكٰفِرُوْنَ ◌ وَقُلْ رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ واَنْتَ خَيْرُ الرَّحِمِيْنَ ◌
ফজিলত: এক ব্যক্তি (অসুস্থ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) এর নিকট আসল। তখন তিনি ঐ অসুস্থ লোকটির কানে উক্ত আয়াতগুলি পড়লেন (ফুক দিলেন) লোকটি ততক্ষনাৎ সুস্থ হয়ে গেল। অত:পর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এই সংবাদ পৌছলে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, (হে ইবনে মাসউদ!) তুমি তো তাকে (জিনকে) জালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছ। উক্ত আয়াতগুলি পড়ে তার কানে (ফুক দেওয়ার দ্বারা) তারপর নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন, আল্লাহর কসম যদি কোন ব্যক্তি একীনের সহীত (আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে) উক্ত আয়াতগুলি কোন পাহাড়ের উপর পড়ে (অর্থাৎ পাহাড়ের উপর ফুক দেয়) তাহলে পাহাড় পর্যন্ত আপন স্থান হতে হটে যাবে।
(আবু নাঈম হুলয়া ১,৭,৭১, আবু ইয়ালা ৮/৪৫৮নং ৫,৪৫, তাফসীরে রুহুল মায়ানী ৯,৩৬২)
হযরত ইবরাহীম বিন হারেস (রা.) তামীমী বলেন, নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে কোন যুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন। অতপর: আমাদেরকে হুকুম করলেন: যেন আমরা সকাল-সন্ধ্যা (افحسبتم…) উক্ত আয়াতগুলি পড়ি। তারপর আমরা ঐ আয়াতগুলি পড়তে থাকলাম। এতে আমরা অত্যন্ত সুন্দরও সাছ্দন্দের সাথে ও নিরাপদে কাটালাম। (তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/৪৭৪, রুহুল মায়ানী ৯/৩৬২)
৩২। নিম্নের দু‘য়া ১বার পড়বে।
اَللّٰهُمَّ بِكَ اَصْبَحْنَا وَبِكَ اَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوْتُ وَاِلَيْكَ النُّشُوْرُ
(তিরমিজী)
৩৩। নিম্নের দু‘য়া ১বার পড়বে।
اَصْبَحْنَا وَاَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ خَيْرَ هَذَا الْيَوْمِ فَتْحَه وَنَصْرَه وَنُوْرَه وَبَرْكَتَه وَهُدَاه واَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَافِيْهِ وَشَرِّ مَا بَعْدَه ‘
(হিসনে হাসীন)
৩৪। নিম্নের দু‘য়া ১বার পড়বে।
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ اَوَّلَ هذَا النَّهَارِ صَلَاحًا وَاَوْسَطَه‘ فَلَاحًا وَآخِرَه نَجاَحًا, اَسْئَلُكَ خَيْرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ يٰاَ رْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
(হিসনে হাসীন ৭৫)
৩৫। নিম্নের দু‘য়া ১বার পড়বে।
اَصْبَحْنَا عَلىٰ فِطْرَةِ الْاِسْلَامِ وَكَلِمَةِ الْاِخْلَاصِ وَعَلىٰ دِيْنِ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلىٰ مِلَّةِ اَبِيْنَآ اِبْرَاهِيْمَ حَنِيْفًا مُسْلِمًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِ كِيْنَ
(হিসনে হাসীন ৭০)
আয়াতে হেফাজতের ফজিলত
যাকে আমাদের দেশীয় পরিভাষায় মঞ্জিল বলা হয়। আব্দুল্লাহ বিন আহমদ ঝাওয়াইদুল মুসনাদ কিতাবে কা’ব (রা.) হতে রেওয়াত করেন: আমি নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ছিলাম ইত্যবষরে এক বেদুঈন আল্লাহর নবীর খেদমতে আসল এবং বলল, হে আল্লাহর নবী! আমার এক ভাই আছে যার প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে। হুজুর জিজ্ঞাসা করলেন; কিসের ব্যাথা? বেদুঈন বলল, “লামাম” তখন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন যে, তাকে আমার কাছে আন। অত:পর তাকে হুজুরের সামনে আনা হল, তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরায়ে ফাতেহা তার উপর তাবীজ করলেন, সূরায়ে বাক¦ারার শুরুর ৪ আয়াত ও وَاِلهُكُمْ اِلهٌ وَّاحِدُ
এই দুই আয়াত আয়াতুল কুরসী, বাক¦ারার শেষ তিন আয়াত সূরায়ে আলে ইমরান এর আয়াত “شَهِدَ اللهُ اَنَّهُ لَا اِلٰهَاِلَّا هُوَ” সূরায়ে আরাফের আয়াত اِنَّ رَبَّكُمُ اللهُ الَّذِىْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ ও সূরায়ে মূ’মিনিন এর শেষ আয়াত فَتَعَالىٰ اللهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ ও সূরায়ে জি¦ন এর আয়াত وَاَنَّه تَعَالىٰ جَدُّ رَبَّنَاও সূরায়ে ছাফ্ফাতের প্রথম ১০ আয়াত, সূরায়ে হাশরের শেষ ৩ আয়াত, সূরায়ে ইখলাস, সূরায়ে ফালাক, সূরায়ে নাস পড়ে তার উপর তাবিজ করলেন। তারপর লোকটি উঠে দাড়াল যেমন তার কোন রোগ ব্যাধি কিছুই ছিলনা
(ইত্কান, কাঞ্জুল উম্মাল, হায়াতুস সাহাবা ৬২২)
হাদীসের আলোকে ও ছাহাবায়ে কেরামের আকওয়াল এবং উলামায়ে কেরামের মতামতের ভিত্তিতে উল্লেখিত আয়াত সমূহের ফজিলত ও বৈশিষ্টতা বর্ণিত: এবং এর গুণাবলী আরো অনেক ও বিস্তারিত। যেমনÑ সাইয়্যেদ আলাবী বিন সাইয়্যেদ আহমদ ছাক্কাফ (র.) ঐ সমস্ত আয়াত ও লিখেছেন অন্যান্ন আয়াতের বৈশিষ্টতা তার রচিত কিতাব “বাকিয়াতুছ ছালিহাত ওয়াদ দুরূউস সাবিকাত” কিতাবের দ্বিতীয় অধ্যায়ের মধ্যে
بِتَرْشِيْحِ الْمُسْتَفِيْدِيْنَ بِتَوْشِيْحِ فَتْحِ الْمُعِيْنَ فِيْ الْفِقْهِ الشَّافِعِيْ فَقَالَ “اَلنَّوْعُ الْثَانِيْ” فِيْ مَا يَتَحَصَّنُ بِه مِنَ الْآَيَاتِ الْقَرْاٰنِيَةِ, كَاٰيَاتِ الْحَرْزِ الْمَشْهُوْرَةِ, وَاٰيَاتِ الْكَفَالَةِ, وَاٰيَاتِ الْحِفْظِ وِاٰيَاتِ الْلُطْفِ وَالْمَعُوْذَاتِ وَالْخَوْفِ مِنْ عَدُوِّ أَوْ وَبَاءِ . وَغَيْرُ ذٰلِكَ
পরিশেষে লেখক লিখেন যে, এখান থেকে হেফাজতে থাকার আয়াতগুলি লিখা হচ্ছে, যা ৩৩ আয়াত সম্বিলিত। (৪৩৩ اَلْبَاقِيَاتُ الصَّالِحَاتُ ص)
লিখক বলেন: লক্ষণীয়: যে উক্ত আয়াতগুলির মধ্য হতে কতেক আয়াত এমন আছে যা সকাল বেলার আমলের মধ্য হতে নয় বরং তা রাত্রের আমালের মধ্য হতে যেমন হযরত ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত: যে ব্যক্তি উক্ত আয়াতগুলি রাত্রি বেলা পড়বে তাহলে তাকে কোন হিং¯্র প্রাণী ক্ষতি করতে পারবে না এবং চোর (ডাকাৎ) তাকে কোন প্রকারের ক্ষতি করতে পারবে না। বরং তার নিজের ও তার পরিবারস্থ লোকজন ও তার সহয় সম্পদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা হয়ে থাকবে। এভাবে সে সকাল পর্যন্ত নিরাপত্তার সাথে চলতে থাকবে।
হাদীস বর্ণনাকারী বর্ণনা করেন যে, উক্ত (৩৩) আয়াত এর তেলাওয়াত (আমলের) মধ্যে ১০০ রোগের চিকিৎসা রয়েছে। তন্মধ্যে পাগল হওয়া থেকে মুক্তি, কুষ্ঠ রোগ ও স্বেৎ রোগ হতে মুক্তিও আছে। একদা তিনি জনৈক অর্ধাঙ্গ রুগীর উপর উক্ত আয়াতগুলি পড়লেন। আল্লাহর ইচ্ছা সে সুস্থ হয়ে উঠল।
উল্লেখিত আয়াতগুলি পড়া এমনি একটি আমল যার দ্বারা শয়ত্বান জ্বিন ও যাদু ও অন্নান্য আরো অনেক ক্ষতি হতে আতœরক্ষা হয়।
হযরত আল্লামা ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী (রহ.) “القول الجميل” কিতাবে লিখেছেন; এই ৩৩ আয়াতের আামল যে করবে তাকে কোন প্রকারের যাদু-টোনা ক্রিয়া করবে না। চোর-ডাকাত হতে নিরাপদে থাকবে এবং সর্ব প্রকারের হিং¯্র, চতুস্পদ, জিবজন্তুর ধ্বংসাত্তক ছোবল হতে নিরাপদে থাকবে।
হযরত আল্লামা আশরাফ আলী থানভী (রহ.) বলেন: যখন কোন জ্বিনের ক্ষতির রুগীর উপর উক্ত ৩৩ আয়াত পড়া হবে এবং উক্ত আয়াত দ্বারা দম করা পানি ঘরের কোনায় ছিটিয়ে দেয়া হবে ঐ ঘর দুষ্ট শয়তান জ্বিন হতে নিরাপদ থাকবে। (ইন্শাআল্লাহ)
সূরায়ে ফাতেহার ফজিলত:আল্লাহ তায়া’লা সূরায়ে ফাতেহার মধ্যে সমস্ত রোগ ব্যাদি হতে আরগ্য রেখেছেন। (দারমী ও বায়হাকী)
এবং সূরায়ে ফাতেহা রুগীর উপর পড়ার ব্যাপারে অনেক উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
সূরায়ে বাক¦ারার ১০ আয়াতের ফজিলত: হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত (موقوفا) যে ব্যক্তি সূরায়ে বাকারার প্রথম ৪ আয়াত ও আয়াতুল কুরসী ও তার পরের ২ আয়াতসহ এবং সূরায়ে বাক্বারার শেষ ৩ আয়াত পড়বে তাহলে ঐ দিন তার ও তার পরিবারস্থ লোকদের নিকট কোন ধরনের শয়তান বা ক্ষতিকর বস্তু পৌছতে পারবে না এবং উক্ত আয়াতগুলি কোন পাগলের উপর পড়া হলে সে পাগলও সুস্থ হয়ে যাবে। (الاتقان ২/১৬৪)
এবং وَاِلٰهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدُ لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الرَّحْمنُ الرَّحِيْمُ এটা তো তাওহীদ (আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের) সম্বিলিত আয়াত। যা ইসলামের মূল ভিত্তি।
সূরায়ে বাক্বারার শেষ আয়াত সমূহের ব্যাপারে হযরত জুবায়ের ইবনে নুফায়ের (রা.) হতে (مرفوعا) রেওয়ায়াত আল্লাহ পাক সূরায়ে বাক্বারাকে এমন ২টি আয়াত দ্বারা শেষ করেছেন যে, আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি উক্ত আয়াতদ্বয় আমার ঐ খাজানা হতে অবতরণ করেছি। যে খাজানা আরশের তলদেশ হতে প্রবাহ। বিধায় তোমরা সকলে নিজেরা ঐ আয়াতদ্বয় শিখ ও তোমাদের স্ত্রীদেরকে শিখাও। কেননা উহা রহমত, আল্লাহর নৈকট্য লাভের কারণ ও দুয়া। (দারমী, বাইহাকী ও মুস্তাদরক হাকীম)
হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা.) হতে (مرفوعا) রেওয়াতঃ যখন সূরায়ে ফাতেহা, আয়াতুল কুরসী شَهِدَ اللهُ اَنَّه لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ এবং قُلِ اللّٰهُمَّ مَالِكِ الْمُلْكِ اِلٰى بِغَيْرِ حِسَابٍ পর্যন্ত নাজিল হল, তখন এই আয়াতগুলি আল্লাহর আরশের নিচে ঝুলে পড়ল এবং বলতে লাগল হে খোদা! তুমি কি আমাদেরকে এমন কওমের কাছে নাজিল করলা, যারা তোমার নাফারমানি করবে? তখন আল্লাহ তায়ালা উত্তর করলেন। আমার ইজ্জতের কসম, আমার বুজুর্গীর কসম, আমার উচ্চ মর্যাদার কসম, আমার যে কোন বান্দা পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ার পর আয়াতগুলিকে তেলাওয়াত করবে আমি তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিব। তাকে জান্নাতুল ফেরদাউসে স্থান দিব। তার ৭০টি হাজত আমি পুরা করব। যার মধ্যে সর্ব নি¤েœর হল আমি তাকে আমার মাগফিরাত (ক্ষমা) দান করব। (তাফসীরে রুহুল মায়ানী, ২/১৪৪, ত্বাবরানী, বাইহাকী, মায়ালিমুত্ তাঞ্জিল)
এবং اِنَّ رَبَّكُمُ اللهُ الَّذِىْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ হতে اَلْمُحْسِنِيْنَ পর্যন্ত পড়া আল্লাহর হুকুমে সর্বপ্রকারের ক্ষতি দূর করার ব্যাপারে প্রশিদ্ধ।
(সূরায়ে ইছরা) “قُلْ اَدْعُوْا اللهَ اَوِ ادْعُوْا الرَّحْمٰنَ” الآية
এর ফজিলতের ব্যাপারে হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত যে, রসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত আয়াতের ফজিলত সম্পর্কে বলেন; উক্ত আয়াত চোরের চুরি হতে নিরাপত্তার আয়াত। (রুহুল মায়ানী ৮/২৬)
হযরত আবু মুসা আশয়ারী (রা.) হতে (مرفوعا) রেওয়াত যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা উক্ত আয়াত পড়বে (قُلْ اُدْعُوْا اللهَ اَوِادْعُوْا الرَّحْمٰنَ) ঐ রাত্রে-দিনে তার অন্তর মরবে না। (অর্থাৎ তার অন্তর সর্বদা সজাগ থাকবে। (দায়লেমী)
হযরত ইবরাহীম বিন হারেস তামীমী (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমাদেরকে রসূল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক যুদ্ধে পাঠাবার কালে আমাদেরকে বললেন: তোমরা সকাল-সন্ধ্যা “اَفَحَسِبْتُمْ اَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثًا” الآية পড়িও । অত:পর আমরা ঐ আয়াত পড়লাম তখন আমরা গনীমতের মাল অর্জন করে ও সহীহ সালামতে ফিরে আসলাম।
(কাঞ্জুল উম্মাল, ইছাবাহ, ১/১৫ ও ইবনুস সিন্নী)
তেমনিভাবে সূরায়ে ছফ্ফাত এর শুরুর আয়াতগুলিও হেফাজতের মাসনুন আমালের মধ্যে। এবং ঐ সব আয়াতের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা একত্ববাদের ঘোষণা ও উহার দালায়েল বিদ্যমান।
তেমনিভাবে সূরায়ে আর রহমানের “يَامَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ” الآية ক্ষতি দূর করার ব্যাপারে প্রশিদ্ধ। হযরত মা’কল বিন ইয়াছার (রা.) হতে বর্ণিত নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা ৩বার
اَعُوْذُ بِاللهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ পড়ে সূরায়ে হাশরের শেষ ৩আয়াত পড়বে। আল্লাহ তায়ালা ৭০,০০০ (হাজার) ফেরেস্তা নিযুক্ত করেদেন। যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার উপর দু‘য়া করতে থাকে। আর ঐ দিন যদি সে মারা যায় তাহলে সে শাহাদাতের মর্যাদায় সম্মানিত হবে। তেমনিভাবে যে সন্ধ্যা বেলা ঐ আমল করবে সেও উক্ত মর্যাদার সাথে সম্মানিত হবে। (তিরমিজী ও দারমী)
সূরায়ে জ্বিনের শুরুর আয়াতগুলিতো ক্ষতি দুরভুত হওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত পরিচিতি।
শেষের পাঁচ সূরার ফজিলত সম্পর্কে হযরত জুবায়ের বিন মুত্বয়ীম (রা.) হতে বর্ণিত: তিনি বলেনঃ আমাকে রসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে জুবায়ের! তুমি কি ইহা পছন্দ কর? যখন তুমি সফরে বের হও তখন তুমি তোমার অন্নান্য সাথীদের অপেক্ষা ভাল অবস্থানে থাক ও তাদের অপেক্ষা সাচ্ছন্দে অবস্থান কর। আমি বললাম হ্যাঁ ইয়া রসূলুল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার উপর কুরবান হোক। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে জুবায়ের! তাহলে তুমি এই পাঁচটি সূরা এইভাবে পড় যে প্রত্যেক সূরা শুরু করতে بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ পড়ে সূরায়ে কাফিরুন, সূরায়ে নছর সূরায়ে ইখলাস সূরায়ে ফালাক ও সূরায়ে নাস সর্ব শেষে আবারও ১বার بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ পড়। হযরত জুবায়ের বিন মুত্বয়ীম (রা.) বলেন, আমি এর পূর্বে সফরে বের হতাম তো অত্যন্ত দুর অবস্থার স্বীকার হয়ে থাকতাম, সফরের সামান ইত্যাদিতে একেবারে সাধারণভাবে থাকতাম, কিন্তু আমাকে যখন নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত আমাল শিখিয়ে দিলেন। আর আমি ঐগুলো পড়তে লাগলাম তখন হতে আমি সফরে সুন্দর, ও সাচ্ছন্দের সহিত সফর করতে লাগলাম। সফর হতে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত ভালভাবেই সময় অতিবাহিত করতে লাগলাম।
(হায়াতুস্ সাহাবা-৩/৪০৭, তিরমিজী, তাফসীরে মাজহারী)
হাদীসে অন্যত্র বর্ণিত সূরায়ে কাফিরুন চতুর্থ কুরআনের সমতুল্য। (তিরমিজী)
সুরায়ে ইখলাস তৃতীয়াংশ কুরআন সমতুল্য। হাদীসে বর্ণিত: তুমি সকাল-সন্ধ্যা সূরায়ে ইখলাস সূরায়ে ফালাক সূরায়ে নাস পড় তাহলে তুমি সমস্ত বিপদ-আপদ বালা-মুসিবত হতে নিরাপদে থাকতে পারবে।
(আবু দাউদ, নাছায়ী, ও তিরমিজী)
হযরত উক্ববা বিন আমির (রা.) বলেন: একদা রসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত ধরে বললেন; হে উক্ববা বিন আমির! তোমাকে কি তাওরাত, ইঞ্জিল, ঝাবুর ও কুরআনে কারীম এর সর্ব উত্তম ৩টি সূরা শিখাব ? আমি বললাম জি হ্যাঁ। ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাকে আল্লাহ তায়ালা আপনার উপর উৎসর্গ করুক। তখন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে সূরায়ে ইখলাস, সূরায়ে ফালাক ও সূরায়ে নাস পড়ালেন। অতপর: আমাকে বললেন, হে উক্ববা তুমি এই সূরাগুলি পড়তে কখন ভুল করিও না। আর কখন রাত্র যাপন করিও না এই সূরাগুলি পড়া ব্যতিত। হযরত উক্ববা (রা.) বলেন, আমাকে যখন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, তুমি ভুলিও না তখন থেকে কখনও উহা পড়তে ভুলি নাই ও উহা পড়া ব্যতিত কখনও রাত্র যাপন করি নাই। (তাফসীরে ইবনে কাসীর)
বিগত সমস্ত সূরাও আয়াতগুলি একত্রিতভাবে লিখা হল পাঠকের সুবিধার্থে মন্জিল নাম করণ করা হল।
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ◌
اَلْحَمْدُلِلّٰهُ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ ◌ اَلرَّحْمنِ الرَّحِيْمِ ◌ مَالِكِ يَوْمِ الدِّيْنِ ◌ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَاِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ ◌ اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ ◌ صِرَاطَ الَّذِيْنَ اَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ, غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِيْنَ اٰمين بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ◌
الم ◌ ذٰلِكَ الْكِتٰبُ لَا رَيْبَ فِيْهِ هُدًى لِلْمُتَّقِيْنَ ◌ اَلَّذِيْنَ يُؤْمِنُوْنَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيْمُوْنَ الصَّلٰوةَ وَمِمَّا رَزَقْنٰهُمْ يُنْفِقُوْنَ ◌ وَالَّذِيْنَ يُؤْمِنُوْنَ بِمَآ اُنْزِلَ اِلَيْكَ وَمَآاُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ وَبِالْاٰخِرَةِ هُمْ يُوْقِنُوْنَ ◌ اُولٰئِكَ عَلىٰ هُدًى مِنْ رَّبِّهِمْ وَاُولٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ وَاِلٰهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيْمُ اَللهُ لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ, اُلْحَىُّ الْقَيُّوْمُ لَا تَاْخُذُه سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ, لَه مَا فِىْ السَّموتِ وَمَافِىْ الْاَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَه اِلَّا بِاِذْنِه يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِنْ عِلْمِه اِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيَّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَلَا يَئُوْدُه حِفْظُهُمَا وَهُوُ الْعَلِىُّ الْعَظِيْمُ ◌ لَا اِكْرَاهَ فِىْ الدِّيْنِ قَدْ تَبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَىِّ فَمَنْ يَّكْفُرْ بِالطَّاغُوْتِ وَيُؤْمِنْ بِاللهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقىٰ لَا انْفِصَامَ لَهَا وَاللهُ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌ ◌ اَللهُ وَلِىُّ الذِّيْنَ اٰمَنُوْا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُلُمٰتِ اِلىٰ النُوْرِ وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا اَوْلِيئُهُمُ الطَّاغُوْتُ يُخْرِجُوْنَهُمْ مِنَ النُّوْرِ اِلىٰ الظُّلُمتِ اُولئِكَ اَصْحبُ النَّارِ هُمْ فِيْهَا خلِدُوْنَ لِلّٰهِ مَافِىْ السَّمٰوٰتِ وَمَافِىْ الْاَرْضِ وَاِنْ تُبْدُوْا مَافِىْ اَنْفُسِكُمْ اَوْتُخْفُوْهُ يُحَاسِبُكُمْ بِه اللهُ فَيَغْفِرُ لِمَنْ يَّشَاءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَّشَاءُ وَاللهُ عَلىٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ ◌ اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَآاُنْزِلَ اِلَيْهِ مِنْ رَّبِّه وَالْمُؤْمِنُوْنَ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللهِ وَمَلئِكَتِه وَكُتُبِه وَرُسُلِه لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِه وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَاَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَاِلَيْكَ الْمَصِيْرُ ◌ لَا يُكَلِّفُ اللهُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَآ اِنَّ نَسِيْنَآ اَوْاَخْطَاْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيِنَا اِصْرًا كَمَا حَمَلْتَه عَلىٰ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِه وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْلَنَا وَارْحَمْنَا اَنْتَ مَوْلٰنَا فَانْصُرْنَا عَلىٰ الْقَوْمِ الْكٰفِرِيْنَ شَهِدَ اللهُ اَنَّه لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ وَالْمَلئِكَةُ وَاُوْلُوْا الْعِلْمِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ قُلِ اللّٰهُمَّ مٰلِكَ الْمُلْكِ تُؤْتىِ الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ اِنَّكَ عَلىٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ ◌ تُوْلِجُ الَّيْلَ فِىْ النَّهَارِ وَتُوْلِجُ النَّهَارَ فِىْ الَّيْلِ وَتُخْرِجُ الْحَىَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَىِّ وَتَرْزُقُ مَنْ تَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ اِنَّ رَبَّكُمُ اللهُ الَّذِىْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ فِىْ سِتَّةِ اَيَّامٍِ ثُمَّ اسْتَوٰى عَلَى الْعَرْشِ, يُغْشِى الَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُه حَثِيْثًا وَّالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُوْمَ مُسَخَّرَاتٍ بِاَمْرِه اَلاَ لَهُ الْخَلْقُ وَالْاَمْرُ, تَبَارَكَ اللهُ رَبُّ الْعلَمِيْنَ ◌২২২২২২২২২২২২اُدْعُوْا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَّخُفْيَةً, اِنَّه لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِيْنَ. ◌ وَلَا تُفْسِدُوْا فِىْ الْاَرْضِ بَعْدَ اِصْلَاحِهَا وَادْعُوْهُ خَوْفًا وَّطَمَعًا اِنَّ رَحْمَةَ اللهِ قَرِيْبٌ مِّنَ الْمُحْسِنِيْنَ قُلِ ادْعُوْا اللهَ اَوِادْعُوْا الرَّحْمنَ . اَيًّامَّا تَدْعُوْا فَلَهُ الْاَسْمَاءُ الْحُسْنىٰ وَلَا تَجْهَرْ بِصَلَاتِكَ وَلَا تُخَافِتْ بِهَا وَابْتَغِ بَيْنَ ذٰلِكَ سَبِيْلًا = وَقُلِ الْحَمْدُ للهِ الَّذِىْ لَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَّلَمْ يَكُنْ لَّه شَرِ يْكٌ فِى الْمُلْكِ وَلَمْ يَكُنْ لَّه وَلِىٌّ مِنَ الذٌّلِّ وَكَبِّرْهُ تَكْبِيْرًا اَفَحَسِبْتُمْ اَنَّمَا خَلَقْنٰكُمْ عَبَثًا وَّاَنَّكُمْ اِلَيْنَا لَا تُرْجَعُوْنَ ◌ فَتَعلَى اللهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ, لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيْمِ ◌ وَمَنْ يَدْعُ مَعَ اللهِ اِلٰهًا اٰخَرَ لَا بُرْهَانَ لَه بِه . فَاِنَّمَا حِسَابُه عِنْدَ رَبِّه اِنَّه لَا يُفُلِحُ الْكفِرُوْنَ ◌ وَقُلْ رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَاَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ◌
وَالصّٰفّٰتِ صَفَّا ◌ فَالزّٰجِرٰتِ زَجْرًا ◌ فَالتّٰلِيٰتِ ذِكْرًا ◌ اِنَّ اِلٰهُكُمْ لَوَاحِدٌ ◌ رَبُّ الْسَمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَ رَبُّ الْمَشَارِقِ ◌ اِنَّا زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِزِيْنَةِ الْكَوَاكِبِ ◌ وَحِفْظًا مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ مَّارِدٍ ◌ لَا يَسَّمَّعُوْنَ اِلَى الْمَلَأِ الْاَعْلىٰ وَيُقْذَفُوْنَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ ◌ دُحُوْرًا وَّلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ ◌ اِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَاَتْبَعَه شِهَابٌ ثَاقِبٌ ◌ فَاسْتَفْتِهِمْ اَهُمْ اَشَدُّ خَلْقًا اَمْ مَّنْ خَلَقْنَا اِنَّا خَلَقْنهُمْ مِنْ طِيْنٍ لَّازِبٍ ◌ يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ اِنِ اسْتَطَعْتُمْ اَنْ تَنْفُذُوْا مِنْ اَقْطَارِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ فَانْفُذُوْا لَا تَنْفُذُوْنَ اِلَّا بِسُلْطَانٍ ◌ فَبِاَىِّ اٰلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبنِ ◌ يُرْسَلُ عَلَيْكُمَا شُوَاظٌ مِّنْ نَّارٍ وَنُحَاسٌ فَلَا تَنْتَصِرَانِ ◌ فَبِاَىِّ اٰلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّباَنِ ◌ فَاِذَا انْشَقَّتِ السَّمَاءُ فَكَانَتْ وَرْدَةً كَالدِّهَانِ ◌ فَبِاَىِّ اٰلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبنِ ◌ فَيَوْمَئِذِ لَّا يُسْئَلُ عَنْ ذَنْبِه اِنْسٌ وَلَا جَانٌّ ◌ فَبِاَىِّ اٰلَاءِ رَبِّكُمُا تُكَذِّبنِ ◌ لَوْ اَنْزَلْنَاهَذَا الْقُرْاٰنَ عَلىٰ جَبَلٍ لَرَاَيْتَه خَاشِعًا مُتَصَدِّعًا مِّنْ خَشْيَةِ اللهِ وَتِلْكَ الْاَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلْنَاسِّ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُوْنَ ◌ هُوَ اللهُ الَّذِىْ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ علِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيْمُ ◌ هُوَ اللهُ الَّذِىْ لَآ اِلٰهَ ا ِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ الْسَّلمُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللهِ عَمَّا يُشْرِ كُوْنَ ◌ هُوَ اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَه الْاَسْمَاءُ الْحُسْنىٰ يُسَبِّحُ لَه مَا فِىْ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ◌
قُلْ اُوْحِىَ اِلَىَّ اَنَّه اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ فَقَالُوْا اِنَّا سَمِعْنَا قُرْاٰنًا عَجَبًا◌يَهْدِىْ اِلَى الرُّشْدِ فَاٰمَنَّا بِه ◌ وَلَنْ نُّشْرِكَ بِرَبِّنَا اَحَدًا ◌ وَاَنَّه تَعَالىٰ جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَّلَا وَلَدًا ◌ وَاَنَّه كَانَ يَقُوْلُ سَفِيْهُنَا عَلَى اللهِ شَطَطًا ◌
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ◌
قُلْ يٰاَيُّهَا الْكٰفِرُوْنَ◌لَآ اَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ ◌ وَلَا اَنْتُمْ عٰبِدُوْنَ مَآ اَعْبُدُ ◌ وَلَآ اَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدْ تُّمْ ◌ ولَآ اَنْتُمْ عٰبِدُوْنَ مَآ اَعْبُدُ ◌ لَكُمْ دِيْنُكُمْ وَلِىَ دِيْنٌ ◌
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ◌
قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ ◌ اَللهُ الصَّمَدُ ◌ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ ◌ وَلَمْ يَكُنْ لَّه كُفُوًا اَحَدٌ ◌
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ◌
قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ◌ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ◌ وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ◌ وَمِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِى الْعُقَدِ ◌ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ◌
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ◌
قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ◌ مَلِكِ النَّاسِ ◌ اِلٰهِ النَّاسِ ◌ مِنْ شَرِّ الْوَسَوَاسِ الْخَنَّاسِ ◌ اَلَّذِىْ يُوَسْوِسُ فِى صُدُوْرِ النَّاسِ ◌ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ◌
৩৪। নিম্নের বর্ণিত ওজিফাগুলি প্রত্যেক সন্ধ্যায় ১০০বার করে পড়া চাই।
سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُلِلّٰهُ وَلَآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ وَلَاحَوْلَ وَلَاقُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ
১০০ বার করে পড়বে।
৩৫। “اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْحَىُّ الَقَيُّوْمُ وَاَتُوْبُ اِلْيْهِ”
অথবা اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِىْ ১০০ বার করে পড়বে।
৩৬। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর ১০০বার করে দুরূদ পড়বে। তবে দরূদে ইবরাহীম পড়তে পারলে ভাল। অন্যথায় সংক্ষেপে এই দুরূদও পড়তে পারে “اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ مُحَمَّدِنِالنَّبِىِّ الْاُمِّىِّ بَعَدَدِ كُلِّ مَعْلُوْمٍ لَكَ”
রাতের অজিফা সমূহ
৩৭। (রাত্রে) সূরায়ে আলিফ লাম মীম সিজদাহ ১বার পড়বে।
৩৮। সূরায়ে মুলক ১বার পড়বে।
ফজিলত: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত: নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে, কুরআন শরীফের মধ্যে ৩০ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে, যা পড়নে ওয়ালা ব্যক্তির ব্যাপারে অবশ্য সুপারিশ করবে। যতক্ষুণ পর্যন্ত ঐ পড়নে ওয়ালা ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেয়া না হবে। আর ঐ সূরা হল –
“تَبَارَكَ الَّذِىْ بِيَدِه الْمُلْكِ” (আহমদ, আবু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিজী, ইবনে মাজাহ)
হাদীসে অন্যত্র বর্ণিত: যে ব্যক্তি মাগরিব ও ঈশার নামাযদ্বয়ের মাঝে ‘সূরায়ে মুলক ও সূরায়ে আলিফ লাম মীম সিজদাহ’ পড়বে। সে যেমন শবে ক্বদরে জাগ্রত থেকে ইবাদত বন্দেগীতে রাত্রি যাপন করল।
হাদীসে অন্যত্র বর্ণিত: যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরায়ে মুলক পড়বে তাকে দোযখের আগুন হতে পানাহ দেয়া হবে। (হাকিম)
নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রি বেলা ‘সূরায়ে মুলক ও সূরায়ে আলিফ লাম মীম সিজদাহ’ পড়া ব্যতিত ঘুমাতেন না। (তিরমিজী ও হিসনে হাসীন)
৩৯। সূরায়ে ওয়াক্বিয়াহ পড়লে ভুকা-ফাকাহ আসবে না।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) বলেন: রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: যে, ব্যক্তি প্রত্যেক রাত্রে সূরায়ে ওয়াক্বিয়াহ পড়বে তার কখনও ভুকা-ফাকাহ আসবে না। বিধায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) নিজের মেয়েদেরকে ঐ সূরা পড়ার ইহতেমাম করতে নির্দেশ করতেন।
(বাইহাকী)
সূরায়ে আর রহ্মান, সূরায়ে ওয়াক্বিয়াহ ও সূরায়ে হাদীদ পড়নে ওয়ালাকে জান্নাতুল ফেরদাউসের বাসিন্দা বলে ডাকা হয়।
বিধায় তোমরা নিজেরা ঐ সূরা শিখ ও তোমাদের সন্তানদেরকে শিখাও।
হাদীসে অন্যত্র বর্ণিত: তোমাদের স্ত্রীদেরকে ঐ সূরা শিখাও।
হযরত আয়েশা (রা.) কে ঐ সূরা (وَاقِعَةُ) পড়ার জন্য হুকুম করা হয়েছে।
৪০। আয়াতে মুনাজ্জিয়াত (রক্ষাকারী আয়াত সমূহ)
প্রতিদিন সন্ধ্যায় ১বার পড়া উচিৎ। যা পূর্বে ৪৬ নম্বরে লিখা হয়েছে।
নিম্নের বর্ণিত দু‘য়া । মুস্তাজাবুদ দাওয়াত (অর্থাৎ যে বান্দার দু‘য়া কবুল হয় এমন বান্দা) হওয়ার জন্য নি¤েœর দু‘য়া ২৫ বা ২৭ বার পড়তে হবে। “اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِىْ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ”
ফজিলত: হাদীসে বর্ণিত যে ব্যক্তি সমস্ত মুমিন নর-নারীর মাগফিরাতের জন্য ২৫/২৭বার দু‘য়া পড়বে। আল্লাহ তায়ালা তাকে ঐ সকল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে দিবেন যাদের দু‘য়া আল্লাহর কাছে কবুল এবং যাদের দু‘য়ার বরকতে জমীন বাসিদেরকে রিজিক দেয়া হয়।
☞আসমানের দরজা সমূহ খোলার জন্য নববী ইরশাদ:
লক্ষণীয়: নি¤েœর কালিমাগুলি নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মুখ মুবরক হতে সর্ব প্রথম জারী হয়েছিলÑ
“اَللهُ اَكْبَرُ كَبِيْرًا وَالْحَمْدُلِلّٰهِ كَثِيْرًا, وَسُبْحَانَ اللهِ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا”
(নাশরুত্ব ত্বিব ২৩:الخاصائص الكبرى للبيهقي )
ফজিলত: ইমাম মুসলিম (র.) রেওয়াত করেন: হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর (রা.) বলেন আমরা একদা নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সহিত নামায পড়তেছিলাম। তখন জনৈক ব্যক্তি উক্ত কালিমাগুলি বললেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন কে, এই কালিমাটি পড়েছে? লোকটি বললেন, আমিÑ ইয়া রাসূলূল্লাহ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন যে, আমি বড় আশ্চর্যন্বিত হয়েছি যে, এই কালিমাগুলি পড়ার সময় আসমানের দরজা সমূহ খুলে গেছে। (হিসনুল মুসলিম)
☞শয়তানের নষ্টামী হতে বাঁচবার ব্যাপারে নববী বয়ান: ১০বার পড়বে।
“اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ”
হাদীসে বর্ণিত: যে ব্যক্তি “اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ” ১০বার পড়বে। আল্লাহ তায়ালা তার রক্ষার জন্য ১জন ফেরেস্তা নিয়োজিত করেন। (হিসনে হাসীন)
হালাল সম্পদ বৃদ্ধির বর্ণনা: ১বার পড়বে।
“اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُوْلِكَ وَصَلِّ عَلىٰ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ”
ফজিলত: যে ব্যক্তি তার মালের মধ্যে বরকত কামনা করে সে যেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর উপরুক্ত দুরূদ পড়তে থাকে। (হিসনে হাসীন ২৬)
আল্লাহ তায়ালার হামদ ও নবীর উপর দুরূদের উত্তম পদ্ধতি( ১বার পড়বে)।
“اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا اَنْتَ اَهْلُهُ فَصَلِّ وَسَلِّمَ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ كَمَا اَنْتَ اَهْلُهُ وَافْعَلْ بِنَا مَا اَنْتَ اَهْلُهُ فَاِنَّكَ اَهْلُ الْتَقْوٰى وَاَهْلُ الْمَغْفِرَةِ”
ফায়েদা: আল্লামা ইবনুল মুশতাহির (র.) বলেন: যে, ব্যক্তি উত্তম পন্থায় আল্লাহর হামদ (প্রসংশা) ও নবীয়ে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর উত্তম পন্থায় দুরূদ পাঠাতে চায় সে যেন উল্লেখিত পন্থা অবলম্বন করে। (فضائل التصلية)
নি¤েœর দু‘য়া পড়লে সমস্ত গুনাহ মোচন হয়ে যাবে اَللّٰهُمَّ مَغْفِرَتُكَ اَوْسَعُ مِنْ ذُنُوْبِىْ وَرَحْمَتُكَ اَرجٰى عِنْدِىْ مِنْ عَمَلِى
ফজিলত: এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে এসে অত্যন্ত কাতর হয়ে শোক-তাপ করতে লাগল এই বলে হায় গুনাহ! হায় গুনা! এইভাবে ২/৩বার বলার পর আল্লাহর নবী তাকে বললেনঃ
اَللّٰهُمَّ مَغْفِرَتُكَ اَوْسَعُ مِنْ ذُنُوْبِىْ وَرُحْمَتُكَ اَرْجٰى عِنْدِىْ مِنْ عَمَلِىْ
পড়তে থাক। লোকটি পড়ল। অতপর: আল্লাহর নবী তাকে আবার পড়ার কথা বললেনঃ লোকটি আবার পড়ল আল্লাহর নবী তাকে আবার পড়ার কথা বললেন, লোকটি আবারও পড়ল শেষে আল্লাহর নবী তাকে বললেন, এখন যাও। তোমার সব গুনাহ মোচন হয়ে গেছে। (মুস্তাদরাক হাকিম)
* অসুস্থতা ও ভোকা-ফাকা হতে শান্তিতে থাকবার ব্যাপারে নববী ইরশাদ: (১বার পড়বে)
“تَوَكَّلْتُ عَلَى الْحَىِّ الَّذِىْ لَا يَمُوْتُ اَلْحَمْدُلِلّٰهِ الَّذِىْ لَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَلَمْ يَكُنْ لَه شَرِيْكٌ فِىْ الْمُلْكِ وَلَمْ يَكُنْ لَه وَلِىُّ مِنُ الذُّلِّ وَكَبِّرْه تَكْبِيْرًا”
ফজিলত: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমি এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন বের হয়ে চলতে লাগলাম। যে অবস্থায় আমার হাতখানা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাত মুবারকের মধ্যে ছিল তখন জনৈক ব্যক্তি সম্মুখে উপস্থিত যার অবস্থা ছিল একেবারে বিক্রিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন তোমার কি হয়েছে? তোমাকে এরকম বিক্রিত কেন দেখছি? লোকটি বললেন, অসুস্থতা ও দারিদ্রতায় আমার এই দুর অবস্থা। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে তোমাকে কি আমি কয়েকটি কালিমা শিখায়ে দিব? যার দ্বারা তোমার অসুস্থতা ও দারিদ্রতা দুরভূত হয়ে যাবে? তখন উক্ত দু‘য়া শিখায়ে দিলেন। অত:পর কিছুদিন পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। যখন তার অবস্থা ভালই হয়েছিল। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখে জ্ঞিাসা করলেন, কি খবর? লোকটি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাকে যখনই ঐ কালিমাগুলি শিখায়েছেন তখন থেকে আমি ও কালিমাগুলি পড়তে শুরু করেছি। (ইবনে কাসীর ও রুহুল মায়ানী)
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আমাকে হযরত জিবরাইল (আ.) যখনই পেরেশানযুক্ত দেখেছেন তখনই আমাকে উক্ত দু‘য়া পড়া শিখায়েছেন। (আত্ তারগীব, রুহুল মায়ানী)
পুরাদিন গুনাহ হতে বাঁচবার জন্য নববী ইরশাদ: (১০বার পড়বে)
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ◌
قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ ◌ اللهُ الصَّمَدُ ◌ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ ◌ وَلَمْ يَكُنْ لَّه كُفُوًا اَحَدٌ ◌
ফজিলত: হযরত আলী (রা.) বলেনঃ যে, ব্যক্তি ফজরের নামাযের পর সূরায়ে ইখলাস ১০বার পড়বে আল্লাহ চাহেত ঐ দিন সে কোন গুনাহের কাজে লিপ্ত হবে না। যদিও শয়তান তাকে গুনাহ করাবার চেষ্টা করুক। কিন্তু শয়তান তা পারবে না। (কানজুল উম্মাল)
* আত্বার প্রশান্তি আনায়ন কারি আয়াত সমূহ:
পেরেশানির সময় নি¤েœর আয়াতগুলি ১বার পড়ে নিজে দম করলে আল্লাহ চাহেত তার অন্তরের পেরেশানী দুর হয়ে আত্বার প্রশান্তি ফিরে আসবে।
(১) وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ اِنَّ اٰيَةَ مُلْكِه اَنْ يَّاْتِيَكُمُ التَّابُوْتُ فِيْه سَكِيْنَةٌ مِنْ رَّبِّكُمْ وَبَقِيَّةٌ مِّمَّا تَرَكَ اٰلُ مُوْسىٰ وَاٰلُ هٰرُوْنُ تَحْمِلُهُ الْمَلئِكَةُ اِنَّ فِىْ ذٰلِكَ لَاٰيَةً لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِيْنَ ◌ البقرة ২৪৮
(২) ثُمَّ اَنْزَلَ اللهُ سَكِيْنَتَه عَلىٰ رَسُوْلِه وَعَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ وَاَنْزَلَ جُنُوْدًالَّمْ تَرَوْهَا وَعَذَّبَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَذٰلِكَ جَزَاءُ الْكٰفِرِيْنَ ◌ التوبة ২৬
(৩) فَاَنْزَلَ اللهُ سَكِيْنَتَه عَلَيْهِ وَاَيَّدَه بِجُنُوْدٍ لَّمْ تَرَوْهَا وَجَعَلَ كَلِمَةَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا السُّفْلىٰ وَكَلِمَةُ اللهِ هِىَ الْعُلْيَا وَاللهُ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ ◌ التوبة ৪০
(৪) هُوَ الَّذِىْ اَنْزَلَ السَّكِيْنَةَ فِىْ قُلُوْبِ الْمُؤْمِنِيْنَ لِيَزْدَادُوْآ اِيْمَانًا مَعَ اِيْمَانِهِمْ وَلِلّٰهِ جُنُوْدُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَكَانَ اللهُ عَلِيْمًا حَكِيْمًا ◌ الفتح ৪
(৫) لَقَدْ رَضِىَ اللهُ عَنِ الْمُؤْمِنِيْنَ اِذْ يُبَايِعُوْنَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِىْ قُلُوْبِهِمْ فَاَنْزَلَ السَّكِيْنَةَ عَلَيْهِمْ وَاَثَابَهُمْ فَتْحًا قَرِيْبًا ◌ الفتح ১৮
(৬) اِذْ جَعَلَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فِيْ ْ قُلُوْبِهِمُ الْحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ فَاَنْزَلَ اللهُ سَكِيْنَتَه عَلىٰ رَسُوْلِه وعَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ وَاَلْزَمَهُمْ كَلِمَةَ التَّقْوٰى وَكَانُوْآ اَحَقَّ بِهَا وَاَهْلَهَا وَكَانَ اللهُ بِكُلِّ شُىءٍ عَلِيْمًا ◌ الفتح ২৬
* সর্ব প্রকারের বিপদ-আপদ, রোগ-শোক, ঋণগ্রস্থ ও ক্ষতিকর বস্তু ও দুষমণ হতে রক্ষা পাবার জন্য আয়াতের আমল: (১বার পড়বে)
নিম্নের আয়াতগুলি তেলাওয়াত সকাল বেলা করলে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার ফলাফল অবশ্যই পেয়ে যাবে। (ইনশা-আল্লাহ) তবে হয়ত কোন হেকমতে আল্লাহ তায়ালা কখনও বিলম্ব করতে পারেন। কিন্তু এই আমলের ফায়দা (প্রতিফলন) অবশ্যই অবধারিত। ইনশা-আল্লাহু তায়ালা।
اَعُوْذُ بِاللهِ مِنُ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ◌
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمِنْ الرَّحِيْمِ◌
(১) وَلَا يُئُوْدُه حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِىُّ الْعَظِيْمُ ◌ سورة البقرة: آية ২৫৫
(২) وَيُرْسِلُ عَلُيْكُمْ حَفَظَةً ◌ سورة الانعام: آية ৬১
(৩) اِنَّ رَبِّىْ عَلىٰ كُلِّ شَىْءٍ حَفِيْظٌ ◌ سورة الهود: آية ৫৭
(৪) فَاللهُ خَيْرٌ حَافِظًا وَّهُوَ اَرْحَمُ الرّٰحِمِيْنَ ◌ سورة يوسف: آية ৬৪
(৫) لَه مُعَقِّبتٌ مِّنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خِلْفِه يَحْفَظُوْنَه مِنْ اَمْرِ اللهِ سورة الرعد: آية ১১
(৬) اِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَاِنَّالَه لَحٰفِظُوْنَ ◌ سورة الحجر: آية ৯
(৭) وَحَفِظْنٰهَا مِنْ كُلِّ شَيْطنٍ رَجِيْمٍ ◌ سورة الحجر: آية ১৭
(৮) وَكُنَّا لَهُمْ حٰفِظِيْنَ = سورة الانبياء: آية ৮২
(৯) وَرَبُّكَ عَلىٰ كُلِّ شَىْءٍ حَفِيْظٌ ◌ سورة سبا: آية ২১
(১০) وَحِفْظًا مِنْ كُلِّ شَيْطنٍ مَاِردٍ ◌ سورة صفت: آية ৭
(১১) وَحِفْظًا ذٰلِكَ تَقْدِيْرُ الْعَزِيْزِ الْعَلِيْمِ ◌ سورة السجدة: آية ১২
(১২) اَللهُ حَفِيْظٌ عَلَيْهِمْ وَمَآاَنْتَ عَلَيْهِمْ بِوَكِيْلٍ ◌ سورة الشورى: آية ৬
(১৩) وَعِنْدَنَا كِتَابٌ حَفِيْظٌ ◌ سورة ق: آية ৪
(১৪) وَاِنَّ عَلَيْكُمْ لَحٰفِظِيْنَ ◌ سورة الانفطار: آية ১০
(১৫) بَلْ هُوَ قُرْآنٌ مَّجِيْدٌ ◌ فِىْ لَوْحٍ مَّحْفُوْظٍ ◌ سورة البورج: آية ২১-২২
(১৬) اِنْ كُلُّ نِفْسٍ لَّمَّا عَلَيْهَا حَافِظٌ سورة الطارق: آية ৪
* দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী দুর হওয়ার ব্যাপারে কুরআনী ও নববী ইরশাদ:
(১বার পড়বে) لَا اِلٰهَ اِلَّآ اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ
ফজিলত:
(১) হযরত সা’দ বিন আবু ওয়াক্কাস (রা.) হতে (مرفوعا) রেওয়াত: জিন্নূন (হযরত ইউনুস আ.) এর দু‘য়া তিনি মাছের পেটে যাওয়ার পর পড়েছিলেনÑ “لَا اِلٰهَ اِلَّآاَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّيْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ”
যদি কোন মুসলমান (কোন সমস্যায় পতিত হয়ে) পড়ে তাহলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই কবুল করবেন ও সমস্যা সমাধান করে দিবেন।
(রুহুল মায়ানী, তিরমিজী ও নাসায়ী)
(২) ইবনু আবী হাতেম তাখরীজ করেছেন ও বলেন যে ব্যক্তি হযরত ইউনুস (আ.) এর দু‘য়ার আমল করবে। আল্লাহ পাক অবশ্যই তা কবুল করবেন। (অর্থাৎ কোন বিপদের সম্মুখিন হয়ে দু‘য়ায়ে ইউনুস নিজের গুনাহকে স্বরণ করে নিজের গুনাহের উপর অনুতপ্ত হয়ে এই দু‘য়ার আমল করবে। আল্লাহ পাক তাকে সেই বিপদ হতে মুক্তি দান করবেন।)
সতর্ক বানী: বিপদের সন্মুখিন হয়ে দু‘য়ায়ে ইউনুস পড়ার আমল নিজে করার কথা . বর্তমান সমাজে প্রচলিত, কতিপয় লোকজন একত্রিত করে দু‘য়ায়ে ইউনুসের খতম পড়ান, এটা মূলত ইরশাদে নববী নয়। বিধায় এই প্রথা হতে বিরত থাকা একান্ত কাম্য।
(৩) হযরত আবু সাঈদ (র.) বলেনঃ যে, আল্লাহ তায়ালা উক্ত দুয়ার পর বলেছেন; وَكَذٰلِكَ نَجْزِ الْمُؤْمِنِيْنَ(অর্থাৎ হযরত ইউনুস আ. কে যেভাবে আমি কঠিন বিপদ হতে নাজাত দিয়েছি। তেমনিভাবে ঐ সকল ঈমানদারকে, যারা ঐ আমল বা জিকির করবে। তাদেরকেও নাজাত দিব।
(৪) হযরত ইবনে জাবীর (র.) (مرفوعا) হাদীস বর্ণনা করেছেনঃ আল্লাহর নাম নিয়ে দু‘য়া করলে তা আল্লাহ কুবল করেন। আর যখন আল্লাহর নামে কোন জিনিস চাওয়া হয় তা তাকে দেয়া হয়। আর সেই দু‘য়া হল দুয়ায়ে ইউনুস।
(৫) হযরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) বলেনঃ আমি জিজ্ঞাসা করলাম। ইয়া রাসূলাল্লাহ! ঐ দু‘য়া কি শুধু হযরত ইউনুস (আ.) এর জন্য নির্ধারিত ছিল? নাকি সকল মুসলমানদের জন্য তা প্রযোজ্য? তখন রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তুমি কি পড় নাই যে, আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ وَكَذلِكَ نُنْجِ الْمُؤْمِنِيْنَ সুতরাং যে কোন মুসলমান ঐ দু‘য়া করবে আল্লাহ তা’য়ালা তার দু‘য়া কবুল করার ওয়াদা দিয়েছেন।
(৬) ইবনে আবি হাতেম, কাসীর বিন সাঈদ (র.) হতে বর্ণনা করেছেন: তিনি বলেন যে, আমি হযরত হাসান বসরী (র.) কে ইসমে আ’জম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, ইসমে আজম দিয়ে দু‘য়া করলে আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করেন। সেই ইসমে আ’জম দিয়ে কিছু চাইলে আল্লাহ তায়ালা তাকে তা দেন। তখন হযরত হাসান বসরী (র.) বলেন, ভাতিজা! তুমি কি এ ব্যাপারে কুরআন শরীফে পড় নাই। অতপর: তিনি দুয়ায়ে ইউনুস সহ দুইটি আয়াত পড়লেন। ও বললেন যে, ইহাই হল সেই ইসমে আ’জম যার দ্বারা আল্লাহ তায়ালা দু‘য়া কবুল করেন। আর উহা দিয়ে চাইলে আল্লাহ তায়ালা তাকে তা দান করেন। (তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩,৩৯৫,৩৯৬)
(৭) অন্যত্র হাদীসে বর্ণিত: কোন মুসলমান তার অসুস্থতার মধ্যে ঐ দু‘য়া ৪০বার পড়ে আর অসুস্থতার মধ্যে যদি সে মারা যায় তাহলে সে ৪০জন শহীদের মর্যাদা পাবে। আর যদি সুস্থ হয়ে যায় তাহলে তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (হিসনে হাসীন ২৪১)
কুরআন শরীফের মধ্যে শিফার আয়াত (রোগ-আরোগ্যের) রয়েছে বিধায় কুরআনী আয়াত দ্বারা শিফা নেওয়া উচিৎ আয়াতে কুরআনী দ্বারা শিফা নিতে আল্লাহর কুরআনের প্রতি অগাদ বিশ্বাস দিলে রাখা অবশ্যকীয়। অসুস্থ ব্যক্তি কুরআন দিয়ে চিকিৎসা করা উচিৎ। তোমরা আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হইও না। অসুস্থ হবার আগে সুস্থতার যথাযথ মুল্যায়ন করা উচিৎ। অসুস্থতাতো আমাদের আর সুস্থতার অবদান হল আল্লাহর পক্ষ হতে। কুরআনে কারীমের মধ্যে জাহেরী ও বাতেনী সব ধরনের রোগ হতে মুক্তি আল্লাহ তায়ালা রেখেছেন। আল্লাহ তায়ালা আমাকে ও আপনাকে রোগ হতে পরিপূর্ণ মুক্তি দান করেন। আমীন!
আয়াতে শিফা
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمِنْ الرَّحِيْمِ
তোমরা আয়াতে শেফা দ্বারা আল্লাহ তায়ালার আশ্রয় গ্রহন কর। অর্থাৎ ঐ আয়াতগুলি পড়ে পানিতে দম করে পানি পান কর ও রুগীর উপর দম কর। (১বার পড়বে)
সূরায়ে ফাতেহা পুরা
(১) وَيَشْفِ صُدُوْرَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِيْنَ ◌ (سورة التوبة: آية ১৪)
(২) يَاَيُّهَا النَّاسُ قَدْجَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَافِىْ الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِيْنَ ◌ (سورة يونس: آية ৫৭)
(৩) يَخْرُجُ مِنْ بُطُوْنِهَا شَرَابٌ مُّخْتَلِفٌ اَلْوَانُه فِيْه شِفَاءٌ لِّلنَّاسِ ◌ (سورة النحل: آية ৬৯)
(৪) وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَاهُوْ شِفَاءٌ وَّرَحْمَة لِلْمُؤْمِنِيْنَ(سورة بنى اسرائيل: آية ৮২)
(৫) وَاِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِيْنَ ◌ سورة الشعراء: آية ৮০
(৬) قُلْ هُوْ لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا هُدًى وَّشِفَاءٌ سورة حم: آية ৪৪
গুরূত্বপূর্ণ একটি বিষয় লক্ষণীয়:গ্রন্থকার বলেন:
আমার শ্রদ্ধ্যয় আব্বাজান মরহুম (হযরত মাওলানা ওমর পালনপুরী রহ.) ইন্তেকালের সময় তাঁর রেখে যাওয়া পুস্তিকা ও কাগজাদীর মধ্যে অনেক জিনিস পাইলাম তন্মধ্যে কিছু জিনিস তো এমন যার গোপনীয়তা রক্ষা করা জরুরী আর কিছু জিনিস পাইলাম যা উম্মতের আমানত। উম্মাতের কাছে পৌছে দেয়া জরুরী। তন্মধ্যে কিছু এখানে উল্লেখ করছি। আর অবশিষ্টগুলি আমার লিখিত উর্দূ بكهرـى موتي আরবী নাম “الدرر المِنْثورة” কিতাবে লিখেছি। (লিখক)
নিজের ও সন্তানাদীদের আত্বশুদ্ধির জন্য কুরআনী ইরশাদ :
رَبِّ اَوْزِعْنِىْ اَنْ اَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِىْ اَنْعَمْتَ عَلَىَّ وَعَلىٰ وَالِدَىِّ وَاَنْ اَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضٰه وَاَصْلِحْ لِىْ فِىْ ذُرِّيَّتِىْ اِنِّىْ تُبْتُ اِلَيْكَ وَاِنِّىْ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ◌ سورة الاحقاف: آية ১৫
শারীরিক সুস্থতা ও অঙ্গ-প্রতঙ্গ ভাল থাকার জন্য কুরআনী ইরশাদ:
فَاَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّيْنِ حنِيْفًا فِطْرَتَ اللهِ الَّتِىْ فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيْلَ لِخَلْقِ اللهِ ذٰلِكَ الدِّيْنُ الْقَيِّمُ وَلكَّنَ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ◌ سورة الروم: آية ৩০(৩বার পড়বে)
যে ব্যক্তি মউত পর্যন্ত শারীরিক সুস্থতা ও অঙ্গ-প্রতঙ্গ ভাল থাকা কামনা করে সে যেন উক্ত আয়াতগুলি ৩বার করে পড়ে এবং নিজের শরীরে দম করে। (আব্বাজনের লিখিত কপিতে পাওয়া) [লেখক]
হযরত আনাস বিন মালেক (রহ. এর দু‘য়া:
বিপদ বালা-মুসিবত, অত্যাচার ও নর হত্যা হতে বাঁচবার জন্য নববী ইরশাদ:
بِسْمِ اللهِ خَيْرِ الْاَسْمَاءِ بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِه اَذًى بِسْمِ اللهِ الْكَافِىْ بِسْمِ اللهِ الْمَعَافْىْ بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِه شَيْءٌ فِى الْاَرْضِ وَلَا فِى السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ بِسْمِ اللهِ عَلىٰ نَفْسِىْ وَدِيْنِىْ بِسْمِ اللهِ عَلىٰ اَهْلِىْ وَمَالِىْ كُلِّ شَيْءٍ اَعْطَانِيْهِ رَبِّىْ اللهُ اَكْبَرُ اَللهُ اَكْبَرُ اَللهُ اَكْبَرُ اَعُوْذُ بِاللهِ مِمَّآ اَخَافُ وَاَحْذَرُ اَللّٰهُ رَبِّىْ لَآ اُشْرِكُ بِه شَيْئًا عَزَّ جَارُكَ وَجَلَّ ثَنَاءُكَ وَتَقَدَّسَتْ اَسْمَاءُكَ وَلَآ اِلٰهَ غَيْرُكَ ◌ اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ جَبَّارٍ عَنِيْدٍ وَشَيْطَانٍ مَرِيْدٍ وَمِنْ شَرِّ قَضَاءِ السُّوْءِ وَمِنْ شَرِّ دَابَّةٍ اَنْتَ اٰخْذٌ بِنَاصِيَتِهَا اِنَّ رَبِّىْ عَلىٰ صِرَاطٍ مُسْتَقِيْمٍ ◌
ফজিলত: হযরত আনাস (রা.) বলেনঃ আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি দু‘য়া শিখায়েছেন এবং বলেছেন, যে ব্যক্তি ঐ দু‘য়া সকাল বেলা পড়বে তার উপর কোন জালেমের কর্তৃত্ব চলবে না। অর্থাৎ ঐ জালেম তার উপর ও তার মালের উপর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। (শামায়েলে কাবীর ৭/৭৮০)
* দারিদ্রতা থেকে নাজাত পাবার জন্য নবীর ইরশাদ: (১০০বার পড়বে)
বড় হজরতজী শায়েখ মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) সাথী-সঙ্গীদেরকে উক্ত দু‘য়ার আমল করার ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন এবং তা ফজরের সুন্নাত ও জামাতের মধ্যবর্তি সময়ে আদায় করার কথা বলতেন এবং উহা দারিদ্রতা বিমোচনের জন্য পরিক্ষিত আমল।
ইমাম মালেক (রহ.) হযরত উমর (রা.) হতে রেওয়াত করেন; জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর নবীর খেদমতে উপস্থিত হয়ে আরজ করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ! দুনিয়া তো আমার থেকে বিমুখ হয়ে আছে। (অর্থাৎ আমি বড় অভাবে দিন কাটাইতেছি) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে তুমি ফেরেস্তাদের দু‘য়া ও আল্লাহর মাখলুকের তাসবীহ করা হতে দুরে কেন থাকছ? অথচ ঐ দু‘য়া (কালিমাগুলির) দ্বারা আল্লাহ তায়ালা সকল মাখলুককে রিযিক দিয়ে থাকেন। সুতরাং তুমি সকাল বেলা সুবহে সাদেকের সময় ঐ কালিমাগুলি ১০০বার করে পড়তে থাক। তাহলে দুনিয়া তোমার কাছে লাঞ্চিত হয়ে উপস্থিত হবে।
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيْمِ, استغفرالله অতপর: লোকটি চলে গেলেন এবং ঐ দু‘য়া পড়তে থাকলেন কিছুদিন ঐ অবস্থায় কাটাবার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে আরজ করলেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! আল্লাহ চাহেতো আমার সচ্ছলতা অর্জন হয়েছে। এখন আমার কাছে তো ঐ সব সম্পদ সংরক্ষনের জায়গা নাই। (ضياء النبى ৫/৯.৬)
নিম্নের বর্ণিত দু‘য়া সমূহ ফরজ নামাযান্তে পড়া সুন্নাত।
১। (১বার পড়বে)
اَسْتَغْفِرُاللهَ اَسْتَغْفِرُاللهَ اَسْتَغْفِرُاللهَ (আবু দাউদ)
২। (১বার পড়বে)
اَللّٰهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ يَاذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرِامِ (আবু দাউদ)
৩। (১বার পড়বে)
لَآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَاشَرِ يْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلىٰ كُلَّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ اَللّٰهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا اَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِىْ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
(বুখারী, মুসলিম, নাসায়ী ও আবু দাউদ)
৪। (১বার পড়বে) “اَللّٰهُمَّ اَعِنِّىْ عَلىٰ ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ” (নাসায়ী, আবু দাউদ ও ইবনে হিব্বান)
৫। আয়াতুল কুরসী (১বার পড়বে)
ফজিলত: (ক)ফরজ নামাযান্তে আয়াতুল কুরসী পড়া, মৃত্যুর পর জান্নাতে প্রবেশ করার সুসংবাদ নিশ্চিত।
(খ) আয়াতুল কুরসী পড়নে ওয়ালা ব্যক্তি পরবর্তি নামায পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালার হেফাজতে থাকার ব্যাপারে প্রতিচ্ছুতি আছে। (হিসনে হাসীন, কাঞ্জুল উম্মাল)
৬। সূরায়ে ইখলাস, সূরায়ে ফালাক ও সূরায়ে নাস ফজর নামাযান্তে ৩বার করে।
যোহর নামাযান্তে ১বার করে।
আসর নামাযান্তে ১বার করে।
মাগরিব নামাযান্তে ৩বার করে।
ঈশার নামাযান্তে ১বার করে।
(আবু দাউদ, নাসায়ী, ফাতহুল বারী ইত্যাদি)
৭। সূরায়ে ইখলাস ১০বার পড়বে।
ফজিলত: এরকম ১০বার পড়নে ওয়ালা
(ক) জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে মনে চায় বেহেস্তে প্রবেশ করবে।
(খ) (জান্নাতের যে কোন হুরকে মনে চায় বিয়ে করতে পারবে।
(তাফসীরে ইবনে কাসীর)
৮। নিম্নের দু‘য়া ১বার পড়বে:
لَآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ لَاحَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ لَآاِلٰهَ ا ِلَّا اللهُ وَلَا نَعْبُدُ اِلَّا اِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ لَآاِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُخْلَصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُوْنَ
(মুসলিম , আবু দাউদ)
৯। ১বার পড়বে:
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبُنِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ اَرْذَلِ الْعُمُرِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَعَذِابِ الْقَبْرِ
(বুখারী, তিরমিজী)
১০। ৩৪বার اَللهُ أَكْبَرُ৩৩বার اَلْحَمْدُلِلهُ৩৩বার سُبْحَانَ اللهِ
“لَآاِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَاشَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ”(১বার পড়বে)
ফজিলত: উল্লেখিত জিকির সমূহ যে ব্যক্তি ফজর নামাযের পর আমল করবে। তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। যদিও তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনা পরিমান হোক না কেন? (মুসলিম)
১১। কপালের উপর ডান হাত রেখে নি¤েœর দুয়াটি ১বার পড়বে:
بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الرَّحْمنُ الرَّحِيْمُ اَللّٰهُمَّ اَذْهِبْ عَنِّى اَلْهَمَُّ وَالْحُزْنَ (عمل اليوم والليلة)
১২। اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِىْ ذَنْبِىْ وَوَسِّعْ لِىْ فِىْ دَارِىْ وَبَارِكْ لِىْ فِىْ رِزْقِىْ
(১বার পড়বে)
লক্ষণীয়: হাদীসের দ্বারা প্রমানিত উল্লেখিত দু‘য়া ওযু করার মাঝে ও নামাযের পর পড়ার কথা আসিয়াছে ।
(عمل اليوم والليلة, ابن السنى, حصن حصين)
বিভিন্ন রোগ-ব্যাদি ও বিপদ-আপদ হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য আদইয়্যাতুল
ইস্তেয়াজাহ (আশ্রয়ের দু‘য়া সমূহ) আমল করা।
আদইয়্যাতুল ইস্তেয়াজাহ কিতাবের ভুমিকা
সমস্ত প্রশংসা ঐ মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি রাব্বুল আ’লামীন। সালাত ও সালাম সাইয়িদুল মুরসালীন এর উপর এবং তাঁর পরিবারস্থ সকল সাহাবায়ে কেরাম সকলের উপর ।
উল্লেখিত ভুমিকার পর আমরা সাধারণত আমাদের দৈনন্দিন জিবনে এমন এমন অবস্থার সন্মুখিন হই যা আমাদের মনভুত। আবার অনেকাংশে এমন ও হয় যে,আমরা যা চাই তা পেয়ে খুব খুশী হই। যেমন ভিষণ পিপাসার সময় ফ্রিজ খুলে তার মধ্যে ঠান্ডা পানির বোতল পেয়ে খুশী হই। এধরনের সমস্ত খুশির বস্তু অর্পনের সময় আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়ার শব্দগুলি আমাদের শিখে রাখা ও আমলে আনার দরকার। সুতরাং শুকরিয়ার কালিমা اَلْحَمْدُلِلهُ বলা যা, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে শিখিয়েছেন। উহাই উত্তম দু‘য়া।
আবার দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে আমরা কখনও এমন কিছু দুর অবস্থার স্বীকার হই যা আমাদের পথ চলার বাধা হয়। যার দরুন আমরা পেরেশান হই। যেমন যখন গরম লাগতে থাকে তখন ফ্যান চালাইতে প্রস্তুত হই। কিন্তু সুইচ দিলে দেখি যে, বিদ্যুৎ নাই তখন খুবই কষ্ট লাগে। আবার কখনও গাড়ীতে সওয়ার হওয়ার জন্য তাড়াহুড়া করি কিন্তু পৌছতেই দেখি যে, গাড়ী ছেড়ে চলে গেছে, তখন খুবই কষ্ট লাগে। সুতরাং এরকম অবস্থায় সবর করা ও ধৈর্য ধরা জরুরী ও اِنَّالِلّٰهِ وَاِنَّا اِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ পড়া।
লক্ষণীয়: আমাদের জীবনে অবশ্য লক্ষ করার বিষয় হল আল্লাহ তায়ালার যে কোন নিয়ামাত প্রাপ্তির উপর শুকরিয়া আদায় করা। আর বিপদে-মুসিবতে সবর করার উপর আল্লাহ আমাদের সাথে থাকার সু-সংবাদে ভুষিত করেছেন।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইচ্ছায়/অনিচ্ছায় আল্লাহর পছন্দও সন্তুষ্টির খেলাফ কাজ প্রকাশ পাইতে থাকে। চাই উহা ছোট আকারের অন্যায় হোক বা বড় অন্যায় হোক, তখনই তওবা ইস্তেগফার করার মাধ্যমে তার ক্ষতি পূরণ করা আবশ্যক। ইস্তেগফারের কালিমা اَسْتَغْفِرُ اللهَ এবং বান্দা ইস্তেগফার করার মাধ্যমে আল্লাহ গফুরুর রহীমের সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম ও তার সমস্যা সমাধান হওয়া বরকত নাজিল হওয়ার কারণও বটে।
মোটামুটি এই ৩টি জিনিস বিষেশ লক্ষনীয়,
(ক) খুশির বস্তু অর্জনের সময় শুকরিয়া আদায় করা।
(খ) বিপদে-মুসিবতে সবর করা।
(গ) গুনাহ ও ক্রুটি প্রকাশ পেলে তওবা ইস্তেগফার করার মাধ্যমে তার ক্ষতিপূরণ করা।
এখানে চতুর্থ আর ১টি জিনিস আছে যা মৃত্যু পর্যন্ত দির্ঘ হয়ে থাকে। এমনকি যার দরুন জাহান্নামে দির্ঘ সময়কাল থাকা লাগবে এবং তথায় কঠিন শাস্তির সম্মুখিন হওয়া লাগবে। বিধায় ওর থেকে বেঁচে থাকাও একান্ত জরুরী। সে জন্যই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে কিছু হাদিয়া প্রদান করেছেন যা দুয়ার হাদিয়া। যার মধ্যে কতিপয় হাদিয়া এমন আছে যার দ্বারা ঐ সব আজাব ও সাজা হতে বাঁচা সম্ভব হবে। অন্যথায় জাহান্নামের সেই কঠিন সাজা হতে বাঁচা মোটেই সহজ নয়। রসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তায়ালার কাছে ঐ সমস্ত আজাব ও সাজা হতে আশ্রয় চেয়েছিলেন। বিধায় সকল উম্মতে মুহাম্মাদিয়ার জন্য জরুরী যাতে করে সকলেই ঐ সব তাবীজ (আল্লাহর আশ্রয়) নেয়ার প্রতি অভ্যস্ত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ নসীহত বা উপদেশ
লিখক বলেন: এসব তাবীজ (আল্লাহর আশ্রয়) সংক্রান্ত দু‘য়া সমূহ যেহেতু সমস্ত দুয়াগুলি প্রতিদিন পড়া সকলের জন্য সহজ ব্যাপার নয়। বিধায় পড়নে ওয়ালাদের সহজ করার্থে এই সব দু‘য়া ৭টি ভাগে ভাগ করেছি। যাতে করে প্রতিদিন এক এক ভাগ করে পড়ে পুরা সপ্তাহে সমস্ত তাবীজ (আল্লাহর আশ্রয়) সংক্রান্ত দু‘য়াগুলি আমলে আসে।
আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্নসন কারি
মুহাম্মাদ ইউনুস পালনপুরী (দামাত বারাকাতুহুম)
১ম ভাগ শুক্রবার পড়বে
১। মুর্খতা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَعُوْذُ بِاللهِ اَنْ اَكُوْنَ مِنَ الْجَاهِلِيْنَ◌
২। যে সব দু‘য়া অনুপযুক্ত তা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা
رَبِّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ اَنْ اَسْئَلُكَ مَا لَيْسَ لِىْ بِه عِلْمٌ وَاِلَّا تَغْفِرْلِىْ وَتَرْحَمْنِىْ اَكُنْ مِنَ الْخسِرِيْنَ◌
৩। শয়তান ও তার ওসওসা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
رَبِّ اَعُوْذُبِكَ مِنْ هَمَزٰتِ الشَيطِيْنَ وَاَعُوْذُبِكَ رَبِّ اَنْ يَحْضُرُوْنَ◌
৪।অহংকার হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اِنِّىْ عذت بِرَبِّىْ وَرَبِّكُمْ مِنْ كُلِّ مُتَكَبِّرٍ لَا يُؤْمِنُ بِيَوْمِ الْحِسَابِ◌
৫। সমস্ত সৃষ্টি মাখলুকের খারাবী হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ◌
قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ◌ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ◌ وَمِنْ شَرِّ النَّفّثتِ فِىْ الْعُقَدِ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ◌
৬। খান্নাছ শয়তান হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ◌
قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ◌ مَلِكِ النَّاسِ ◌ اِلٰهِ النَّاسِ ◌ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ◌ اَلَّذِىْ يُوَسْوِسُ فِىْ صُدُوْرِ النَّاسِ ◌ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ◌
৭। আকস্মিক খারাবী হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ فُجَاءَةِ الشَرِّ (كتاب الاذكار/ص১০৪)
৮। কুফুর, দারিদ্রতা ও কবরের আজাব হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন কর।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ لَآ اِلٰهَ اِلَّآ اَنْتَ (ابوداؤد, الترمذي)
(আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)
৯। নফসের খারাবী হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِىْ وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِه وَاَنْ اَقْتَرِفَ عَلىٰ نَفْسِىْ سُوْئًا اَوْ اَجُرُّه اِلىٰ مُسْلِمٍ (البخاري১১/৯৭-৯৮)
(আবু দাউদ,তিরমিজী)
১০। কৃতকর্মের বিপদ হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَاصَنَعْتُ
১১। ধোকা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِعَظْمَتِكَ اَنْ اُغْتَالَ مِنْ تَحْتِىْ (أبوداؤد, ابن ماجه২/৩৩২)
(আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)
১২। যাবতীয় পেরেশানী, অক্ষমতা, অলসতা, কার্পন্নতা, ঋণ গ্রস্থ হওয়া ও মানুষের সংকির্নতা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ
(أبوداؤد, في باب الاستعاذة, وهو ءاخر حديث مِنْ كتاب الصلاة. وقال الشوكاني في تحفة الذاكرين: لا مطعن في إسناد الحديث)
১৩। নফস ও সমস্ত জিব-জস্তুর ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِىْ وَمِنْ شَرِّ كُلِّ دَابَّةٍ اَنْتَ اٰخَذٌ بِنَاصِيَتِهَا اِنَّ رَبِّىْ عَلىٰ صَرَاطٍ مُسْتَقِيْمٍ (ابن السني, أبو داؤد عن بعض بنات النبي صلى الله عَلىٰ ٰ ه وسلم)
১৪। বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَعُوْذُ بَاللهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (الترجذي)
১৫। আসমান, জমীন, রাত্র ও দিনের যাবতীয় ফেতনা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন কর।
اَعُوْذُ بِوَجْهِ اللهِ الْكَرِيْمِ وَبِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ اللَّتِىْ لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ مِنْ شَرِّ مَايَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ وَمِنْ شَرِّ مَايَعْرُجُ فِيْهَا وَشَرِّ مَاذَرَأَ فِىْ الْاَرْضِ وَشَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمِنْ فِتَنَ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَمِنْ طَوَارِقِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ اِلَّا طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَارَحْمنُ (موطأ الإمام مالك)
১৬। শয়তানের ক্ষতি ও তার অংশিদারিত্বের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَعُوْذُ بِاللهِ الَّذِى يُمْسِكُ السَّمَاءَ اَنْ تَقَعَ عَلَى الْاَرْضِ اِلَّا بِاِذْنِه مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِه (ابن السني ৬৬م مجمع১/১১৯)
১৭। সমস্ত মাখলুকের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَعُوْذُ بِوَجْهِ اللهِ الْعَظِيْمِ اَلَّذِىْ لَيْسَ شَيْءٌ اَعْظَمُ مِنْه وَبِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ اللَّتِىْ لَا يُجَاوِزُنَه بِرٌّ وَلَا فَاجِرٌ وَبِاَسْمَاءِ اللهِ الْحُسْنىٰ كُلِّهَا ماَ عَلِمْتَ مِنْهَا وَمَالَمْ اَعْلَمْ مِنْ شَرِّ مَاخَلَقَ وَبَرَأَ وَذَرَأَ
দ্বিতীয় ভাগ শনিবার আমল করবে
১৮। আজকের দিনের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيِْ وَشَرِّ مَا بَعْدَه (حصن حصين)
১৯। সমস্ত মাখলূকের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَاخَلَقَ (أبو داؤد, الترمذى, ابن ماجة ২/২৩২)
২০। শয়তানের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (حصن حصين)
২১। ভয়-ভীতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَعُوْذُ بِاللهِ مِمَّآ اَخَافُ وَاَحْذَرُ (شمائل كبرى نقلا عن مستظرف)
২২। খারাব ফায়সালা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِك مِنْ شَرِّ كُلِّ جَبَّارٍ عَنِيْدٍ وَشَيْطَانٍ مَّرِيْدٍ وَمِنْ شَرِّ قَضَاءِ السُّوْءِ وَمِنْ شَرِّ دَابَّةٍ اَنْتَ اٰخَذٌ بِنَاصِيَتِهَا, اِنَّ رَبِّىْ عَلىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ (شمائل كبرى نقلا عن مستظرف ২/২৮০)
২৩। কু-চরিত্রের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِك َمِنَ الْجُبْنِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ اَرْذَلِ الْعُمُرَ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الْقَبْرِ (البخاري, والترمذي)
২৪। পুরা দিনের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِىْ هَذَا الْيَوْمِ وَشَرِّ مَا بَعْدَه (الصحيح لمسلم)
২৫। অলসতা ও ক্ষতিকর বার্ধক্য হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
رَبُّ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَسُوْءِ الْكِبَرِ (الصحيح لمسلم)
২৬। কবরের আজাব ও জাহান্নামের আগুন হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন কর।
رَبُّ اَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابٍ فِىْ النَّارِ وَعَذَابٍ فِىْ الْقَبْرِ (الصحيح لمسلم)
২৭। ইচ্ছাকৃত গুনাহে লিপ্ত হওয়া হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ اَنْ اَظْلِمَ اَوْ اُظْلَمْ اَوْ اِعْتَدِىَ اَوْيُعْتَدٰى عَلىَّ اَوْ اَكْسِبَ خَطِيْئَةً اَوْ ذَنْبًا لَا تَغْفِرُه (مسند الإمام أحمد, مستدرك الحاكم, المعجم الكبير للطبراني)
২৮। চতুস্পদ প্রানির ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِوَجْهِكَ الْكَرِيْمِ وَبِكَلِمَاتِكَ التَامَّةِ مِنْ شَرِّ مَآ اَنْتَ اٰخَذٌ بِنَاصِيَتِه (أبو داؤد)
২৯। সব জিনিসের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ شَيْءٍ اَنْتَ اٰخَذٌ بِنَاصِيَتِه (صحيح مسلم)
৩০। আল্লাহর রাগ গোস্বা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوْبِتِكَ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْك لَآ اُحْصِىْ ثَنَاءُ عَلَيْكَ اَنْتَ كَمَآ اَثْنَيْتَ عَلىٰ نَفْسِكَ (صحيح مسلم)
৩১। জাহান্নামের আগুন হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ رَبّ جِبْرَئِيْلَ وَمِيْكَائِيْلَ وَاِسْرَافِيْلَ وَمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَعُوْذُ১ بِكَ مِنَ النَّارِ
(الطبراني-الهيثمي ج ১০ص১১০)
৩২। পদস্খলন এর ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ اَنْ اَضِلَّ اَوْ اُضَلَّ اَوْ اَزِلَّ اَوْ اُزَّلَ اَوْ اَظْلِمَ اَوْ اُظْلَمَ اَوْ اَجْهَلَ اَوْ يُجْهَلَ عَلىَّ (أبو داؤد, ابن ماجه)
৩৩। সমস্ত ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الشَرِّ كُلِّه مَا عَلِمْتَ مِنْه وَمَالَمْ اَعْلَمْ
(حصن حصين)
৩৪। আল্লাহ তায়ালার আশ্রয় গ্রহন করা
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا اِسْتَعَاذَكَ مِنْهُ عِبَادُكَ الصَّالِحُوْنَ
(حصن حصين)
৩৫। জীবন-মরণের ফেতনা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمِمَّاتِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الْمَاثَمِ وَالْمَغْرَمِ (البخاري, مسلم)
৩৬। বিচ্ছিন্নতার ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ وَسَاوِسِ الْصَدْرِ وَشَتَاتَ الْاَمْرِ وَفِتْنَةِ الْقَبْرِ(بيهقي, ابن أبي شيبة)
তৃতীয় ভাগ: রবিবার আমল করবে
৩৭। রাত্র-দিনের ও বাতাসের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا يَلِجُ فِى اللَّيْلِ وَمِنْ شَرِّ مَا يَلِجُ فِى النَّهَارِ وَمِنْ شَرِّ مَاتَهَبُّ بِه الرِّيَاحُ (بيهقي, ابن أبي شيبة)
৩৮। অনুদান ইত্যাদির ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ عَائِذٌ بِكَ مِنْ شَرِّ مَآ اَعْطَيْتَنَا وَمِنْ شَرِّ مَا مَنَعْتَنَا (الأدب المفرد, مجمع الزوائد)
৩৯। দুশমনের ধোকা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَعُوْذُ بِكَ مِنْ شُرُ وْرِهِمْ (أبو داؤد, النسائي, مستدرك)
৪০। কর্জের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْهَرْمِ وَالْمَغْرَمِ وَالْمَاثَمِ (البخاري, مسلم)
৪১। দারিদ্রতা ও ধনাট্রতার ফেতনা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابِ النَّارِ وَفِتْنَةِ النَّارِ وَفِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ وَشَرِّ فِتْنَةِ الْغَنِّى وَشَرِّ فِتْنَةِ الْفَقْرِ(البخاري, مسلم)
৪২। দৈহিক ও আধ্যাতিœক রোগ হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْقَسْوَةِ وَالْغَفْلَةِ وَالْعَيْلَةِ وَالذِّلَّةِ وَالَمَسْكَنَةِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الْفَقْرِ وَالْكُفْرِ وَالْفُسُوْقِ وَالشِّقَاقِ وَالسُّمْعَةِ وَالرِّيَاءِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الصَّمَمِ وَالْبَكَمِ وَالْبَرَصِ وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَسَيِّءِ الْاَسْقَامِ (أبو داؤد, ابن حبان, المستدرك للحاكم)
৪৩। গুমরাহী (পথভ্রষ্টতা) হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ بِعِزَّتِكَ لَآ اِلٰهَ اِلَّآ اَنْتَ اَنْ تُضِلَّنِىْ اَنْتَ الْحَىُّ الَّذِىْ لَا يَمُوْتُ وَالْجِنُّ وَالْاِنْسُ يَمُوْتُوْنَ (البخا ري, مسلم
৪৪। বিপদের কষ্ট ও দূর্ভাগ্য হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَعُوْذُ بِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلَاءِ وَدَرْكِ الشَّقَاءِ وَسُوْءِ الْقَضَاءِ وَشَمَاتَةِ الْاَعْدَاءِ (البخاري)
৪৫। মুর্খতা ও ক্ষতিকর ইল্ম হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِك َمِنْ شَرِّ مَا عَلِمْتَ وَمِنْ شَرِّ مَالَمْ اَعْلَمْ (النسائي, مصنف ابن أبي شيبة)
৪৬। আমলের পরিনাম মন্দ হওয়া হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَاعَمِلْتُ وَمِنْ شَرِّ مَالَمْ اَعْمَلْ (مسلم, أبوداؤد, النسائي)
৪৭। আল্লাহর প্রদত্ত নিয়ামত হাত ছাড়া হওয়া থেকে আফিয়াত বিচ্ছিন্ন হওয়া থেকে আকষ্মিক আজাব ও গজব নাজেল হওয়া থেকে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি মূলক জিনিসের কারণ থেকে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِك َمِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَائَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيْعِ سَخَطِكَ
(مسلم أبو داؤد)
৪৮। কর্ণ, চক্ষু, জিহ্বা, অন্তর ও বির্জের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِىْ -وَمِنْ شَرِّ بَصَرِىْ وَمِنْ شَرِّ لِسَانِىْ وَمِنْ شَرِّ قَلْبِىْ وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّىْ (أبو داؤد, الترمذي, النسائي)
৪৯। অপমৃত (অর্থাৎ ঈমান আমল ছাড়া বেঈমানী মউত) হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা। তবে এই দু‘য়া একাগ্রতার সাথে পড়বে।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَدْمِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الْتَرَدِّىْ وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الْغَرْقِ وَالْحَرْقِ وَالْهَرَمِ وَاَعُوْذُبِكَ اَنْ يَتَخَبَّطَنِىْ الشَّيْطَانُ عِنْدَ الْمَوْتِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ اَنْ اَمُوْتَ فِىْ سَبِيْلِكَ مُدْبِرًا وَاَعُوْذُبِكَ اَنْ اَمُوْتُ لَدِيْغًا (أبو داؤد, النسائي)
৫০। অসৎ চরিত্র থেকে অসৎ কর্ম থেকে মনমত চলা হতে ও বিভিন্ন রোগ ব্যাধি থেকে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الْاَخْلَاقِ وَالْاَعْمَالِ وَالْاَهَوَاءِ وَالْاَدْوَاءِ (الترمذي, ابن حبان)
৫১। সর্ব প্রকারের বিনষ্ট হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِك َمِنْ شَرِّ مَا اسْتَعَاذَكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (الترمذي)
৫২। অসৎ প্রতিবেশী হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ جَارِ السُّوْءِ فِىْ دَارِ الْمُقَامَةِ فَاِنَّ جَارَ الْبَادِيَةِ يَتَحَوَّلُ
(مستدرك الحاكم, ابن حبان)
৫৩। ক্ষুদার্ত ও খেয়ানতী হওয়া হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُوْعِ فَاِنَّه بِئْسَ الْضَّجِيْعُ وَمِنَ الْخِيَانَةِ فَاِنَّهَا بِئْسَتِ الْبِطَانَةُ (أبو داؤد)
চতুর্থ ভাগ: সোমবার আমল করবে
৫৪। চারটি খারাবি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ عِلْمِ لَا يَنْفَعُ وَقَلْبِ لَا يَخْشَعُ وَدُعَاءِ لَا يَسْمَعُ وَنَفْسِ لَا تَشْبَعُ وَمِنْ هَؤُلَاءِ الْاَرْبَعِ (الترمذي, مستدرك الحاكم)
৫৫। দ্বীনি ব্যাপারে দুশমনদের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَعُوْذُ بِكَ اَنْ نَرْجِع َ عَلىٰ اَعْقَابِنَآ اَوْنُفْتَنُ عَنْ دِيْنِنَا الحزب الاعظم
৫৬। খারাব সময় ইত্যাদি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ يَوْمِ السُّوْءِ وَمِنْ لَيْلِةِ الْسُّوْءِ وَمِنْ سَاعَةِ الْسُوْءِ وَمِنْ صَاحِبِ الْسُّوْءِ وَمِنْ جَارِّ الْسُّوْءِ فِىْ دَارِ الْمُقَامَةِ (المعجم الكبير للطبراني, مجمع الزوائد)
৫৭। বিছিন্নতা ও নেফাক ও অসৎ চরিত্র হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الشِّقَاقِ وَالنِّفَاقِ وَسُوْءِ الْاَخْلَاقِ (أبو داؤد. النسائي)
৫৮। নফসের খারাবী ও কুমন্ত্রনা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اَعِذْنِىْ مِنْ شَرِّ نَفْسِىْ (الترمذي, الحاكم)
৫৯। যে সব খারাবী আল্লাহর ইলমে আছে ঐ সব হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِك َمِنْ شَرِّ مَا تَعْلَمُ
৬০। ক্ষতিকর বিপদ ও বিপদগামী হওয়ার হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ ضَرَّاءٍ مُضِرَّةٍ وَفِتْنَةٍ مُضِلَّةٍ (النسائي, مستدرك الحاكم, ابن حبان)
৬১। আগত সমস্ত জিনিসের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা। জনাব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আয়েশা (রা.) কে এই দু‘য়া শিখায়েছিলেন:
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الشَرِّ كُلِّه عَاجَلِه وَاٰجِلِه مَا عَلِمْتُ مِنْه وَمَا لَمْ اَعْلَمْ
(ابن ماجه, مستدرك, ابن حبان)
৬২। কথা ও কাজের খারাবী হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ وَمَا قَرّبَ اِلَيْهَا مِنْ قَوْلِ اَوْعَمَلِ (ابن ماجه, مستدرك, ابن حبان)
৬৩। আল্লাহর খাজানায় যা আছে তার ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ كُلِّ شَرِّ خَزَائِنِه بِيَدِكَ (مستدرك للحاكم)
৬৪। সকল প্রকারের হিংশ্র চতুস্পদ প্রানীর ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَآ اَنْتَ اٰخَذٌ بِنَاصِيَتِه (مستدرك للحاكم)
৬৫। আল্লাহর গজব হতে আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِنُوْرِ وَجْهِكَ الْكَرِيْمِ الَّذِىْ اَضَاءَتْ لَهُ السَّمٰوٰتُ وَاَشْرَ قَتْ لَهُ الظُلُمٰتُ وَصَلُحَ عَلَيْهِ اَمْرُ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ اَنْ تُحِلَّ عَلَىَّ غَضَبَكَ اَوْتُنْزِلَ عَلىَّ سَخَطَكَ (كنز العمال, الجامع الصغير)
৬৬। ধোকাবাজ বন্ধু হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ خَلِيْلٍ مَاكِرٍ عَيْنَاه تَرَيَانِىْ وَقَلْبُه يَرْعَانِىْ اِنْ رَاَى حَسَنَةً دَفَنَهَا وَاِنْ رَاىَ سَيِّئَةً اَذَاعَهَا (كنز العمال, الجامع الصغير)
৬৭। কঠিন দারিদ্রতার মুসিবত হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْبُؤُسِ وَالْتَبَاؤُسِ (كنز الحقائق في حديث خير الخلائق للمِنْاوي)
৬৮। কাজের মধ্যে বিক্ষিপ্ততা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَوَسْوَسَةِ الصَّدْرِ وَشَتَاتِ الْاَمْرِ (الترمذي)
৬৯। বাতাসের সাথে আগত ক্ষতিকর বস্তু হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا تَجِىْءُ بِهِ الرِّيَاحُ (الترمذي)
৭০। দুই অন্ধ হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ الْاَعْمَيَيْنِ السَّيْلِ وَالْبَعِيْرِ الصَّئُوْلِ (الجامع الصغير, مجمع الزوائد)
৭১। দুষমনের বিজয়, কর্জ বেড়ে যাওয়া ও দাজ্জালের বিজয় হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الْعَدُوِّ وَمِنْ بَوَارِ الَاَيِّمِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ
(الجامع الصغير, المعجم الكبير)
৭২। মেয়েলোকের ফেতনা ও কবরের আজাব হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ فِتْنَةِ النِّسَاءِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ (الجامع الصغير)
৭৩। শয়তান ইবলিস ও তার চেলা-চামুন্ড হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ اِبْلِيْسَ وَجُنُوْدِه (عمل اليوم والليلة لابن السني, وكتاب الأذكار للنووي)
৭৪। আখেরাতে লাঞ্চনা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ اَنْ تَصُدَّعَنِّىْ وَجْهَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ (عمل اليوم والليلة للسيوطي)
৭৫। সমস্ত খারাবী হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الشَّرِّ كُلِّه (جمع الجوامع للسيوطي قسم الأقوال)
পঞ্চম ভাগ: মঙ্গলবার পড়বে
৭৬। গুনাহর ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ نْ شَرِّ مَا اقْتَرَفَتُ وَاَعُوْذُبِك مِنْ جَهْدِ الْبَلاَءِ وَمِنْ عَذَابِ الْاَخِرَةِ
(الحزب الاعظم ص১১৮)
৭৭। পাঁচ প্রকারের কুচরিত্র হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা। এই আমলটি করার সময় অত্যন্ত একাগ্রতা ও অন্তরের বিনয়ের সহিত করা অবশ্যই জরুরী।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ كُلِّ عَمَلٍ يُخْزِيْنِىْ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ كُلِّ صَاحِبٍ يُؤْذِيْنِىْ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ كُلِّ اَمْلٍ يُلْهِيْنِىْ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ كُلِّ فَقْرٍ يُنْسِيْنِىْ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ كُلِّ غَنِىِّ يُطْغِيْنِىْ
(جمع الجوامع للسيوطي: قسم الأقوال)
৭৮। দুনিয়া ও কিয়ামতের দিনের সংকির্নতা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ ضِيْقِ الدُّنْيَا وَضِيْقِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ (النسائي, ابن ماجه)
৭৯। দুঃখ জনক জীবন-মরণ হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ مَوْتِ الْهَمِّ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ مَوْتِ الْغَمِّ وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُوْعِ فَاِنَّه بِئْسَ الْضَّجِيْعُ وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الْخِيَانَةِ فَاِنَّهَا بِئْسَتِ الْبِطَانَةُ (كنز العمال)
৮০। শিরিক হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ اَنْ اُشْرِ كَ بِكَ شَيْئًا وَاِنَا اَعْلَمُ بِه وَاسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَآ اَعْلَمُ بِه
(مسند الإمام أحمد, الأدب المفرد)
৮১। কুফুরী ও দারিদ্রতা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِوَجْهِكَ الْكَرِيْمِ وَبِاِسْمِكَ الْعَظِيْمِ مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ (الجامع الصغير للسيوطي)
৮২। রক্তের সম্পর্কিয় আত্মীয়-স্বজনের অভিশাপ হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ اَنْ يَدْعُوَ عَلىَّ رَحِمٌ قَطَعْتُهَا (الصحيح مسلم)
৮৩। চতুস্পদ প্রাণীর ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَنْ يَمْشِىْ عَلىٰ بَطْنِه وَمِنْ شَرِّ مَنْ يَمْشِىْ عَلىٰ رَجُلَيْنِ وَمِنْ شَرِّ مَنْ يَمْشِىْ عَلىٰ اَرْبَعٍ (كنز العمال)
৮৪। কষ্ট দায়ক স্ত্রী, অবাদ্ধ সন্তান, হারাম খাবার হতে ও ধোকাবাজ বন্ধু-বান্ধব হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ اِمْرَاَةٍ تُشَيِّبُنِىْ قَبْلَ الْمَشِيْبِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ وَلَدٍ يَكُوْنُ عَلىَّ وَبَالًا وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ مَالٍ يَكُوْنُ عَلىَّ عَذَابًا وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ صَاحِبِ خَدِيْعَةٍ اِنْ رَأَى حَسَنَةً دَفَنَهَا وَاِنْ رَأَى سَيِّئَةً اَفْشَاهَا (عمل اليوم والليلة لسيوطي)
৮৫। ধন সম্পদের অহংকার ও দারিদ্রতার লাঞ্চনা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ بَطَرِ الْغَنِىِّ وَذِلَّةِ الْفَقْرِ (الحزب الاعظم ص১৪২)
৮৬। হক (বাস্তব সত্য) প্রকাশিত হওয়ার পরও তন্মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الشَّكِّ فِىْ الْحَقِّ بَعْدَ الْيَقِيْنِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ يَوْمِ الدِّيْنِ (كنز العمال بفرق يسير)
৮৭। অসম্মানির লাঞ্চনা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَعُوْذُ بِكَ اَنْ نَذِلَّ وَنَخْزٰى (كنز العمال)
৮৮। আকস্মিক মৃত্য হতে, সাপ ও হিং¯্র প্রাণীর ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ مَوْتِ الْفُجَائَةِ وَمِنْ لَدْغَةِ الْحَيَّةِ وَمِنَ السَّبُعِ وَمِنَ الْغَرَقِ وَمِنَ الْحَرَقِ وَمِنْ اَنْ اٰخِرَّ عَلىٰ شَيْءٍ وَمِنَ الْقَتْلِ عِنْدَ فِرَارَارِ الِزَحْفِ (كنز العمال)
৮৯। কবরের আজাব ও তার উপর ফেতনা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ (أخر جه أحمد, قال الهيثمي১/১১৫: رجاله ثقات)
৯০। আল্লাহর গোস্বা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوْبَتِكَ وَاَعُوْذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْكَ اَللّٰهُمَّ لَآ اَسْتَطِيْعُ ثَنَاءً عَلَيْكَ وَلَوْحَرَصْتُ وَلٰكِنْ اَنْتَ كَمَآ اَثْنَيْتَ عَلىٰ نَفْسِكَ
(أخرجه الطبراِنِّىْ في الأوسط؛ قاله الهيثمي১০/১২৪)
৯১। বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَوَجْهِه الْكَرِيْمِ وَسُلْطَانِه الْقَدِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (أبو داؤد)
৯২। সফরের (ভ্রমনের) যাবতীয় কষ্ট-যাতনা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ وَعَثَاءِ السَّفَرِ وَكَابَةِ الْمَنْظَرِ وَسُوْءِ الْمُنْقَلَبِ فِىْ الْاَهْلِ وَالْمَالِ
(أخر جه مسلم وأبوداؤد و الترمذي, كذا في الفوائد ২/২৬১)
৯৩। জাহান্নাম হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
سَمِعَ سَامِعٌ بِحَمْدِ اللهِ وَحُسْنِ بَلَائِه عَلَيْنَا رَبَّنَا صَاحِبْنَا وَاَفْضِلَ عَلَيْنَا عَائِذًا بِاللهِ مِنَ النَّارِ
(أخر جه مسلم وأبوداؤد, كذا فى جمع الفوائد ২.২৬২م)
৬ষ্ঠ ভাগ: বুধবার পড়বে
৯৪। এলাকার যাবতীয় ক্ষতি ও এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هٰذِه الْقَرْيَةِ وَشَرِّ اَهْلِهَا وَشَرِّ مَا فِيْهَا (أخرجه الطبراني, قاله الهيثمي)
৯৫। পোষাকাদির ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّه وشَرِّ مَا صنَعَ لَه (أخرجه الترمذي وأبو داؤد, كذافي جمع الفوائد ২/২৬৪)
৯৬। প্রতি মাসের ক্ষতি হতে ও তাকদীরের খারাব ফায়সালা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন কর।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ هَذَا الشَّهْرِ وَشَرِّ الْقَدْرِ (أخرجه الطبراني وإسناده كما قال الهيثمي ১০/১৩৯)
৯৭। বাতাসের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন কর।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ هَا وَشَرِّ مَا فِيْهَا وَشَرِّ مَا اُرْسِلَتْ بِه (أخرجه الشيخان والترمذي)
৯৮। মেঘের খারাবী হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا اُرْسِلَ بِه (أخرجه ابن أبي شيبة, كذا في الكنز ৪/২৯০)
৯৯। ঐ সব দু‘য়া হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা, যে সব দু‘য়া আল্লাহর কাছে কবুল নয়।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ دَعْوَةٍ لَا يُسْتَجَابُ لَهَا (الترمذي)
১০০। জীবনের খারাবী হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْجُبُنِ وَفِتْنَةِ الصَّدْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ وَسُوْءِ الْعُمْرِ
(أخرجه أحمد وابن أبيشيبة وأبو داؤد والنسائي وغيرهم)
১০১। কুদৃষ্টি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اِنِّىْ اُعِيْذُ كَمَا بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ
লক্ষণীয়: হযরত উমর (রা.) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত হাসান, হুসাইন (রা.) কে উক্ত দু‘য়া দ্বারা তা’বীজ করতেন। (أبو نعيم في الحلية, كذا في الكنز ১/২১২)
১০২। জ্বিন এবং ইনসানের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِه وَعِقَابِه وَشَرِّعِبَادِه وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَاَنْ يَحْضُرُوْنَ
(أخرجه الطبراني في الأوسط, كذافي الترغيب ৩/১১৬)
১০৩। গাফলাত (অলসতা) এর আজাব হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ اَنْ تَاْخُذْنِىْ عَلىٰ غَرَّةِ اَوْ تَذَرْنِىْ فِىْ غَفْلَةٍ اَوْتَجْعَلَنِىْ مِنَ الْغَافِلِيْنَ
(أخرجه ابن أبي شيبة, وأبو نعيم في الحلية)
১০৪। কারাবন্দী, পুলিশের হয়রানী ও আজাব হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ السِّجْنِ وَالْقَيْدِ وَالْسَوْطِ (البيهقي, كذافي الكنز ৮/১১৯)
১০৫। প্রতি মাসের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ هَذَا الشَّهْرِ وَشَرِّ مَافِيْه وَشَرِّ مَا بَعْدَه (أخرجه ابن النجار, كذافي الكنز ৪/৩২৬)
১০৬। বাজারের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ هَذِه السُّوْقِ وَشَرِّ اَهْلِهَا (الطبراني, الهيثمي ১০/১২৯)
১০৭। অন্তরের বিচ্ছিন্নতা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ تَفْرِقَةِ الْقَلْبِ (أخرجه أبو نعيم في الحلية ১/২১৯)
১০৮। দুষ্ট নর-নারী শয়তান হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالخَبَائِثِ (الدعاء المسنون ص ১৫৭)
১০৯। নাপাকি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِن الْرِجْسِ الْنَجِسِ الْخَبِيْثِ الْمُخْبِثِ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
(الأذكار ص ২, الدعاء ص ৯৬৪ سند ضعيف, الدعاء المسنون ১৫৮)
১১০। জাহান্নাম হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ اَنْ تُعِيْذَنِىْ مِنَ النَّارِ وَتُدْخُلَنِىْ الْجَنّةَ (ابن السني ص ৮৪, الأذكار ص২৫, الدعاء المسنون ১৬৪)
১১১। শয়তান ও তার চেলা-চামুন্ড হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ اِبْلِيْسَ وَجُنُوْدِه (ابن السني, الأذكار ص ৭, الدعاء المسنون ص ১৬৭)
১১২। বদ খেয়াল ও দু:চিন্তা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ وهَمَزِه وَنَفْخِه وَنَفْثِه (حاكم ১/২০৭ بسند صحيح؛ الدعاء المسنون ১৭৪)
১১৩। ধ্বংস ও বদ ফাল হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الشُّؤْمِ وَالْهَلَكَةِ (الإحياء, قوت القلوب, عوارف المعارف ص ৪৪৫, الدعء المسنون ص ১৭৭)
১১৪। শিকলে আবদ্ধ হওয়া হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
১১৪। اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ السَّلَاسَلِ وَالْاَغْلَالِ (إتحاف ২/৩৬৫, الدعاء المسنون ص ১৭০)
১১৫। জাহান্নামীদের অবস্থা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَعُوْذُبِكَ رَبِّىْ مِنْ حَالِ النَّارِ (ابن ماجه ص ২৭২, بيهقي في الشعب ৯১, الدعاء المسنون ৫৪৭)
১১৬। ঐ সব গুনাহ হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা, যা রিজিক পৌছতে ও দু‘য়া কবুল হইতে প্রতিবন্ধক হয়।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْذُنُوْبِ تَمْنَعُ اِجَابَتَكَ اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْذُنُوْبِ اَلتِّىْ تَمْنَعُ رِزْقَكَ اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الذُّنُوْبِ اللَّتِىْ تُحِلُّ الْنِقْمَ (الدعاء ৩/১৩৩৮, الدعاء المسنون ৫৭৪)
১১৭। ব্যবসা-বানিজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ اَنْ اُصِيْبَ فِيْهَا يَمِيْنًا فَاجِرَةً اَوْ صَفْقَةً خَاسِرَةً (حاكم ১/৫৩৯, الأذكار ص২৫৯ بسند ضعيف, الدعاء المسنون ص ৫০৩)
১১৮।। اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّه وَشَرِّ مَا جُبِلَ عَلَيْه (أبو داؤد, الأذكار ص ২৪২, الدعاء المسنون ৪৭৮)
৭ম ভাগ: বৃহস্পতিবার পড়বে
১১৯। নিত্য-নতুন বিনষ্টকারী জিনিসের ক্ষতি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ بَوَائِقِ الدَّهْرِ (بيهقي ৫/১১৭, سبل ৮/৮৭১, الدعاء المسنون ص ৪৫৬)
১২০। জালেম বাদশার জুলুম-অত্যাচার হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اجْعَلَنِىْ فِىْ عِيَاذِك َمِنْ شَرِّ كُلِّ سُلْطَانٍ وَمِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَحْتَرِسُ بِكَ مِنْ شَرِّ جَمِيْعِ كُلِّ ذِىْ شَرٍّ خَلْقَتَه وَاَحْتَرِزُ بِكَ مِنْهُمْ وَاُقَدِّمُ بَيْنَ يَدَىَّ بِسْمِ اللهِ الّرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ قُلْ هُوْ اللهُ اَحَدٌ وَ اللهُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ وَلْمَ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّه كُفُوًا اَحَدَ وَمِنْ خَلْفِىْ مِثْلُ ذَالِكَ وَعَنْ يَمِيْنِىْ مِثْلُ ذَالِكَ وَعَنْ يَسَارِىْ مِثْلُ ذَالِكَ وَمِنْ فَوْقِىْ مِثْلُ ذَالِكَ
(الدعاء ২/১২৯৪ بسند ضعيف؛ الدعاء المسنون ص ৪২৬)
১২১। হিংসুক অত্যাচারী হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اَجِرْنِىْ مِن كُلِّ شَيْطَانٍ رَّجِيْمٍ وَمِنْ كُلِّ جَبَّارٍ عَنِيْدٍ (الدعاء ২/২৯৪ بسند ضعيف؛ الدعاء المسنون ص ৪২৬)
১২২। শয়তানের কর্মিদের হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَعُوْذُ بِاللهِ الَّذِىْ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ المُمْسِكُ السَّمٰوٰتِ السَّبْعِ اَنْ يَقَعْنَ عَلَى الْاَرْضِ اِ لَّا بِاِذْنِه مِنْ شَرِّ عَبْدِكَ فُلَانٍ وَجُنُوْدِه وَ اَتْبَاعِه و َ اَشْيَاعِه مِنَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ اَللّٰهُمَّ كُنْ لِىْ جَارًا مِنْ شَرِّ هِمْ جَلَّ ثَنَاءُكَ وَعَزَّ جَارُكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَلَآ اِلٰهَ غَيْرُكَ
(الأدب المفرد ص ৭০৮, الدعاء, الطبراني ১২৯৫, حصن ২২৩ بسند صحيح, الدعاء المسنون ص ৪২৩)
১২৩। বাঘের হামলা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَعُوْذُ بِرَبِّ دَانِيَالَ وَالْجُبِّ مِنْ شَرِّ الْاَسَدِ (كنز العمال৪১৭, ابن السني ৩১৮, مكارم خرائطي ২/৯৫৯, الدعاء المسنون ص ৪২০)
১২৪। গ্রামবাসীদের খারাবী হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ هَا وَ شَرِّ مَا جُمِعَتْ فِيْهَا, اَللّٰهُمَّ ارْزُقْنَا جَنَاهَا وَاَعِدْنَا مِنْ وَبَاهَا وَحَبِّبْنَآ اِلىٰ اَهْلِهَا وَحَبِّبْ صَالِحِىْ اَهْلِهَا اِلَيْنَا (الأذكار ৫৪৫, نزل ৩৩৬, ابن السني ৫২৭, الدعاء المسنون ص ৪০১)
১২৫। মজলুমের বদ দু‘য়া হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ وَعَثَاءِ الْسَفَرِ وَكَابَةِ الْمُنْقَلَبِ وَالْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْرِ وَ دَعْوَةِ الْمَظْلُوْمِ وَسُوْءِ الْمَنْظَرِ فِىْ الْاَهْلِ وَالْمَالِ (مسلم ৪৩৪, ابن ماجة, ابن السني ৪৪১, الدعاء المسنون ص ৩৮৩)
১২৬। জাহান্নামের ঠান্ডা বরফ হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اَجِرْنِىْ مِنْ زَمْهَرِيْرِ جَهَنَّمَ (ابن السني ২৬৫, بيهقي في الأسماء, الدعاء المسنون ص ৩৭৯)
১২৭। অন্ধকার রাত্রের খারাবী হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ شَرِّ هَذَا الْغَاسِقِ اِذَا وَقَبَ (الترمذي, حصن ৩৪৪, الدعاء المسنون ৩৭০)
১২৮। রোগ-ব্যাধি হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اُعِيذُكَ بِاللهِ الْاَحَدِ الْصَمَدِ الَّذِى لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّه كُفُوًا اَحَدٌ مِنْ شَرِّ مَا تَجِدُ
(الدعاء ৩/১৩২৪, الفتو حات ৪/৭২, أبويعَلىٰ , الدعاء المسنون ৩৪৬ )
১২৯। اَعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْمِ مِنْ شَرِّ عِرْقٍ نَعَّارٍ وَمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ
(ابن ماجة ৩৫২৬, ابن السني, حاكم ৪১৪, الدعاء المسنون ص৩৪২)
১৩০। ভয়-ভীতি ও কষ্ট হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَعُوْذُ بِعِزَّةِ اللهِ وَقُدْرَتِه مِنْ شَرِّ مَآ اَجِدُ وَاُحَاذِرُ (مسلم ২২৪, الأذكار ১১৪, الدعاء المسنون ص ৩৩২)
১৩১। নাফারমান নব বধু হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন কর।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ ها وشَرِّ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ (أبو داؤد ২৯৩, ابن السني ৫৫৩, الدعاء المسنون ৩২৬)
১৩২। গুনাহগার নর-নারী হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَعُوْذُ بِكَ مِنْ شُرُوْرِهِمْ وَنَدْرَأُ بِكَ فِىْ نُحُوْرِهِمْ (مسند أبي عوانة, حصن ৩২২, الدعاء المسنون ৪১৭)
১৩৩। উলামাদের অভিশাপ হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ اَنْ تَلْعَنَىْ قُلُوْبُ الْعُلَمَاءِ (عند أبي نعيم أيضا ১/২২৩)
১৩৪। অনর্থক খারাবী হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ الشَرِّ لَا يَخْلِطُه شَيْءٌ (الأدب المفرد ص৯৯)
১৩৫। খারাব স্বপ্ন দেখা হতে আর শয়তানের খেলা হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ سَيْئِ الْاَحْلَامِ و اَسْتَجِيْرُكَ نَتَلَاعِبُ الشَّيْطَانَ فِىْ الْيَقْظَةِ وَالْمَنَامِ
(الفتوحات الربانية ২০/১৯২, الدعاء المسنون ص ২৯২)
১৩৬। অপছন্দনীয় স্বপ্ন হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَعُوْذُ بِمَا عَاذَتْ بِه مَلٰئِكَةُ اللهِ وَرَسُوْلُه مِنْ شَرِّ رُؤْيَا هٰذِه اَنْ يُّصِيْبَنِىْ فِيْهَا مَآ اَكْرَه فِىْ دِيْنِىْ وَدُنْيَاىَ (الدعاء المسنون ص ২৯২)
১৩৭। শয়তানের কার্জক্রম হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ عَمِلَ الشَّيْطَانِ وَسَيَّاتِ الْاَحْلَامِ (ابن السني ৭৭০, الدعاء المسنون ২৯১)
১৩৮। সমস্ত মাখলুকের খারাবী হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ خَلْقِكَ كُلِّهِمْ جَمِيْعًا اَنْ يَّفْرَطُ عَلىَّ اَحَدٌ اَوْ اَنْ يَّبْغِىْ عَلىَّ عَزَّجَارُكَ وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ وَلَآ اِلٰهَ غَيْرُكَ وَلَآ اِلٰهَ اِلَّآ اَنْتَ (نزل الأبرار ১২২, الأذكار ৮২, الدعاء المسنون ২৮২)
১৩৯। রাত্রি বেলার আগত খারাবী হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহন করা।
اَللّٰهُمَّ اَعُوْذُبِكَ مِنْ طَوْارِقٌ هَذَا اللَّيْلِ اِلَّا طَارَقَ يَطْرُقُ بِخَيْرٍ
(مجمع الزوائه ১৪০/১২৪, الدعاء المسنون ص২৭৬,)
اَلْحَمْدُ للهِঅদ্য ১৫ ই জিলহজ্জ১৪৩৪হি: রবিবার রাত্র ৯:০০ খানায়ে কা’বার সামনে মাত্বাফে বসে مَقَالِيْدُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِপুস্তিকা খানার বঙ্গানুবাদ শেষ হল। আল্লাহ তুমি কবুল কর। ইহার সকল পড়নে ওলাকে কবুল কর। মূল লিখককে দুনিয়া ও আখেরাতের সায়া’দাত দান কর। ইহার সার্বিক সহায়তা কারীদের উভয় জাহানের সফলতায় সম্মানিত কর।
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ . وَتُبْ عَلَيْنَا اِنَّكَ اَنْتَ التَّوَابُ الرَّحِيْمُ
সমাপ্ত